ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ছাড়পত্র ছাড়াই যশোরে গড়ে উঠছে ইটভাঁটি

প্রকাশিত: ০৯:২৪, ৫ মে ২০১৯

ছাড়পত্র ছাড়াই যশোরে গড়ে উঠছে ইটভাঁটি

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ বৃহত্তর যশোরের চার জেলায় ইটের ভাঁটিগুলোতে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ইট তৈরি কার্যক্রম। বছরের পর বছর ধরে যে যার মতো ভাঁটিতে ইট তৈরি করে লাভজনক এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে ছাড়পত্র না থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব ইটভাটি মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও জরিমানা আদায়ের বিষয়ে অভিযান শুরু করেছেন। যশোর জেলা পরিবেশ অধিদফতর হচ্ছে বৃহত্তর যশোরের ৪ জেলার কার্যালয়। এখান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার পরিবেশ কার্যক্রম। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন, পরিবেশ অধিদফতরের জরিপ অনুযায়ী বৃহত্তর যশোরে ১শ’ ২৯টি ইটেরভাঁটি রয়েছে। এরমধ্যে যশোরে ৩০ টি, নড়াইলে ১২ টি, মাগুরায় ৪৪টি এবং ঝিনাইদহে ৪৩টি ইটেরভাঁটি রয়েছে। এসব ইটেরভাঁটিতে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নেই। দু’একটিতে ছাড়পত্র রয়েছে। বাকিগুলোতে পরিবেশ অধিফতরের ছাড়পত্র ছাড়াই চালানো হচ্ছে। পরিবেশ আইন না মেনেই এসব ইটভাঁটির মালিকরা ইট প্রস্তুত করে তাদের ব্যবসা করছেন। পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে পরিবেশ আইন প্রয়োগের বেলায় পরিবেশ অধিদফতরের কার্যক্রমেও ব্যক্তির প্রভাব বা ক্ষমতা বুঝে শিথিল করার অভিযোগ রয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে পরিবেশ আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদফতর তাদের কার্যক্রম জোরদার করেছে। এর অংশ হিসেবে বৃহত্তর যশোরের ৪ জেলার ইটেরভাঁটিগুলোতে চালানো হচ্ছে অভিযান। এ অভিযান চলিয়ে পরিবেশ অধিদফতর যশোর জেলা কার্যালয় গত ২০১৮ সাল থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪ মাসে ৪৮টি ইটের ভাঁটিতে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা করে। এরমধ্যে ক্ষতিপূরণ আদায় হয়েছে ১৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। যশোর পরিবেশ অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, তাদের কর্যালয় থেকে কোন ক্ষতিাপূরণ আদায় করা হয় না। ইটের ভাঁটি বা শিল্প কারখানায় পরিদর্শন করে ঢাকা প্রধান অফিসের এনফোর্সমেন্ট শাখায় পাঠান। সেখানে মামলার শুনানি হয়। সেখানে মামলার শুনানি শেষে ক্ষতিপূরণ ধার্য ও আদায় করা হয়। সূত্র জানিয়েছে, ১ কোটি ৩৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্যকৃত ৪৮টি মামলা ছাড়াও ঝিনাইদহ জেলায় ২২ ইট ভাঁটি মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি ইট ভাঁটির মালিকের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ ধার্যের জন্য ঢাকায় এনফোর্সমেন্ট শাখায় পাঠানো হয়েছে। যশোর জেলায়ও কয়েকটি ইটের ভাঁটির মধ্যে অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাঁটির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ ধার্যের জন্য এনফোর্সমেন্ট শাখায় প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে মাগুরার ২০টি এবং নড়াইলের ৫টি ইটভাঁটির মালিকের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ ধার্য করার জন্য এনফোর্সমেন্ট শাখায় পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা পরিবেশ অধিদফতর যশোরের উপ-পরিচালক শেখ মোঃ নাজমুল হুদার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট ঢাকা অফিসের প্রধান কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট শাখায় পাঠাই। সেখানে মামলার শুনানি হয়। শুনানি শেষে এনফোর্সমেন্ট শাখা থেকে মামলার ক্ষতিপূরণ ধার্য করে। যা ইটের ভাঁটির মালিকগণ পরিশোধ করে থাকেন।
×