ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের কারণে আর্থ-সামাজিক ক্ষতি

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ৩০ আগস্ট ২০১৯

রোহিঙ্গাদের কারণে আর্থ-সামাজিক ক্ষতি

মানবিক কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছিলেন। রোহিঙ্গাদের সে সময়ে মিয়ানমার নির্বিচারে হত্যা, নারী-শিশুর প্রতি বিবেকহীন নির্যাতন এবং প্রাণে বাঁচানোর বৃহত্তর স্বার্থে যখন বাংলাদেশে আশ্রয় প্রার্থনা করেছিল, তখন তাদের মানবতার স্বার্থে সাময়িকভাবে আশ্রয় প্রদান করা হয়। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা, রাষ্ট্রযন্ত্র ষড়যন্ত্র করে অমানবিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা এবং নারী ও শিশু নিপীড়ন নির্যাতন করে চলেছিল। এ ছিল মিয়ানমারের অভ্যন্তরের এক পরিকল্পিত গণহত্যা। কিন্তু এরা যখন প্রাণের ভয়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে এদেশে এসে পৌঁছাল, তখন মানবতার খাতিরে তাদের আশ্রয় দেয়া হয়। মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত এদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলায় আশ্রয় নেন। এদের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, স্থানীয় পরিবেশ-বন-প্রকৃতিও ধ্বংস হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের বাড়তি লোকবল আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ মিয়ানমার সম্পূর্ণ অমানবিক আচরণ করেও এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ফেরত নিচ্ছে না। তারা তাদের দেশের নাগরিকদের ভিনদেশে প্রেরণ করে নিজেদের বিত্তশালী থাকার প্রয়াস নিচ্ছে। কিন্তু এ ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ মিয়ানমারের ক্ষমতাতন্ত্রকে হয়ত সাময়িক সুবিধা দেবে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এ ধরনের অশান্ত পরিবেশ মিয়ানমার ও বাংলাদেশ দুটো রাষ্ট্রের জন্যই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রধান কারণ হতে পারে এবং আঞ্চলিক সংহতিও বিনষ্ট হবে। এই রোহিঙ্গাদের যে ন্যূনতম মানবিক সাহায্য-সহায়তা প্রধান করা উচিত, তা থেকে মিয়ানমার কেবল বিচ্যুত হয়নি বরং পুত্রের সামনে পিতাকে হত্যা, মা-বাবার সামনে মেয়েকে বলাৎকার ও এইডসের জীবাণু ঢুকিয়ে দেয়া, মা-বাবার সামনে কন্যা-পুত্রকে নৃশংসভাবে হত্যা, কিশোর-কিশোরীদের সামনে মাকে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ সবই এক অনিবার্য অমানবিক ও সুদীর্ঘ পরিকল্পনার ফসল। ভুলে গিয়েছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ধর্মের নামে ভ-ামি, হিংস্রতা, পাশবিকতা এ রোহিঙ্গাদের মনে কি ধরনের ভয়াবহ মনস্তাত্ত্বি¡ক দিকে সৃষ্টি করতে পারে। তাদের নির্যাতনের কারণে এদেশে এইডস রোগীর সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়াস গ্রহণ করেছিল। হিংস্রতা, বর্বরতা কখনও কোন জাতির উন্নয়ন কাঠামোয় সুফল বয়ে আনে না। একজন মানুষ হিসেবে সব সময়ে বিশ্বাস করি, ন্যাচারাল জাস্টিস আছে। যারা আজ রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে ভিনদেশে পাঠিয়ে মিয়ানমারে বসে আত্মপ্রসাদের হাসি হাসছেন, পৈশাচিক উন্মত্ততায় হিংস্র দানব সৃষ্টি করছেন তারা আর যাইহোক, মানবীয় গুণাবলীর মধ্যে পড়েন না এবং ফ্রাঙ্কেস্টাইন তৈরি করে শেষ অবধি নিজেদের বা তাদের উত্তরসূরিদের বিবেকের কাছে এক বিশাল প্রশ্ন রেখে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রের প্রধান শর্ত হচ্ছে প্রতিটি নাগরিককে সমঅধিকার দেয়া। অথচ রোহিঙ্গাদের প্রতি যে অবিচার করা হয়েছে তার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি। আউং সান সুচি যিনি নিজেকে শান্তির অন্বেষণকারী হিসেবে চিহ্নিত করতেনÑ তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন হচ্ছে নিজের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য এবং ক্ষমতাতন্ত্রে থাকার একটি মহাওষুধস্বরূপ। আউং সান সুচি যাকে এক সময় গণতন্ত্রের মানসকন্যা বলা হতো আজ তিনি ক্ষমতার বলয়ে থাকার জন্য সুবিধাবাদী নীতি গ্রহণের জন্য গণহত্যা, ধর্ষণ এবং নিরাপরাধ মানুষের ওপরে ভয়াবহ ত্রাস সৃষ্টিকারী শক্তির পূজারী হিসেবে পরিগণিত হয়েছেন। আগস্ট, ২০১৭ সালে শুরু হওয়া এ ধরনের অমানবিক কর্মকা- বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিলেও মিয়ানমান কর্তৃপক্ষ নীরব। ‘আঁরা না যাইয়ুম’Ñ মন্তব্য দিয়ে রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফেরত যেতে চায় না। