ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

হাত-পা বেঁধে আগুনে ॥ মারা গেলেন সেই নারী চিকিৎসক

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ৩০ মার্চ ২০১৯

 হাত-পা বেঁধে আগুনে ॥  মারা গেলেন সেই  নারী চিকিৎসক

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটে প্যারামেডিক চিকিৎসক ডালিয়া বেগম (৩০) অবশেষে মারা গেলেন। প্রায় দুই মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মারা যান। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। আলিফ নামে এক শিশু সন্তানের জননী ডালিয়াকে হাত পা বেঁধে তার গায়ে আগুনে ধরিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। এতে তার শরীরের অধিকাংশ স্থান পুড়ে যায়। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। শুক্রবার যাত্রাপুরের রহিমাবাদ স্কুল মাঠে জানাজা শেষে তাকে রহিমাবাদ গ্রামের পিতার বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সেখান উপস্থিত শতশত মানুষ চিকিৎসক ডালিয়া বেগমের নৃশংস হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। নিহতের স্বামী হায়দার সরদার জনকণ্ঠকে জানান, বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর বাজারে ডালিয়া বেগমের ‘ডালিয়া ফার্মেসী’ ছিল। প্রতিদিনের মতো গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফার্মেসি বন্ধ করে স্থানীয় বাইতুল আমান মসজিদের পাশে আসলে ৫ থেকে ৬ জন দুর্বৃত্ত তার হাত পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। এ সময় সে তার সৎ চাচা কালাম শেখ, তার স্ত্রী রুমিছা বেগম ও বাবুলকে চিনতে পারে। বাকি কয়েকজনকে সে চিনতে পারেনি। হাত-পা বেঁধে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তার চাচা কালাম শেখ। এক পর্যায়ে আগুনে হাতের বাঁধন পুরে গেলে চিৎকার দিয়ে এক বাড়ি ঢুকে পড়ে। সে সময় স্থানীয়রা তার গায়ের আগুন নিভিয়ে খুমেক হাসপাতালে নিয়ে যান।
×