ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

মুনাফাবাজির কারণে আরও নিপীড়ক হয়ে উঠছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ॥ জাতিসংঘ

প্রকাশিত: ১২:৪০, ৬ আগস্ট ২০১৯

মুনাফাবাজির কারণে আরও নিপীড়ক হয়ে উঠছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ॥ জাতিসংঘ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এক বিশাল বাণিজ্যিক সা¤্রাজ্য। এর ফলেই বাহিনীটি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক অভিযান চালাতে পারে জবাবদিহিতা ছাড়াই। বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন করলেও পেয়ে যায় দায়মুক্তি। সোমবার জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের । জাতিসংঘের একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন বিদেশী ব্যবসায়ী ও সরকারকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত ১৪০টিরও বেশি কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে। এই কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইন্দোনেশিয়ার সাবেক এ্যাটর্নি জেনারেল মারজুকি দারুসমান। এক সাক্ষাতকারে মারজুকি দারুসমান বলেন, মিয়ানমারের সশস্ত্রবাহিনী বেসামরিক নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকেই কর্মকাণ্ড পরিচালনার প্রক্রিয়া রয়েছে এবং এর ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনায় দায়মুক্তি পেয়ে যায়। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর বিশাল বাণিজ্য জনগণের চোখের আড়ালে রয়েছে। দেশটির সরকারী ও বড় বেসরকারী কোম্পানির সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। মিয়ানমারের অর্থনীতিতে সেনাবাহিনী, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও বড় বেসরকারী কোম্পানির অবদান অনেক বেশি। জাতিসংঘ মিশন বলছে, যদি মুনাফা অর্জনে সেনাবাহিনীর এমন পন্থা না থাকত তাহলে তাদের বাজেটের জন্য সরকারের ওপর নির্ভর করতে হতো এবং তাদের পর্যালোচনার মুখোমুখি হতে হতো। কেবিজেড গ্রুপ ও ম্যাক্স মিয়ানমার নামে দুটি বেসরকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে মিশন। কোম্পানি দুটি বাংলাদেশ সীমান্তে বেস্টনি নির্মাণে বড় অঙ্কের অর্থ দান করেছে।
×