ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণ এশিয়ায় জাতিগত সহিংসতা চরম আকার নিয়েছে

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

দক্ষিণ এশিয়ায় জাতিগত  সহিংসতা চরম  আকার নিয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্ব শান্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় দেশের বিশিষ্টজনরা বলেছেন, বিশ্ব আজ নতুন করে যুদ্ধের বিপদের মুখে। বিশেষ করে, ধর্মের নামে, উগ্র জাতীয়তাবাদের নামে দক্ষিণ এশিয়াতে জাতিগত সহিংসতা চরম আকার ধারণ করেছে। যার ফলশ্রুতিতে এ অঞ্চলে এক যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদ এ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অস্ত্র প্রতিযোগিতা উস্কে দিচ্ছে এবং বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এই সহিংসতা ও যুদ্ধের হুমকির বিরুদ্ধে শান্তির জন্য শক্তিশালী জনমত গড়ে তোলা এবং মানবতার পক্ষে সোচ্চার হওয়ার কোন বিকল্প নেই। শনিবার জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব শান্তি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে অনুষ্ঠিত সভায় রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু। বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহাদাত হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মমতাজ হোসেন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন আশরাফুল হক ঝন্টু। বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে সমাজ জীবনেও শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জনমত প্রতিষ্ঠাও শান্তির সংগ্রামের অংশ। বিশেষ করে দেশের তরুণ সমাজকে এই সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, যে ফুলকে বাঁচাতে আমরা মহান স্বাধীনতায় অংশ নিয়েছিলাম, সে ফুল আর রাজধানীতে ফোটে না। স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর যে শান্তির কথা উঠে এসেছিল, তার পরিবর্তে এখন ক্যাসিনো খেলা জমে ওঠে। ভিসির কাছে ছাত্রের ৮০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি, পর্দা-বালিশের নামে লাখ টাকা লুটপাটের খেলা চলে। সেলিম বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা একটি ফুলকে বাঁচাতে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেই। অপরদিকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ফুলের মতো জীবন ধ্বংসে মেতে উঠেছিল। আমরা হয়ত ভেবেছিলাম এ যুদ্ধের পর আর কোন যুদ্ধ দেখতে হবে না। বড় কোন যুদ্ধ না দেখলেও এখনও সেই ফুলকে আমরা ফোটাতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে শান্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন, যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করেছিলেন, তা হারিয়ে গেছে। এখন সেই ফুলের পরিবর্তে ছাত্ররা এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে ৮০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। বালিশ, পর্দাকান্ডে মেতে থাকে এক শ্রেণীর সরকারী কর্মকর্তা। আর সরকারী দলের লোকেরা এখন মেতে উঠেছে টেন্ডার, চাঁদাবাজি ও ক্যাসিনো খেলায়। তিনি বলেন, সব অনৈতিক কাজ বন্ধ করতে পারলে আমাদের দেশে শান্তি আসত। কিন্তু এর পরিবর্তে বিভিন্ন সামরিক চুক্তি করা হচ্ছে। এটা কার স্বার্থে করা হচ্ছে জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি, এতে আমার দেশের কোন লাভ হবে না। যুদ্ধবাজরা যুদ্ধ করবে। এসব সামরিক চুক্তির কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।
×