ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে কাজ করছে ॥ ভিসি

প্রকাশিত: ১২:৩৩, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে কাজ করছে ॥  ভিসি

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন সব মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ জাতীয় চলচিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা’ নামে এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। এতে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, সাংবাদিক সাব্বির নেওয়াজ, সাংবাদিক মোস্তফা মলিক ও সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। উপাচার্য বলেন, কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয় বরং সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির মাধ্যমে আমরা ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই। নির্বাচন আয়োজনের আগে ডাকসুর যে গঠনতন্ত্র আছে, সেটি অনুমোদিত হয়েছে। কোড অব কন্ডাক্ট অনুমোদিত হয়েছে। আমরা এ দুটি দলিলকে সামনে রেখে ডাকসু নির্বাচনের জন্য এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে আজকের প্রতিযোগিতার বিতার্কিকরা যে চিন্তা চেতনা ও যুক্তি তুলে ধরেছে তা আমাদের ভবিষ্যত নীতি নির্ধারণে সহায়তা করবে। আগামীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কারের চিন্তা-ভাবনা চলছে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা কোচিং সেন্টার নির্ভর যাতে না হয়ে উঠে। আত্মনির্ভরশীলতার মধ্য দিয়ে যাতে শিক্ষার্থীরা বেড়ে উঠে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। ডাকসু নির্বাচনে দল ও মত নির্বিশেষে সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ডাকসু নির্বাচন যাতে গ্রহণযোগ্য করা সম্ভব হয় সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবস্থা নিতে হবে। ডাকসুর নীতিমালা প্রণয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব মতের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া ভোট কেন্দ্র নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে তারও একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান প্রয়োজন। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়কে পরাজিত করে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বিজয় লাভ করে। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলের সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেয়া হয়।
×