ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা সঙ্কেত

প্রকাশিত: ১০:৪৮, ৬ মার্চ ২০১৯

সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা সঙ্কেত

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনভর চট্টগ্রামে ছিল বৈরীু আবহাওয়া। আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে জনজীবনে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। তবে সমুদ্রে এ মুহূর্তে কোন নিম্নচাপ নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এদিকে, বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেনার হ্যান্ডলিং স্বাভাবিক থাকলেও বহির্নোঙ্গরে পণ্য লাইটারিং ও অভ্যন্তরীণ জলপথে লাইটার জাহাজ চলাচল ব্যাহত হয়। চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী জানান, বঙ্গোপসাগরে এখন কোন নিম্নচাপ নেই। পশ্চিমবঙ্গের কাছাকাছি সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাব রয়েছে বাংলাদেশ পর্যন্ত। সে কারণেই আকাশ মেঘলা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এটিকে শীতের শেষে প্রি-মনসুন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জানান, মঙ্গলবার সূর্যের দেখা তেমন না মিললেও বুধবার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। পরদিন আবারও আকাশ মেঘলা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার স্থলে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার। তবে সাগরে আরেকটু বেশি ছিল এ গতি। এদিকে, বৈরি আবহাওয়ার কারণে স্বাভাবিক জনজীবনে ছন্দপতন ঘটে। সকাল থেকে কর্মজীবী মানুষ পড়েন দুর্ভোগে। শিশু কিশোর শিক্ষার্থীদের অনেকেই ঘরে বন্দী থাকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে উপস্থিতি ছিল কম। আবহাওয়ার এই বৈরিতার কারণে কমেছে তাপমাত্রা। ফলে শীত মৌসুম শেষ হলেও বসন্তে রয়ে যায় শীতের আমেজ। চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, জেটিতে কন্টেনার হ্যান্ডলিং স্বাভাবিক ছিল। তবে বহির্নোঙ্গরে বড় জাহাজে পণ্য উঠানামা ব্যাহত হয়। অভ্যন্তরীণ জলপথে পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হয়। সাগরে বাতাস অপেক্ষাকৃত বেশি থাকায় ছোট ছোট নৌযানগুলোকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। আবহাওয়া অফিস থেকে কোন ধরনের সতর্কতা সঙ্কেত না থাকলেও মাছ ধরার নৌযান ও নৌকাগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে নিরাপদে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
×