ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরে এলএনজি ও বে টার্মিনাল নির্মাণে দঃ কোরিয়া আগ্রহী

প্রকাশিত: ১১:৩২, ৩০ আগস্ট ২০১৯

চট্টগ্রাম বন্দরে এলএনজি ও বে টার্মিনাল নির্মাণে দঃ কোরিয়া আগ্রহী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের নৌ খাত উন্নয়নে চট্টগ্রাাম বন্দরের বে-টার্মিনাল এবং তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের গ্লাড হোটেলে বৃহস্পতিবার নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং কোরিয়ার মহাসাগর ও মৎস্য বিষয়ক মন্ত্রী মুন সিয়ং হাইত্তক এর মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়া এ আগ্রহ প্রকাশ করে। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এখন দক্ষিণ কোরিয়া সফরে রয়েছেন। কোরিয়া থেকে পাঠানো এক মেইল বার্তায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশে সুনীল অর্থনীতি রক্ষণাবেক্ষণ প্রযুক্তি, সমুদ্রের জ্বালানি আহরণ এবং তা ব্যবহার, সাগরের নিরাপত্তা, সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিকদের প্রশিক্ষণ এবং চাকরি ছাড়াও জাহাজ নির্মাণ শিল্পের বিষয়গুলো তাদের আলোচনায় স্থান পায়। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, প্রতিমন্ত্রীর সফরসঙ্গী চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মপ্রধান রফিক আহম্মদ সিদ্দিক, যুগ্মসচিব মোঃ মুহিদুল ইসলাম ও সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খান এবং কোরিয়ার পক্ষে কোরিয়ার মহাসাগর ও মৎস্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কিম সিয়ং বাম ও পরিচালক চ্যাংগ কি উক উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিপুল জনসংখ্যার একটি সম্ভাবনাময় দেশ। এদেশে নৌ সেক্টরে দক্ষ জনবল রয়েছে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি বড় বাজার। দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশের ভাল ও দীর্ঘস্থায়ী বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে তিনি নৌপরিবহন ও মৎস্য খাতে বাংলাদেশে অধিক বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বাংলাদেশের নৌপরিবহন ও বন্দর সংশ্লিষ্ট খাতে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ও বেসরকারী সংস্থার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় কোরিয়ার বিনিয়োগের লক্ষ্যে কোরিয়ার মহাসাগর ও মৎস্য বিষয়ক মন্ত্রীর আমন্ত্রণে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ২৭ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যান। নৌপরিবহন ও বন্দর সংশ্লিষ্ট খাতে কোরিয়ার বিনিয়োগ প্রাপ্তিতে এ সফর সহায়ক হবে। প্রতিমন্ত্রী ২৮ আগস্ট কোরিয়ার বৃহত্তম বন্দর ‘বুসান বন্দর’ পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের বন্দর ও এর আওতাধীন এলাকা উন্নয়নে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ১ এপ্রিল ঢাকায় একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। বর্তমানে পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় নির্মাণাধীন বন্দরের প্রথম টার্মিনাল ও আনুষঙ্গিক উন্নয়ন ডিটেইল ডিজাইন ও সুপারভিশনের জন্য কোরিয়ার কুনহুয়া ইঞ্জিনিয়ারিং দায়ূ কোম্পানিকে নিযুক্ত করা হয়েছে। পায়রা বন্দরের ‘ডিপ ওয়াটার কন্টেনার টার্মিনাল’ নির্মাণ এবং বাংলাদেশের নতুন চারটি মেরিন একাডেমির যেকোন একটির প্রশিক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার বিষয়েও কোরিয়া আগ্রহী।
×