ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদি আরবে কৃষি খাতে বাংলাদেশীদের সাফল্য

প্রকাশিত: ০৯:৪৯, ২ নভেম্বর ২০১৯

  সৌদি আরবে কৃষি খাতে বাংলাদেশীদের সাফল্য

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ ছেড়ে সৌদি আরবে গিয়েও শত প্রতিকূলতার মাঝে কৃষিখাতকে সফলতার সঙ্গে ধরে রেখেছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। দেশটির রাজধানী রিয়াদ থেকে প্রায় এক শ’ কিলোমিটার দূরে একটি উপশহর আল-খারিজ। এটি মূলত একটি কৃষিপ্রধান এলাকা। বিস্তীর্ণ মরুভূমির এই বিশাল এলাকার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য যেন এক টুকরো সবুজ বাংলাদেশ। -খবর বিডিনিউজের। সেখানে গিয়ে কথা হয় ঢাকার নবাবগঞ্জের আব্দুল করিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দেশে কৃষিকাজে অভিজ্ঞতা থাকায় সৌদি আরবে এসে ওই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ফসল উৎপাদন করছি। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে সৌদি আরবে কৃষিশ্রমিক হিসেবে কাজ করছি। এই কাজে পাওয়া মজুরিতে আমি এখন অনেকটা স্বাবলম্বী।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার এক ছেলে কলেজে পড়ে এবং মেয়ে স্কুলে পড়ালেখা করে। দেশের মতো এখানেও কাজ করতে ভালই লাগে।’ মরুর বুকে কৃষিজমি তৈরির অভিজ্ঞতা জানান মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মোঃ সিরাজ মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা স্থানীয় নাগরিকদের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে থাকি। এই মাজরা (কৃষি খামার) এখানকার জমিগুলো বাংলাদেশের মতো কৃষিকাজের জন্য উপযোগী ছিল না। এখানে ছিল ধু-ধু মরুভূমি, বালি আর ছোট বড় পাথরের সমতল জমি। প্রথমে আমরা মাজরা তৈরির জন্য জায়গা নির্বাচন করি। তারপর জমি থেকে পাথর অপসারণের পর জমিনে জৈব সার যেমন উট বা গরু-ছাগলের গোবর এবং অন্য জায়গা থেকে মাটি এনে ওই বালুর ওপর একটা স্তর তৈরি করি। এরপর জৈব সার, মাটি ও পানি দিয়ে আস্তে আস্তে ফসল উৎপাদন উপযোগী জমি তৈরি করা হয়। এটা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল।’ গভীর নলকূপ থেকে পানি উত্তোলনে সমস্যা না হলেও মাজরা এলাকায় মশা, মাছি ও বিভিন্ন প্রকার কীট-পতঙ্গের উপদ্রব আছে বলে জানান সিরাজ মিয়া।
×