ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

সুুুগন্ধি ধানের সুঘ্রাণে জুড়ায় প্রাণ

প্রকাশিত: ১১:০৯, ৩ এপ্রিল ২০১৯

সুুুগন্ধি ধানের সুঘ্রাণে জুড়ায় প্রাণ

মেঠোপথ দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে হঠাৎ পথিকের নাক আটকে যায় কোন এক অজানা সুঘ্রাণে। পথিক বার বার নাক টেনে বোঝার চেষ্টা করেন এই সুন্দর ম-ম গন্ধটা কোথায় থেকে আসছে। একটু এদিক-সেদিক তাকিয়ে পরক্ষণে বুঝতে অসুবিধা হয় না, গন্ধটা আসছে পাশের ধান ক্ষেত থেকেই। এটি গ্রামবাংলার চিরায়ত রূপ। সুদীর্ঘ কাল থেকে গ্রাম বা শহরে ধনী কিংবা গরিব সকলের ঘরোয়া কোন উৎসবে, অতিথি আপ্যায়নে সুগন্ধি চালের তৈরি নানান মুখরোচক খাবার আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা বাংলাদেশে কৃষক তাঁর জমির কোণে বা কোন একটি অংশে চাষ করে আসছে সুগন্ধি সরু বা চিকন ধান। উদ্দেশ্য ঈদ-পূজা-পার্বণসহ নানা উৎসব ও আয়োজনে অতিথি আপ্যায়নে সুগন্ধি চালের তৈরি পোলাও, বিরিয়ানি, কাচ্চি, ফিন্নি, পিঠাপুলিসহ নানান মুখরোচক খাবার পরিবেশন। কালের বিবর্তনে প্রচলিত দেশী জাতের স্থলে এসেছে উচ্চ ফলনশীল সুগন্ধি ধানের জাত। এখন শুধু পারিবারিক প্রয়োজনে নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সুগন্ধি ধান চাষ হচ্ছে। কারণ, এই ধান চাষে সমান শ্রমে লাভ বেশি। কেননা সুগন্ধি চালের দাম অন্য যে কোন চালের তুলনায় অনেক বেশি। এক কেজি সাধারণ চালের দাম যেখানে ৪৫-৫০ টাকা সেখানে এক কেজি সুগন্ধি চালের দাম ৮০-১২০ টাকা পর্যন্ত হয়। এই চালের রয়েছে দেশ বিদেশে ব্যাপক চাহিদা। এছাড়া সুগন্ধির চালের তৈরি খাবার বাণিজ্যিকভাবে স্থান করে নিয়েছে হোটেল-রেস্তরাঁর কোন উৎসব কিংবা সেট মেন্যুতে। সুগন্ধি চালের সুন্দর গন্ধের জন্য উপাদান টু-এসিটাইল-ওয়ান-পাইরোলিন (২অ-১চ) নামক জৈব যৌগ। যেসব ধানের চালে এই উপাদান থাকে সেগুলোকেই আমরা সুগন্ধি চাল বলে থাকি। এটি একটি উদ্বায়ী উপাদান যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে এবং এটা সাধারণত ৬-৮মাস পর্যন্ত চালে বিদ্যমান থাকে। ধান চাষের তিনটি মৌসুমের মধ্যে আমন ও বোরো মৌসুম সুগন্ধি সরু বা চিকন ধান চাষের উপযুক্ত মৌসুম। দেশী উন্নতমানের সুগন্ধি চাল সম্পর্কে ধারণা ও প্রচারণার অভাব থাকায় নামী-দামী হোটেল, রেস্তরাঁয় আমাদের দেশীয় সুগন্ধি চালের পরিবর্তে বিদেশী সুগন্ধি চালের ব্যবহার দেখা যায়। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়। অধিক পরিমাণে সুগন্ধি ধান চাষাবাদ করে রফতানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব। বিশে^র বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছে আমাদের সুগন্ধি চালের ব্যাপক চাহিদা। বাংলাদেশের কিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠান প্যাকেটজাত সুগন্ধি চাল ১৩৬টি দেশে রফতানি করছে। বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার মাধ্যমে প্রতিবছর রফতানিকৃত সুগন্ধি চালের পরিমাণ প্রায় ৫৯৯৭ টন (সূত্র: রাইস মার্কেট মনিটর, এফএও-২০১৭)। এছাড়া বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রায় ১ কোটি প্রবাসী বাংলাদেশীর মাধ্যমে আরও প্রায় ২.