ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১০:৪৭, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

উবাচ

নেতারাই ব্যর্থ স্টাফ রিপোর্টার ॥ খালেদা জিয়া কারাবন্দী, এরপর নির্বাচনেও এত বড় ভরাডুবি। বিশ্লেষকরা অনেক আগে থেকেই বলছেন বিএনপির উচিত ভুলগুলো শুধরে রাজনীতি করা। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির মধ্যেও সেই আত্মোপলব্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপির সিনিয়র নেতা মওদুদ আহমদ বলছেন, নেতৃত্বের ব্যর্থতা রয়েছে বিএনপির। তিনি বলেছেন, যারা দলের নেতৃত্বে আছেন তারা কর্মীদের আন্দোলনের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারেননি। ব্যর্থতার এই বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসার জন্য মওদুদ একটি কর্মপরিকল্পনাও প্রস্তাব করেছেন, যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি নেতৃত্বে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। আন্দোলন করার জন্য সংগঠন শক্তিশালী করতে হবে মন্তব্য করে তার পথরেখা তুলে ধরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে যারা জেলে খেটেছে, যাদের বাড়িঘর পোড়ানো হয়েছে দোকানপাট দখল হয়েছে, পুকুরের মাছ, যেসব নেতাকর্মী জমির ফসল লুট হয়েছে, তাদের ওপর যে অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে, নির্বাচনের সময়ে গায়েবি মামলা দিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে নিগৃহীত করেছে- তাদের পুনর্বাসন করতে হবে। তাদের ভেতরে যে হতাশা তা তুলে নিয়ে আসতে হবে। তাদের ভেতরে আস্থা ও বিশ্বাস জন্মাতে হবে যাতে করে আমরা আবার নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারি। এই রকম রিজভী! স্টাফ রিপোর্টার ॥ রিজভী বলয় ভাঙতে বিএনপির অন্যতম পরামর্শক ডাঃ জাফরুল্লাহ দলের পালিয়ে যাওয়া ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি তারেক রহমানকে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মিটিং ডাকেন তবে এই রকম রিজভীর (রুহুল কবির রিজভী) মাধ্যমে মিটিং ডাইকেন না। সরাসরি মিটিং ডাকেন। মোশাররফ-মওদুদ এদের সামনে রেখে, হাফিজকে। তাহলেই দেখবেন আন্দোলনটা গড়ে উঠবে। রুহুল কবির রিজভী বিএনপির প্রেস কনফারেন্স মাস্টার। তিনি জেলের বাইরে থাকলে প্রায় প্রতিদিনই প্রেস কনফারেন্স করেন। প্রেস কনফারেন্স করেই বিএনপিকে তিনি অধপতনের দিকে নিয়ে গেছেন। তবে ডাঃ জাফরুল্লাহর কথায় মনে হয় দলে এই কারণেই তার গ্রহণযোগ্যতা বেশি। কারণ তিনি বিএনপির পক্ষে কথা বলেন। কিন্তু যা বলেন তা কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে বিএনপির চিন্তা করা উচিত। সম্প্রতি রিজভী বলেছেন রবীন্দ্রনাথ এবং কাজী নজরুলও বিএনপি করতেন। কিভাবে করতেন বলতে গিয়ে রিজভী বলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ নৌকা ডুবি নামে উপন্যাস লিখেছেন। আর কাজী নজরুল ইসলাম আমরা শক্তি আমরা বল আমরা ছাত্রদল এই কবিতা লিখেছেন। একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা যখন তাদের নেত্রীকে জেলে রেখে এমন তামাশা করেন তখন সেই দল কতটা সক্রিয় হতে পারে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কানা কড়িও দাম নেই স্টাফ রিপোর্টার ॥ সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কামাল হোসেনসহ সরকারবিরোধীরা নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের কাছে অভিযোগ করলেও তারা এর কোন মূল্য দিচ্ছেন না। বরং এর মধ্য দিয়ে তারা ‘তামাশার পাত্রে’ পরিণত হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। ড. কামাল হোসেন বলেছেন ভোটের নামে ‘প্রহসন’ হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, আসলে যারা এ ধরনের অপবাদ দিচ্ছে, তারা নিজেরাই আজকে দেশে-বিদেশে তামাশার পাত্র হয়েছে। কারণ জনগণ তাদের এই অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না। জাতিসংঘসহ উন্নত বিশ্ব তাদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হচ্ছে না। কাজেই তারা নিজেরাই অপপ্রচারের জন্য তামাসারপাত্র হয়ে গেছে। যাদের কাছে তারা নালিশ করছে, তাদের কাছে এর ‘কানা-কড়ির’ও দাম নেই।
×