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আসায় ভূমি, স্থানীয় সম্পদের সীমাবদ্ধতা বিনষ্ট ও দুষ্প্রাপ্য হচ্ছে। বনভূমি ও কৃষি ভূমি যেমন ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছে, তাতে স্বাভাবিক পরিবেশ ও প্রকৃতি পাহাড় বিনষ্ট হচ্ছে। পর্যটন শিল্পের বিকাশও আজ ওই স্থানগুলোতে ধ্বংসের পথে। এদিকে সামাজিক, পরিবেশ ও অর্থনৈতিক সমস্যা প্রকট হয়ে উঠছে। রোহিঙ্গারা সবাই যে ক্যাম্পে থাকছে তা নয়- কেউ কেউ অন্যত্র যাওয়ার চেষ্টা করছে। স্থানীয় লোকদের তুলনায় সস্তায় রোহিঙ্গা শ্রমশক্তি হওয়ায় নিষেধ থাকা সত্ত্বে¡ও কেউ কেউ কাজ করছে। আবার রোহিঙ্গা নারীরা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হতে চেষ্টা করছে। এমনকি দালাল চক্র বিদেশে অবৈধভাবে গলাকাটা পাসপোর্ট ব্যবহার করে অথবা নৌপথে পাচারে সচেষ্ট রয়েছে বলে পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে জানা যায়। অন্যদিকে এদেশে ইয়াবার বিস্তার ঘটানোর মাধ্যমে দেশের তরুণ সম্প্রদায়কে নষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। আবার বিদেশে পাচার হয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশীদের নামে অপপ্রচার এবং বিভিন্ন অসামাজিক কাজ করে তার দায়ও বাংলাদেশীদের ঘাড়ে পড়ছে। এ ধরনের ঘৃণ্য তৎপরতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ তাদের কেবল আশ্রয় দেয়নি বরং ভরণপোষণ, থাকার জায়গা দিয়েছে, জাতিসংঘ ও দাতাগোষ্ঠী এদের নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কিন্তু আন্তর্জাতিক ও দেশী এনজিও এদের উন্নয়ন কর্মকা-ে সাহায্য করলেও এক্ষণে এদের তাদের দেশে ফেরত যেতে বাধা দিতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা সমাবেশ করছে। ইংরেজীতে লেখা বিশাল ব্যানার টাঙাচ্ছে এবং শরণার্থী শিবিরকে তাদের নিয়ন্ত্রণে রেখে এক ধরনের দু’মুখী নীতি গ্রহণ করেছেÑ যাতে এরা এখানে থাকে আর তারা যে সাহায্য রোহিঙ্গাদের নামে সংগ্রহ করছে তার একটা বড় অংশ যেন ফান্ডে জমা হয়। এদিকে স্বাস্থ্যখাতেও অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের সামাল দিতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের পেছনে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থ-সম্পদ কয়েক হাজার মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হচ্ছে। অথচ তারা একটি ভিন্ন দেশের মানুষÑ তাদের আচার-আচরণ ও কথাবার্তা ভিন্ন। দেশের অর্থনীতিতে তাদের জন্য যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে সেটি কাটিয়ে ওঠা এমনিতেই দুষ্কর। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠী রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এককাট্টা হতে পারছে না। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান না করে বরং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানামুখী কর্মকা- পরিচালিত হচ্ছে। সরকার অবশ্য সুন্দরভাবে এটি সমাধানে আগ্রহী। সে জন্য সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী চীন সফরও করেন। চীন সফরের পর কূটনৈতিক পর্যায়ে সমাধানের পথ ধরে কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। আর মিয়ানমারের খনিজ ও সমুদ্র সম্পদকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এক্ষণে রোহিঙ্গাদের বোঝা দরকার একটি ভিন্ন দেশে কত বছর শরণার্থী হিসেবে থাকা যায়। শরণার্থী রাখার জন্য বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যে বাড়তি চাপ পড়ছে সরকার সহৃদয়তার সঙ্গে দেখেছে। তাদের এখন স্বভূমিতে ফেরত যাওয়া দরকার। