ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইউজিসি প্রস্তাবিত অভিন্ন নীতিমালা বাকৃবির প্রত্যাখ্যান

প্রকাশিত: ১১:৩২, ৩০ আগস্ট ২০১৯

ইউজিসি প্রস্তাবিত অভিন্ন নীতিমালা বাকৃবির প্রত্যাখ্যান

বাকৃবি সংবাদদাতা ॥ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির অভিন্ন নীতিমালা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতি। বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে প্রস্তাবিত ওই নীতিমালার কঠোর সমালোচনা করেন শিক্ষক নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। এ সময় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু হাদী নূর আলী খান, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহির উদ্দিন, বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইয়াহিয়া খন্দকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় এক শ’ শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় ইউজিসি কর্তৃক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত একটি নীতিমালা পাস করা হয়েছে। এই নীতিমালায় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। একটিতে বিজ্ঞান/ সমাজ বিজ্ঞান/ কলা ও মানবিক/ বিজনেজ স্টাডিজ/ চারুকলা/ আইন অনুষদভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ অন্যভাগে ইঞ্জিনিয়ারিং/ আর্কিটেকচার/ নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিষয় প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ রাখা হয়েছে। চিকিৎসা প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একটি এবং কৃষি ও কৃষি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলাদা একটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। বক্তব্যে বলা হয়, প্রস্তাবিত এই অভিন্ন নীতিমালায় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কৃষি ও কৃষি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ব্যাপক অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। তারা অভিযোগ করেন কৃষি ও কৃষি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ ও পদোন্নতির নীতিমালা অন্য শ্রেণীতে রাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত নীতিমালা হতে কঠোরতর। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, প্রস্তাবিত এই নীতিমালা আমাদের হতবাক করছে। এই নীতিমালায় দৃশ্যত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চরম বৈষম্য করা হয়েছে। তাছাড়া এই নীতিমালা প্রণয়নে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে কোন প্রতিনিধি রাখা হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহির উদ্দিন বলেন, প্রস্তাবিত এই নীতিমালায় কৃষি ও কৃষি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও অপমান করা হয়েছে। প্রস্তাবিত নীতিমালার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উস্কানি দেয়া হয়েছে। নীতিমালাটি বাস্তবায়ন হলে দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা, কৃষি, প্রকৌশল, শিল্প ও কারিগরি ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাবে। মেধাবীরা দেশ ছেড়ে উন্নত দেশে পাড়ি জমাবে। এটি দেশকে মেধাশূন্য করার একটি নীলনক্সা মাত্র।
×