ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৯:২৬, ৭ মে ২০১৯

ঢাকার দিনরাত

রোজা শুরু হয়ে গেল। রমজানে ঢাকার রুটিন কিছুটা বদলে যায়। এবার শুরুতেই রুদ্র বৈশাখের কারণে গরমে হাঁসফাঁস দশা। ঘূর্ণিঝড় ফণীর আগমনের উছিলায় কয়দিন ঢাকার আবহাওয়া বেশ মনোরম হয়ে উঠেছিল। ফণী আসার আগে-আগে তাপমাত্রা চল্লিশ ছুঁয়েছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দুটো দিন বর্ষাকালের রূপ নেয়। মিষ্টি ঠা-া ভাব। রাতে বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ করে ঘুমিয়েছেন নিশ্চয়ই আমার মতো অনেকেই। গরমকালে রোজা পড়েছে, সুতরাং গরম লাগবেই। কিন্তু শীতকালে রমজান এলেও একটি বিশেষ গরমের হাত থেকে আমাদের রেহাই নেই। জ্বি পাঠক, ঠিকই ধরেছেন দ্রব্যমূল্যের গরম। গরিব রোজাদারদেরই বেশি কষ্ট! ফণী নিয়ে দু’ছত্র রেশমি, বিজলি- এমন আদুরে নাম নয়; এবার ঘূর্ণিঝড়ের ভয়ঙ্কর নাম রাখা হয়েছিল ‘ফণী’। ফণী মানে সাপ। এই বিশেষ সাপের ছোবলের শঙ্কা ছিল। এটা ঠিক যে, ঢাকায় ফণী বিষকামড় দেবে না- এমনটা নিশ্চিতই ছিল। কিন্তু তাতে কি? ঢাকায় কি কেবল ঢাকার মানুষই থাকেন? থাকেন সারাদেশের মানুষ। তাই বহু ঢাকাবাসী উৎকণ্ঠায় ছিলেন। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকায় যাদের দেশের বাড়ি তারা সারাক্ষণই দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তবে সত্যি বলতে কি, এবার মানুষ যেমন ছিল সতর্ক ও সচেতন তেমনি সরকার বাহাদুরও বেশ স্মার্টনেসের পরিচয় রেখেছে। ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল সরকারের। দেশের প্রধানমন্ত্রী বিদেশে থাকলেও প্রয়োজনীয় সব নির্দেশ ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। তিনি সমন্বিতভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সময়মতো সারাদেশে নৌচলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ক্ষতি কমিয়ে আনতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বাদ জুমা মসজিদসমূহে দোয়ার আহ্বান জানান। সেনাবাহিনীকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। প্রস্তুত রাখা হয় নৌবাহিনীর ৩২টি জাহাজ। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কবল থেকে নিরাপত্তার লক্ষ্যে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় জেলাগুলোর ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়। সদরঘাট টার্মিনালসহ সারাদেশের ৪১টি রুটের যাত্রীবাহী নৌযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। উপকূলের ১৯ জেলায় নানা প্রস্তুতি নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এই জেলাগুলোতে নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে এবং ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে সেখানে প্রস্তুত রাখা হয়। যথেষ্টই বলবো। কবর কাহিনী মৃত্যুর পর সাড়ে তিন হাত কবরের জায়গাটুকুর স্থায়ী নিশ্চয়তা কতটুকু আছে রাজধানীবাসীর? দুই কোটি মানুষের শহর ঢাকায় গোরস্তান আছে মাত্র দশটি। যা অনেক আগেই পূরণ হয়ে গেছে। এখন ওইসব গোরস্তানে অস্থায়ীভাবে