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সব সময়েই জঙ্গীবাদে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী। আর এ কারণেই এখন পর্যন্ত মৌলবাদী শক্তি এখানে গেড়ে বসতে পারছে না। দীর্ঘমেয়াদে যদি মিয়ানমার এদেশে রোহিঙ্গাদের রেখে দেয় তাহলে এদেশসহ অঞ্চলগত সমস্যা হবে। কেননা মানুষের মধ্যে যে মনস্তাত্ত্বি¡ক চাপ বঞ্চনা ও নির্যাতন-নিপীড়ন, জুলুম মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রযন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতায় লিপ্ত হয়েছে তা মানবসভ্যতার ইতিহাসে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে; রোহিঙ্গাদের ইরেশনাল করে তুলতে পারে; সিদ্ধান্ত গ্রহণে সুন্দর ও সততার বদলে হঠকারী সিদ্ধান্তের দিকে রোহিঙ্গাদের ঠেলে দিতে পারে। মানুষ যখন অত্যাচারিত হয় তখন স্বাভাবিক নিয়মে তার ওপর মনস্তাত্ত্বিক চাপ পড়ে। মিয়ানমার স্বীয় স্বার্থে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে, সমুদ্র সম্পদ আহরণকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় এনে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। অথচ মিয়ানমারের এ ধরনের অন্যায় কর্মকা-ের তীব্র বিরোধিতা করা বাঞ্ছনীয়। এ জন্য অবশ্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা দরকারÑ কেননা একটি অঞ্চলে যদি অশান্তি থাকে তবে তার জের কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ঢেউ লাগে। আসলে মনুষ্যত্বের চেয়ে বড় কিছু নেইÑ অমনুষ্যত্ব দিয়ে হয়ত ক্ষণিকের জন্য টিক থাকা যায়। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক এবং পরিবেশগত ক্ষতি হচ্ছে। অথচ রোহিঙ্গা সমস্যা না থাকলে বিমস্টেকের (ইওগঝঞঊঈ)-এর মাধ্যমে জ্ঞান-বিজ্ঞান-চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থান, অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আঞ্চলিক উন্নয়নের কর্মকা-ে নিয়ামক শক্তিতে পরিণত হতে পারত। বরং এ ধরনের অনভিপ্রেত ও অভ্যন্তরীণ বিষয়কে ভিন্ন দেশে ঠেলে দিয়ে মিয়ামনার আঞ্চলিক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। এক্ষণে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে সাড়া দেয়া উচিত। কোন বিদেশী শক্তি স্বীয় স্বার্থে যাতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে চর ঢুকিয়ে পঞ্চম স্তম্ভ হিসেবে কাজ না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। অন্যদিকে বিদেশ থেকে প্রাপ্য দান-খয়রাতও ধীরে ধীরে কমে আসবে। তবে কিছু দেশী-বিদেশী এনজিও রোহিঙ্গাদের স্বীয় স্বার্থে ব্যবহারের যে খবর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বেরিয়েছে, তা থামানোর জন্য প্রয়াস গ্রহণ করতে হবে। ইতোপূর্বে রোহিঙ্গাদের ভাসান চরে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও সেখানে তারা যায়নি। এক্ষণে তারা নিজ দেশে ফিরে গেলেই মঙ্গল। মিয়ানমার তার দেশী রোহিঙ্গাদের কেন নাগরিকত্ব দেবে না সেটি আন্তর্জাতিক বিবেকের কাছে প্রশ্ন হওয়া উচিত। শেখ হাসিনা জনকল্যাণে সদাতৎপর। তিনি বিভিন্ন ফোরামেও মিয়ানমারকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। মিয়ানমারের ক্ষমতাধারীরা অশান্তি সৃষ্টি করছে। এভাবে মানুষের জীবন নিয়ে, নিজ দেশের নাগরিকদের বের করে দিয়ে উন্নয়ন হয় না। সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক, নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণ তার নিজের দেশে শান্তি-সমৃদ্ধির জন্য দেয়া উচিত। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার উচিৎ ঐক্যবদ্ধভাবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজস্ব ভূমে ফিরে যেতে চাপ প্রয়োগ করা। এমনিতেই বাংলাদেশ শরণার্থী শিবিরে বর্তমান পর্যায়ে দু’দফা রেখে ঝামেলায় আছে। রোহিঙ্গাদের জন্যে মোট ৩২টি আবাসিক ক্যাম্প রয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্যাম্প হচ্ছে কুতুপালং-বালুখালী অঞ্চলে- যেটি ২২টি ক্যাম্পে বিভক্ত। সবগুলো ক্যাম্পের জন্যে মোট সাড়ে ছয় হাজার একর জমি দেয়া হয়। রোহিঙ্গাদেরও বোঝা উচিৎ বাংলাদেশ তাদের জন্যে যথাসাধ্য করেছে, এখন তাদের নিজেদের দেশে ফেরৎ যাওয়া দরকার। মানবিকতার স্বার্থে- বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হোক- রোহিঙ্গারা পরিপূর্ণ মর্যাদা যাতে পায় সে জন্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সজাগ এবং মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। লেখক : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ [email protected])
×