ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁশের সাঁকো দিয়ে দশ গ্রামের মানুষের একযুগ পারাপার

প্রকাশিত: ০৭:৫৬, ২৮ জুন ২০১৯

বাঁশের সাঁকো দিয়ে দশ গ্রামের মানুষের একযুগ পারাপার

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন দশ হাজার মানুষ। সরকারী কর্মকর্তা আসেন, এমপি আসেন। কথাও দিয়ে যান। কর্মকর্তাদের দৌড়ঝাঁপও শুরু হয়, মাপজোক হয়, সেতু আর হয় না। এভাবেই কেটে গেল প্রায় একযুগ। সদর উপজেলার সাতমেড়া ও অমরখানা ইউনিয়নকে ভাগ করে বয়ে গেছে চাওয়াই নদী। এই নদীর অতি সন্নিকটে পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের বোর্ড বাজার। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবির পরও এই নদীতে সেতু নির্মাণ না হওয়ায় নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করা বাঁশের সাঁকো দিয়ে বছরের পর বছর চলাচল করছেন দশ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। শিক্ষার্থীদেরও ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজে যেতে হয় ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে চাওয়াই নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে দশ হাজার মানুষ। স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক গিয়াস উদ্দীন আহাম্মেদ বলেন, ২০১৫ সালে বর্ষার সময় নদীতে পানি ভরাট ছিল। ওই সময় স্কুলে যাওয়ার পথে বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে এক সঙ্গে ১২ ছাত্র-ছাত্রী নদীতে পড়ে যায়। তারা ভেসে যাচ্ছিল আর চিৎকার করছিল। তখন স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে। সেখানে আমার মেয়েও ছিল। পরে আমি তাদের হাসপাতালে ভর্তি করি। আমরা চাই এই এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে একটি সেতু নির্মাণ করা হোক। সাতমেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান বলেন, একটি সেতুর অভাবে আমার ইউনিয়নের প্রায় দশটি গ্রামের মানুষ অনেক কষ্টে চলাফেরা করে। আমরা দীর্ঘদিন এলজিইডি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে আসছি। এর আগে একাধিকবার রাস্তাসহ সেতু নির্মাণের জন্য মাপজোকও হয়েছে কিন্তু কার্যকর কোন পদক্ষেপ দেখিনি। এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আতাউর রহমান বলেন, সাতমেড়া ইউনিয়নের চাওয়াই নদীতে ৮০ থেকে ৮৫ মিটার সেতু নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে দুই দফায় সার্ভে করে এলজিইডি সদর দফতরে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে আমরা আশাবাদী।
×