ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার জীবনমান উন্নয়নে ১০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত: ১০:৩৭, ১ এপ্রিল ২০১৯

ঢাকার জীবনমান উন্নয়নে ১০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মেগাসিটি ঢাকার জনসংখ্যা দুই কোটি ছুঁই-ছুঁই। সময়ের সঙ্গে শহরে জনসংখ্যা ও ভবন দুই বেড়েছে। বিভিন্ন সমস্যা নিত্যদিনের সঙ্গী নগরবাসীর। নগরবাসীর এমন সমস্যা মাথায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধীন চারটি এলাকার নগরসেবা ও জনগণের বিশেষ উন্নয়নে ১০০.৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যা স্থানীয় মুদ্রায় ৮৪০ কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংকের ওয়াশিংটনে এই অনুমোদন দেয়া হয় বলে রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। ঢাকার চারটি এলাকা চিহ্নিত করে ‘ঢাকা নেইবারহুড আপগ্রেডিং প্রজেক্ট’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, নয়াবাজার, সূত্রাপুর, গুলিস্তান, খিলগাঁও, মুগদা ও বাসাবো এলাকায় জনসাধারণের ব্যবহারযোগ্য স্থান বৃদ্ধি ও নগর সেবার উন্নয়ন করা হবে। বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে পার্ক, খেলার মাঠ, জলপ্রপাতের মতো উন্মুক্ত স্থানগুলো উন্নত হবে। নির্বাচিত এলাকাগুলোর জীবিকা বৃদ্ধি করবে। এ প্রকল্পের আওতায় এসব এলাকায় পাবলিক টয়লেট, কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস বিল্ডিং নির্মাণ করা হবে যার ওপরে জিমনেশিয়াম ও লাইব্রেরি থাকবে। প্রকল্প বিশেষ করে নারী, যুবক, বয়স্ক ও অক্ষমদের চাহিদা পূরণ করবে। বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংক কান্ট্রি ডিরেক্টর রবার্ট সাম বলেন, ঢাকা বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কেন্দ্র, যার জিডিপির এক-পঞ্চমাংশ এবং কর্মসংস্থান প্রায় অর্ধেক। ১৯৮০ সালে ১ মিলিয়ন জনসংখ্যা এখন ১৮ মিলিয়ন। তবে, এর অবকাঠামো তার জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে পারে না। প্রকল্পটি জনসাধারণের স্পেস ভোগ করতে সহায়ক হবে। সেই সঙ্গে অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যাবে। জানা গেছে, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ডিএসসিসি এলাকায় যেসব নদী, পুকুর বা ঝিল রয়েছে সেগুলোর উন্নয়ন করে দু’পাশে বাঁধাই করে দেয়া, সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হবে যাতে অবসর সময়ে মানুষ এখানে এসে সময় কাটাতে পারেন। এ প্রকল্পের আওতায় এসব এলাকায় পাবলিক টয়লেট, কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস বিল্ডিং নির্মাণ করা হবে যার ওপরে জিমনেশিয়াম ও লাইব্রেরি থাকবে। সেই সঙ্গে এলাকার যেসব রাস্তাঘাট ভাঙ্গাচোরা ও ব্যবহার অযোগ্য সেগুলো ঠিক করার পাশাপাশি নতুন রাস্তা তৈরি করা হবে। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য এসটিএস নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে। এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে ৩০ বছরে। এর মধ্যে গ্রেস পিরিয়ড প্রথম পাঁচ বছর। পরবর্তীকালে ১.২৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।
×