কবর দেওয়া হচ্ছে। একটি কবরের ওপর পড়ছে আরেকটি কবর। এমনকি গোরস্তানগুলোতে এক কবরের ওপর একাধিক মৃত ব্যক্তির নামফলক ঝুলতে দেখা যাচ্ছে। রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে ৩০ হাজারের মতো কবরের জায়গা থাকলেও তা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন একটি কবরের ওপর অস্থায়ীভাবে আরেকটি কবর দেওয়া হচ্ছে। মৃতের স্বজনেরা আক্ষেপ করে থাকেন এ কারণে যে, অসংখ্য কবরের মাঝে কোনটি কার তা বোঝার উপায় নেই। একটি আরেকটির গায়ে লেগে আছে। নতুন জায়গা অবশিষ্ট নেই। ঢাকায় জনসংখ্যা বাড়ছে প্রতি বছর। ক’টি পরিবার ঢাকা থেকে চলে যাচ্ছেন যারা শুধু পেশাসূত্রেই ঢাকায় থাকতেন? অবসরের পর নিজ এলাকায় কি তারা যাচ্ছেন? বরং এখন বিদেশমুখী হচ্ছেন অনেকেই। ঢাকায় মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে গোরস্তান তৈরি না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই রাজধানীতে কবর সঙ্কট বাড়ছে। তবে রাজধানীতে কবর সঙ্কটের সুযোগে গড়ে উঠছে বেসরকারী গোরস্তান। পূর্বাচলের ৩০ নম্বর সেক্টর সংলগ্ন গাজীপুর কালীগঞ্জ উপজেলার পানজোড়া মৌজায় একটি কবরস্থান গড়ে তোলার কাজ চলছে। মৃত্যুর আগে স্থায়ী কবরের জায়গা কিনে রাখতে চান অনেকেই। এখানে সে সুযোগ থাকছে। খোঁজ নিয়ে জানলাম সাত ফুট দৈর্ঘ্য এবং সাড়ে তিন ফুট প্রশস্ত একটি স্থায়ী কবর তিন লাখ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। একটি স্থায়ী কবরের জন্য এই দাম হয়তো অনেকের কাছে সাশ্রয়ীই মনে হবে! রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট দশটি সরকারী গোরস্তান আছে। আজিমপুর কবরস্থান, জুরাইন কবরস্থান, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান, বনানী কবরস্থান, খিলগাঁও কবরস্থান, রায়েরবাজার কবরস্থান, উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর ও ১২ নম্বর সেক্টরে রয়েছে দুটি কবরস্থান। এ ছাড়া ধলপুর কবরস্থান ও মুরাদপুর শিশু কবরস্থান নামে আরও দুটি কবরস্থান রয়েছে। রায়েরবাজারে বড় একটা কবরস্থান করা হয়েছে ইতোমধ্যে। প্রায় ৮১ একর জায়গা। উত্তর সিটির আওতাধীন বনানী কবরস্থানে রয়েছে ২২ হাজার কবরের জায়গা। তাও অনেক আগে শেষ হয়ে গেছে। তালাচাবির সংসার সংসার করতে গেলে তালাচাবির দরকার পড়ে। সম্পদ সামলে রাখার জন্য যেমন প্রয়োজন, তেমনি দরকার গৃহ সুরক্ষিত রাখার জন্যও। প্রতিটি বাড়িতেই এভাবে কতগুলো তালাচাবির যে প্রয়োজন হয় ভাবতে বসলে অবাকই লাগে। আবার তালাচাবি নিয়েই পেশার সংসার সাজান- এমন পেশাজীবীও আছেন এই ঢাকা শহরে বহু। আসলে সুনির্দিষ্টভাবে বললে বলতে হয় ‘চাবির সংসার’। আবাসিক এলাকার অলিতে গলিতে হাঁকডাক শোনা যায়- ‘ওই চাবি বানাবেন, চাবি।’ পিঠে ব্যাগ, হাতে বাজনদারের মতো চাবির গোছা বাজাতে বাজাতে এক তীব্র সুর তুলে চাবি মেরামতকারীরা নগরীর অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়ান। আবার এক শ্রেণীর মেরামতকারী থাকেন বাজারের পাশে, কিংবা বড় সড়কের পাশের ফুটপাথে। তিন বাই চার ফুট মাপের একটা বাক্স থাকে তাদের প্রায় কোমর সমান উঁচু। ওপরে সাজানো থাকে আধুনিক ফ্ল্যাটের দরোজার ঘোরানো লক সিস্টেমের গোলাকৃতি তালা। প্রতিটি ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়াদের হাতে বাড়িঅলা এক সেট চাবি তুলে দেন। কিন্তু বাড়ির একাধিক সদস্যের জন্যই প্রয়োজন পড়ে স্বতন্ত্র চাবি। কারণ কর্মজীবী বা শিক্ষার্থীদের বাড়ির বাইরে যাওয়া ও ঘরে ফেরার সময় প্রায়শ এক হয় না। তাছাড়া অনেকে চাবি হারিয়ে ফেলেন, পকেটমার বা ছিনতাইকারীর পাল্লায় পড়েও খুইয়ে ফেলেন চাবি। তখন এই চাবিঅলারাই মুশকিল আসান করে দেন। উত্তরার জামাল মিয়া সেই মুশকিল আসানঅলাদের একজন। তার বাবাও একই পেশায় ছিলেন। পুরনো ঢাকা থেকে চাবি কিনে আনেন জামাল, যে কোন চাবির ডুপ্লিকেট বানাতে পারেন মাত্র দশ মিনিটে। ঘোরানো লকের চাবির বেলা দামটা একটু চড়াÑ দুশ’ টাকা। জিজ্ঞেস করেছিলাম, চুরিপেশায় যারা জড়িত তাদেরই তো অন্যের ঘরে ঢোকার জন্য চাবি লাগে। তারা আপনার কাছ থেকে কখনো চাবি বানিয়ে নিয়ে গেছেন কিনা। জানালেন, এসব আমরা অনুমানেই বুঝি। আন্দাজমতো দুই চারটা চাবি বানানোর আবদার নিয়ে এমন দুয়েকজন তার কাছে এসেছেন বটে। টাকাও বেশি সেধেছেন। কিন্তু এই কাজ তারা কখনোই করবেন না। কারণ ছোট্ট একটা চাবির গুরুত্ব অনেক। এটা দিয়ে সুযোগমতো কোন বাড়িতে ঢুকে ঘরের তাবত মূল্যবান জিনিস সরিয়ে ফেলা যায়। আসলেই তো, চাবি মেরামতকারী কিংবা নকল চাবি বানানোঅলারা অসৎ হলে গৃহকর্তা সর্বস্বান্ত হতে পারে। রবীন্দ্র একাডেমির রবীন্দ্রজয়ন্তী আগামীকাল রবীন্দ্রজয়ন্তী হলেও কয়েকদিন আগে থেকেই কবিগুরুকে স্মরণ শুরু হয়ে গেছে। শনিবার জাদুঘরে ছিল রবীন্দ্র একাডেমির অনুষ্ঠান। বরাবরের মতোই শিক্ষণীয়, উপভোগ্য। শুরুতে মঞ্চে সমবেত শিল্পীরা গাইলেন রবিঠাকুরের দুটি গান, ১। আনন্দলোকে, মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর, ২। বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি। শেষোক্ত গানটিই অনুষ্ঠানের শিরোনাম। বর্তমান বিশ্বে যে সহিংসতা চলছে তার বিপরীতে শান্তির বাণী এসব গান। ফণীর ছোবলে যারা মৃত্যুবরণ করেছে সেই উড়িষ্যার ও বাংলাদেশের মানুষদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর উদ্বোধনী নাচ নিয়ে আসেন নৃত্যলোক সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর শিল্পীরা। রবীন্দ্রনাথের দুটি গানের সুরে তাঁরা নৃত্য পরিবেশন করলেন। এরপর আরও গান ও নৃত্য ছিল। সেইসঙ্গে বিশিষ্ট আবৃত্তিকারদের কণ্ঠে আবৃত্তি পরিবেশনা। অনুষ্ঠানে আলোচনাপর্ব ছিল কান পেতে শোনার মতো। সভাপ্রধান অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছাড়াও প্রাণবন্ত আলোচনা করেন আতিউর রহমান ও কামাল চৌধুরী। আমরা জানি, যে কোন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে যে কোন আয়োজনের জন্য সবচেয়ে বেশি সময় ও শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়। রবীন্দ্র একাডেমির সাধারণ সম্পাদক একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা বুলবুল মহলানবিশ সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন উৎসবের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নিরলস সক্রিয় ভূমিকা রেখে। তাঁকে সংগঠনের প্রাণভোমরা আখ্যায়িত করলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল ইসলাম বেদু। মে দিবস পেরিয়ে এলাম মে দিবস। আমাদের সংবাদপত্র এদিন ছুটি থাকে। এমনিতে সংবাদপত্রের ছুটি খুবই কম। পাঠক জানেন আমরা একুশে ফেব্রুয়ারি, ছাব্বিশে মার্চ, ষোলোই ডিসেম্বরের মতো বিশেষ দিবসেও অফিস করি। যা হোক, মে দিবসে সংবাদপত্রে সম্পাদকীয়/আর্টিক্যাল লেখা হলেও এদিন ‘মে দিবসের পত্রিকা’ বলে কিছু বেরোয় না। অবশ্য আশির দশকে আমরা যখন ‘নাটক শুধু বিনোদন নয়, শ্রেণী সংগ্রামের সুতীক্ষè হাতিয়ার’ মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে নাটক করতাম, সে সময়ে চার পাতার ‘মে দিবসের কাগজ’ বেরুতো আমাদের আরণ্যক নাট্যদল থেকেই। তাতে মে দিবসের কবিতা লিখতাম আমরা ক’জন। এখন কি মে দিবসের কাগজ বের হয়? ‘সর্বজনকথা’ নামে একটি সাময়িক পত্রিকা মে দিবসকে সামনে রেখে প্রকাশিত হয়েছিল একবার। পত্রিকাটির সংবাদ দিতে গিয়ে পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ঢাবির শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা ঋতুর বক্তব্য অন্তর ছুঁয়ে গিয়েছিল। তাঁর কথা যেন শ্রমের প্রতি মর্যাদাশীল বহু মানুষের কথা। কথাগুলো স্মরণ করি আবার : ‘মে দিবস শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে পুনর্বার অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার দিন। দুনিয়াজুড়ে সকল মজদুরের আমৃত্যু লড়াইয়ের কণ্ঠকে নতুন করে শুনবার দিন। ঘামে ভিজতে ভিজতে পরিবারের যেই শিশু মেয়েটি, যেই শিশু ছেলেটি হয়ে ওঠে প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক, যার ঘামে ফলে ফসল আর আমাদের গায়ে জোটে কাপড়, যার হাতুড়ির বাড়িতে, শাণিত করাতের ধারে, পেরেকের ঠোকায় গড়ে ওঠে বাড়ি-ঘর-মসনদ, যার নির্ঘুম রাতের বিনিময়ে নিশ্চিন্তে ঘুমায় মালিক শ্রেণী, যার পরিবারহীন রাত্রিযাপনে টিকে থাকে অন্য কোন পরিবার, যার হাতের পরশে শহরের পথের আবর্জনা অদৃশ্য হয়Ñ সেইসব মানুষের লড়াই সংগ্রামের গল্প নগরজীবনে অদৃশ্য প্রেতাত্মার মতো ঘুরে বেড়ায়। শ্রমিকের ওপর নিপীড়নের কাহিনী, অন্যায্য মজুরি আর অনিরাপদ কর্মপরিবেশে সদাসম্প্রসারমান শ্রমবাজারের করুণ আখ্যানে বাতাস ভারি হতে থাকে। ঝড় আসে না। আন্দোলনের বীজ সহস্রবার মূলেই ধ্বংস হতে হতে দুটি লড়তে থাকা কচিপাতার মতো চেয়ে থাকে যেই শ্রমিকের হারাতে বসা স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন পুনর্বার ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাস, দেখে সংগঠিত শ্রমিকের পদযাত্রার ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলো, দেখে কঠোর আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অধিকার আদায়ের সাফল্য। কোটি কোটি কণ্ঠের একত্রিত ধ্বনিতে যেই দিন কেঁপে উঠবে দুনিয়া, ন্যায্য অধিকার আদায় করবে শ্রমিক, সেই দিনের অপেক্ষায় বার বার মে দিবস আসবে। ব্যর্থতায় ও সফলতায় চলতে থাকবে অন্তহীন লড়াই।’ ০৫ মে ২০১৯ [email protected]
×