ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাবনায় বৈশাখী উৎসবের দাওয়াতপত্র বিতরণকালে কলেজছাত্র খুন

প্রকাশিত: ১২:৩১, ১৩ এপ্রিল ২০১৯

  পাবনায় বৈশাখী উৎসবের  দাওয়াতপত্র বিতরণকালে কলেজছাত্র খুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১২ এপ্রিল ॥ বৈশাখী উৎসবের দাওয়াতপত্র বিতরণকালে এক কলেজছাত্রকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আরও ৬ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার রাত ৭টার দিকে সদর উপজেলার হারিয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কলেজছাত্র শৈশব সাহা পাবনা সরকারী শহীদ বুলবুল কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ও পাবনা পৌর এলাকার সিঙ্গা পালপাড়ার চাল ব্যবসায়ী ভজেন্দ্র নাথ সাহার ছেলে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবায়দুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, পাবনা সদরের মালঞ্চি ইউনিয়নের হারিয়াবাড়ি এলাকায় স্থানীয় আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং বাবু ওরফে কটা বাবু গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় মামুন গ্রুপের শৈশব সাহাসহ ৬টি মোটরসাইকেল নিয়ে ১০/১২ জনের একদল ছেলে বৈশাখী উৎসবের দাওয়াতপত্র বিতরণ করতে হারিয়াবাড়ি গ্রামে যায়। এ সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে কটা বাবুর নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্তরা তাদের পথরোধ করে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাদের এলোপাতাড়ি মারপিট ও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা ৬টি মোটরসাইকেল ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে কলেজছাত্র শৈশব মারা যায়। আহত ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তিনি আহতদের নাম জানাতে পারেননি। ওসি আরও জানান, এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশী তৎপরতা চলছে। এ বিষয়ে একপক্ষের নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বৈশাখী উৎসবের জন্যে আমাদের লোকজন হারিয়াবাড়ি গ্রামে দাওয়াতপত্র বিলি করছিল। এ সময় কটা বাবুর লোকজন হামলা করে শৈশবকে হত্যা করেছে। তারা ৬টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ ৬/৭ জনকে মারাত্মক আহত করেছে। আমরা এই হত্যাকান্ডে দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। এ ব্যাপারে অপর পক্ষের নেতা কটা বাবুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
×