স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ ছেলের ইটের আঘাতে বাবা ওবায়দুর রহমান মুসল্লি (৬৫) নিহত হয়েছেন। এ সময় বাবার দায়ের কোপে জখম হয়েছেন ছেলে নাইস মুসল্লি (২০)। বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর খালিশপুর ও দৌলতপুর থানার সীমান্তের রমজানের ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে বাবা ওবায়দুর রহমান মারা যান।
পুলিশ জানায়, টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় নাইস মুসল্লি ও তার বাবা ওবায়দুর রহমানের মধ্যে বাগ্বিত-া হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে বাবা তার ছেলে নাইসকে দা দিয়ে কোপ দেন। এ সময় নাইস মুসল্লিও ইট দিয়ে তার বাবার মাথায় আঘাত করে। এতে তারা দুজনই আহত হন। পরে বাবা-ছেলে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে রাতে বাসায় ফিরে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাবা ওবায়দুর রহমান মারা যান। ঘটনার পর থেকে ছেলে নাইস পলাতক রয়েছে।
নওগাঁয় গৃহবধূ
নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় রানীনগরে দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ শাকিলা আক্তার শ্যামলীকে (৩৫) পিটিয়ে হত্যা করেছে পাষ- স্বামী মাসুদ রানা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার শিম্বা গ্রামে শিম্বা- লোহাচূড়া রাস্তা সংলগ্ন মাসুদ রানার নিজ বাড়িতে।
জানা গেছে, উপজেলার বেলোবাড়ি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে শ্যামলী আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় উপজেলার শিম্বা গ্রামের আফছার আলীর ছেলে মাসুদ রানার। কিছুদিন পূর্ব থেকে শ্যামলী জানতে পারে, তার স্বামী মাসুদ রানা একাধিক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া গড়ে তুলে আরেকটি মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। এরপর থেকে শুরু হয় পারিবারিক কলহের। দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে মাসুদ রানা ঠিকমতো খোঁজখবর নিত না শ্যামলী ও তার সন্তানদের। এই সমস্যা সমাধান করার জন্য দুই পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা চেষ্টা করেও তা সমাধান করতে পারেনি। ঘটনার কিছুদিন আগে থেকে মাসুদ রানা নিরুদ্দেশ থাকলেও ঘটনার দিন বাড়িতে আসে মাসুদ। আর পরকীয়া প্রেম ও বিয়ে করার জেরেই মাসুদ রানা তার স্ত্রী শ্যামলীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে মাসুদ রানা পলাতক রয়েছে।
কিশোরগঞ্জে বড় ভাই
নিজস্ব সংবাদদাতা কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, পাকুন্দিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে ছোট ভাইয়ের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে বড় ভাই চন্দন রবিদাস (৩৮) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঘাতক আনন্দ রবিদাসকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মাইজহাটি রবিদাস কলোনিতে এ ঘটনাটি ঘটে। একাধিক সূত্র জানায়, পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পাকুন্দিয়ার মাইজহাটি রবিদাস কলোনির গোলাপ চাঁন রবিদাসের বড় ছেলে চন্দন রবিদাসের সঙ্গে ছোট ছেলে আনন্দ রবিদাসের বিরোধ চলছিল। পূর্ব বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই ভাই বাগ্বিত-ায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ছোট ভাই আনন্দ রবিদাস ছুরি দিয়ে বড় ভাই চন্দন রবিদাসের বুক ও কপালে উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই চন্দন রবিদাস লুটিয়ে পড়ে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘাতক আনন্দ রবিদাসকে আটক করে থানা নিয়ে আসে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: