ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচীতে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান ঐক্যফ্রন্টের

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচীতে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান ঐক্যফ্রন্টের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে আগামীকাল ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩ট থেকে ৪টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচীতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সোমবার রাজধানীর পুরানা পল্টন জামান টাওয়ারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফ্রন্টের সমন্বয়ক কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, যেহেতু ৩০ ডিসেম্বর দেশের জনগণ ভোট দিতে পারেনি, সেজন্য দলমত নির্বিশেষে ঐক্যফ্রন্টের বাইরেও যারা আছেন, সবাইকে এ ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই। এ ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক ঘণ্টা কালো ব্যাজ ধারণের কর্মসূচী দিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা চাই জনগণ ভোট দিতে না পারার যে ক্ষোভ সেটা প্রকাশের জন্য সবাই এ কর্মসূচীর সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন। সবাইকে বলব বিকেল তিনটার মধ্যে সবাই যাতে সমবেত হয়ে কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। আর আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি গণশুনানির কর্মসূচী আছে। ওই কর্মসূচীর স্থান ও সময় পরে জানানো হবে। তিনি আরও বলেন, এ দুটি কর্মসূচী সার্থক করার জন্য আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমাদের ফ্রন্টের যে দলগুলো আছে তাদের নিয়ে আলোচনা করেছি যে কিভাবে কর্মসূচী সফল করা যায়। নির্বাচনের প্রথম থেকেই বার বার বলে আসছিলাম নির্বাচনের মাঠে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। নির্বাচন কমিশনকে বারবার বলার পরও তারা ভ্রুক্ষেপ করেনি। তারপরও আমরা নির্বাচনে ছিলাম কারণ আমরা বোঝাতে, চেয়েছি বিশ্ববাসী যাতে বিভ্রান্ত না হয়, যে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন চায় না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুরনো কথাই নতুনভাবে আসছে। আওয়ামী লীগের অধীনে কোনোভাবেই নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া সম্ভব না, সেটা ৩০ ডিসেম্বর প্রমাণ হয়েছে। এজন্যই এসব কর্মসূচী দেয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচীতে জাতীয় নেতারা আসবেন। দেশবাসীকে জানিয়ে দিলাম, এটা যাতে সফল হয়, এজন্য সবার সহযোগিতা চাই। সারাদেশে প্রার্থীদের মামলা করার কথা ছিল, এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন কি না জানতে চাইলে আব্দুস সালাম বলেন, না আমরা সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাইনি। প্রার্থীদের বলা হয়েছিল যারা মনে করেন, তারা মামলা করতে পারেন। এটা ম্যান্ডেটরি করে দেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনকে জায়েজ করার জন্য সরকারের প্রতিটা প্রতিষ্ঠানকে তারা দলীয়করণ করেছে। কোন প্রতিষ্ঠানই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। পুলিশ, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি।
×