ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

ফাল্গুনেই রাজশাহীর বাজারে মিলছে গ্রীষ্মের তরমুজ

প্রকাশিত: ০৯:১৭, ৯ মার্চ ২০১৯

  ফাল্গুনেই রাজশাহীর বাজারে মিলছে গ্রীষ্মের  তরমুজ

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ এবার ফাল্গুনেই বাজারে মিলেছে গ্রীষ্মের রসালো ফল তরমুজ। গ্রীষ্মের তপ্ত দিনে তৃপ্তি এনে দেয়া তরমুজ এবার বাজারে এসে গেছে আগেভাগেই। শীতের খোলস ছেড়ে এখনও তপ্তরোদের ঝলকানির আগেই বাজারে আসা তরমুজের বেচাবিক্রি কম। বাজারের নতুন ফল হিসেবে দামও তুলনামূলক কম। রাজশাহীর বাজারে এখন খুচরা তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। তুলনামূলক কম দামেও ক্রেতা না থাকায় শুরুতেই হতাশ বিক্রেতারা। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, বাজারে এখন আগাম জাতের তরমুজ এসেছে। তবে এসব তরমুজ চাষ হয়নি রাজশাহীতে। দক্ষিণের বিভিন্ন জেলা থেকে এসব তরমুজ এসেছে। রাজশাহীতে খুবই স্বল্প পরিমাণ তরমুজ চাষ হলেও তা এখনও বাজারে ওঠেনি। গত কয়েকদিন ধরেই রাজশাহী নগরীর সাহেব-বাজার, লক্ষ্মীপুর, রেলগেট, রেলস্টেশন, শিরোইল কাঁচাবাজার, দড়িখরবোনাসহ বিভিন্ন বাজারে তরমুজ বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। শালবাগানের পাইকারী আড়ত থেকে এসব তরমুজ এসেছে। খুচরায় প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দর হাঁকা হচ্ছে এসব তরমুজের। নতুন ফল হিসেবে কেউ কেউ কিনলেও তা খুব কম বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। শুক্রবার সকালে নগরীর সাহেববাজারে তরমুজ কিনছিলেন নগরীর রাজারহাতা এলাকার বাসিন্দা ওলিউল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রকৃতিতে শীতের আমেজ থাকায় তরমুজের বিষয়ে তার খুব একটা আগ্রহ নেই। কিন্তু তার বাচ্চা তরমুজ খুব পছন্দ করে। তাই ফলটি বাজারে দেখেই কিনলেন। দড়িখরবোনা মোডের বিক্রেতা নুরুল ইসলাম বলেন, অন্য বছরগুলোতে এই সময়েই আবহাওয়া গরম থাকে। সে হিসেবেই আগাম জাতের তরমুজ চাষ করেছিলেন চাষীরা। তারাও লাভের আশায় কিনে এনেছেন। কিন্তু আবহাওয়া তুলনামূলক ঠান্ডা থাকায় তরমুজের বেচাবিক্রি খুবই কম। এতে তারা লোকসানেরও আশঙ্কা করছেন। তবে আবহাওয়া একটু উষ্ণ হলেই বিক্রি জমবে বলেও জানান তিনি। এদিকে পাইকারি বিক্রেতারা জানান, তারা মৌসুমের আগেই বিভিন্ন জেলার চরাঞ্চলের তরমুজ চাষীদের সঙ্গে চুক্তি করে রাখেন। ফলে না কিনে এনেও উপায় নেই। এখন কালা, বাংলালিংক, গ্রামীণ, আনারকলি, অলক্লিন, চায়না-২, এশিয়ান-২, বালিসহ বিভিন্ন জাতের তরমুজ উঠতে শুরু করেছে। তারাও আনছেন। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় চাহিদা খুব একটা নেই। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল হক জানান, রাজশাহীতে খুবই স্বল্প পরিমাণ জমিতে তরমুজ চাষ হয়। সিরাজগঞ্জ, বরিশাল ও ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের তরমুজ দিয়েই রাজশাহীর চাহিদা মেটে। তবে তারা এখানেও তরমুজ চাষ সম্প্রসারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
×