৫-৫ হাজার টন সুগন্ধি চাল বিদেশে যায় (সূত্র : কৃষি তথ্য সার্ভিস)। বাংলাদেশের আবহাওয়া ও পরিবেশ সুগন্ধি ধান চাষাবাদের উপযোগী। সারাদেশেই কম বেশি সুগন্ধি ধানের চাষ হয়। তবে ঠা-াপ্রবণ এলাকায় চালে সুগন্ধি বেশি হয়। বিশেষ করে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, রংপুর, নওগাঁ, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ জেলায় সুগন্ধি ধান বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশে অঞ্চলভিত্তিক প্রচুর সুগন্ধি ধানের জাত আছে। ব্রির গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে এক সময় প্রায় ৫৭ ধরনের সুগন্ধি জাতের চাষ হতো, বর্তমানে কম-বেশি ৩২ ধরনের সুগন্ধি জাতের চাষ হয়। এগুলোর মধ্যে অতিসুগন্ধি জাতগুলো হলো কালিজিরা, চিনিগুঁড়া, কাটারিভোগ, তুলসীমালা, বাদশাভোগ, খাসখানী, চিনি আতপ, বাঁশফুল, দুর্বাশাইল, বেগুন বিচি, কাল পাখরী ইত্যাদি। হালকা সুগন্ধিযুক্ত জাতগুলোর মধ্যে কৃষ্ণভোগ, গোবিন্দভোগ, পুনিয়া, কামিনী, জিরাভোগ, চিনিশাইল, সাদাগুঁড়া, মধুমাধব, দুধশাইল উল্লেখযোগ্য (সূত্র : ব্রি জিন ব্যাংক)। এছাড়া বোরো মৌসুমে টেপি বোরো, রাতা বোরো, লাফা এবং আমনে কাটারি ভোগ, রানীস্যালুট, রাঁধুনীপাগল জাতগুলো কৃষকরা এখনও চাষ করেন। প্রচলিত এই জাতগুলোর বেশির ভাগই বিঘাপ্রতি ফলন তুলনামূলক অনেক কম। এজন্য প্রচলিত জাতগুলো উন্নয়নে ও নতুন উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবনে গবেষণা করছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। ব্রি এখন পর্যন্ত মোট ৮টি সরু এবং সুগন্ধি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। এগুলো হচ্ছে-আমন মৌসুমে বিআর৫ (দুলাভোগ), ব্রি ধান৩৪, ব্রি ধান৩৭, ব্রি ধান৩৮, ব্রি ধান৭০, ব্রি ধান৭৫, ব্রি ধান৮০ এবং বোরো মৌসুমে চাষ উপযোগী ব্রি ধান৫০ যা বাংলামতি নামে পরিচিত। ব্রি’র বিজ্ঞানীরা সুগন্ধি ধানের ফলনের ধারণাই পাল্টে দিয়েছেন। আগে যেখানে প্রচলিত জাতগুলোর বিঘাপ্রতি ফলন হতো ৫-৮ মণ এখন ভাতভেদে বিঘাপ্রতি ফলন হয় ১২-২২ মণ। এছাড়া স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় সুগন্ধিজাত থেকে বিশুদ্ধ সারি বাছাই করে উফশী সুগন্ধি জাত এবং এ্যান্থোসায়ানিন ও এন্টি-এক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ব্ল্যাক রাইসের জাত উদ্ভাবনের কাজ ব্রিতে গুরুত্বের সঙ্গে চলমান রয়েছে। ব্রি ছাড়া বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট দুটি এবং কৃষি বিশ^বিদ্যালয় ১টি উফশী সুগন্ধি ধানের জাত অবমুক্ত করেছে। এসব জাতের মানসম্পন্ন বীজ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শ মোতাবেক সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের জেলা ও বিভাগীয় অফিস থেকে সংগ্রহ করা যাবে। ব্রি ধান৩৪ জাতের ধান চিনিগুঁড়ার মতোই অথচ ফলন প্রায় দ্বিগুণ হওয়ায় কৃষকরা এ ধানের আবাদে অত্যন্ত আগ্রহী হচ্ছেন। বাজারে যে চিনিগুঁড়া চাল পাওয়া যায় তার প্রায় ৮০% ব্রি ধান৩৪। আলোক সংবেদনশীল হওয়ায় এই জাতটি আমনে বন্যাপ্রবণ এলাকায় নাবীতে রোপণ উপযোগী। ব্রি ধান৭০ কাটারিভোগ টাইপ এবং এর বিঘাপ্রতি গড় ফলন প্রায় ১৭ মণ, যা কাটারিভোগের দ্বিগুণ এবং কাটারিভোগের চাইতে চালও কিছুটা লম্বা। ব্রি ধান৮০ আলোক অসংবেদনশীল, এর বিঘাপ্রতি গড় ফলন প্রায় ১৮ মণ এবং এটি থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় জাত জেসমিন ধানের মতো সুগন্ধযুক্ত এবং খেতেও বেশ সুস্বাদু। অপরদিকে বোরো মৌসুমে সুগন্ধিযুক্ত আধুনিক জাত ব্রি ধান৫০ বা বাংলামতি। যার বিঘাপ্রতি ফলন প্রায় ২০ মণ। বাংলামতি চাল বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন জাতের চালের চেয়ে দাম অনেক বেশি হওয়ায় লাভ বেশি হয়। এ জাতের চালের মান, স্বাদ, গন্ধ, বাসমতি চালের মতোই। দিনে দিনে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত বাসমতি চালের স্থান দখল করে নিচ্ছে আমাদের বাংলামতি চাল। আমদানিকৃত বিদেশী বাসমতি চালের চেয়ে দাম অনেক কম, দেশি অন্যান্য সুগন্ধি জাতের ধানের চেয়ে ফলন বেশি হওয়ায় বাংলামতি ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। বোরো মৌসুমে চাষযোগ্য ব্রি ধান৬৩ (সরু বালাম) এর ফলন হয় প্রায় ২৩ মণ। এটি অনেকটা পাকিস্তানি বাসমতির মতো লম্বা, সুগন্ধ না থাকলেও এই চাল মূল্যবান ও ভাতের স্বাদ বেশি। চাল সরু, রান্নার পর লম্বায় ভাতের আকার বাড়ে। এই জাতটি বৃহত্তর কুষ্টিয়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের শুষ্ক অঞ্চলে চাষযোগ্য। সব ধরনের মাটিতেই সুগন্ধি ধানের চাষ করা যায়। তবে দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি সুগন্ধি ধান চাষাবাদের জন্য বেশি উপযোগী। বোরো মৌসুমে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ এবং রোপা আমন মৌসুমে ১৫ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত বীজতলায় বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। তবে স্বল্পমেয়াদি জাতের ক্ষেত্রে জুলাইয়ের ২য় থেকে ৩য় সপ্তাহে বপন করা ভাল। মূল জমি ভালভাবে তৈরি করে আমন মৌসুমে ২৫ থেকে ৩০ দিনের এবং বোরো মৌসুমে ৩৫ থেকে ৪০ দিনের চারা রোপণ করতে হয়। সুগন্ধি ধানের ভাল ফলনের জন্য সার ব্যবস্থাপনা খুর জরুরী। সুগন্ধি ধানের জমিতে বিঘাপ্রতি (৩৩ শতকে) আমনে আধুনিক জাত ব্রি ধান৩৪, ৩৭, ৩৮, ৭০, ৮০ বা বিনাধান১৩ এর ক্ষেত্রে ইউরিয়া ১৮-২০ কেজি, টিএসপি ৮-১০কেজি, এমওপি ১২-১৪ কেজি, জিপসাম ৮-১০ কেজি, দস্তা ১ কেজি হারে সার প্রয়োগ করতে হয়। আমনে স্থানীয় জাত যেমন- কাটারিভোগ, কালিজিরাসহ অন্যান্য জাতের ক্ষেত্রে ইউরিয়া ১০কেজি, টিএসপি ৬কেজি, এমওপি ৬কেজি, জিপসাম ৩কেজি, দস্তা আধা কেজি হারে প্রয়োগ করতে হয়। বোরো মৌসুমে ব্রি ধান৫০ জাতের ক্ষেত্রে বিঘাপ্রতি ইউরিয়া ৩০-৩৫ কেজি, টিএসপি ১২-১৪ কেজি, এমওপি ২০-২২কেজি, জিপসাম ১৩-১৫কেজি, দস্তা ১কেজি হারে প্রয়োগ করতে হয়। মাটির উর্বরতা ভেদে সার প্রয়োগের পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। তবে চাষাবাদ করার আগে মাটি পরীক্ষা করে নেয়া ভাল। রাসায়নিক সারের পাশাপাশি জৈব সার ব্যবহারের মাধ্যমে চাষাবাদ করলে সুগন্ধি চালে সুঘ্রাণ বেশি হয়। এজন্য প্রতি শতকে ৪কেজি ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে জমির উর্বরতা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি ফলন ভাল হয়, খরচ কম, লাভ বেশি। আমন ও বোরো উভয় মৌসুমে ভাল ফসল পেতে জমিতে সঠিক সময়ে সঠিক মাত্রায় সেচ দিতে হবে। এক্ষেত্রে পানি সাশ্রয়ী এডব্লিউডি (অডউ) প্রযুক্তি ব্যবহার করলে পানি অপচয় কম হয়। সুগন্ধি ধানের জাতগুলো সাধারণত ব্লাস্ট রোগের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে থাকে। সেজন্য শীষ বের হওয়ার আগে প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ছত্রাকনাশক ট্রাইসাইক্লাজল (ঞৎরপুপষধুড়ষব) গ্রুপের যেমন ট্রুপার বিঘাপ্রতি ৫৩ গ্রাম অথবা ট্রাইপ্লক্সস্ট্রবিন গ্রুপের যেমন- নেটিভো বিঘাপ্রতি ৩৩ গ্রাম ৬৭ লিটার পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে ৫-৭দিন অন্তর দু’বার স্প্রে করতে হয়। তাছাড়া উৎপাদন সময়ে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ফসলের মাঠে নিয়মিত নিবিড় পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। ধান পরিপক্ব হলে অর্থাৎ অধিকাংশ ধানের ছড়ায় শতকরা ৮০ ভাগ পেকে গেলে ধান কেটে ফেলা ভাল। মাড়াইয়ের পর ধান কয়েক বার রোদে শুকিয়ে নিতে হবে যেন আর্দ্রতা শতকরা ১৪ ভাগের নিচে থাকে। লম্বা আকারের সুগন্ধি ধান থেকে আস্ত চাল পেতে হলে রাবার রোলার মেশিন বা অটো রাইস মিল ব্যবহার করা ভাল। পরিশেষে, সুগন্ধি চালের সুঘ্রাণ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে কৃষক সমাবেশ, মাঠ দিবস ও কৃষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে সুগন্ধি ধান চাষে আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। সুগন্ধি ধানের ন্যায্যমূল্যে নিশ্চিত করতে সঠিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে এবং ব্যাপক প্রচার ও প্রচারণার মাধ্যমে বাংলার সুগন্ধি ধানের মান, পুষ্টিগুণের কথা দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে। সকলের মাঝে বিদেশী সুগন্ধি জাতের চালের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বাংলামতিসহ দেশীয় সুগন্ধি চালের তৈরি নতুন নতুন আর্কষণীয় খাবারের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারলেই সুগন্ধি ধানের হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসবে। এতে কৃষকরা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হবে তেমনি দেশের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এক্ষেত্রে, ব্রি নিরন্তর সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রেখেছে। লেখক : মহাপরিচালক, ব্রি, গাজীপুর
×