ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

মার্চ থেকে চালু হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল

প্রকাশিত: ১২:০০, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯

মার্চ থেকে চালু হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী নৌযান বা রিভার ক্রুজ চলাচল আগামী মার্চ থেকে চালু হচ্ছে। আর এ মহাযজ্ঞের উদ্বোধন করবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর উদ্বোধন করবেন। রবিবার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশীর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার আদর্শ সোয়াইকা এ তথ্য জানান। খবর ওয়েবসাইটের। তিনি বলেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পর্যটকবাহী নৌযান চালু হবে। প্রথমে ভারতের পর্যটক দল নৌপথে বাংলাদেশের সুন্দরবন ভ্রমণ করবে। ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, ভারত বাংলাদেশীদের ভিসা সহজ করতে রাজধানী ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ১৫টি ভিসা ইস্যু সেন্টার চালু করেছে। বাংলাদেশীদের জন্য ভারতীয় ভিসা আরও সহজ এবং পুরো ভারত ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করার কাজ চলছে। চিকিৎসা ভিসা সহজ ও এর ভোগান্তি কমানোর কাজও চলছে। একইসঙ্গে চলমান বর্ডার হাটের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা দ্রæত সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেন, মার্চে উভয় দেশেরে মধ্যে পর্যটকবাহী নৌযান চালু হলে দু’দেশের পর্যটকরা নৌপথে ভ্রমণ শুরু করবে। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ বাড়ছে। আগামী দিনগুলোতে একসঙ্গে কাজ করতে আমরা একমত। এতে করে উভয় দেশের বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনের তিনটিতে ভারত বড় ধরনের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরমধ্যে মংলায় ১১০ একর জমির ওপর স্পেশাল ইকোনমিক জোনের কাজ অল্প দিনের মধ্যেই শুরু করবে। এরই মধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। মীরেরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক জোনে তারা এক হাজার একর জমির উপর এবং ভেড়ামারায় অপর একটি ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এ দু’টির কাজও দ্রæত শুরু হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দিনাজপুরের চিলাহাটি সীমান্তে একটি স্থলবন্দর নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তাব দিয়েছে। বর্ডার হাটের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আমরা উভয় দেশ একমত হয়েছি। বর্তমান বর্ডার হাটগুলোর পাশাপাশি নতুন করে আরও ৬টি সীমান্ত হাট চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। টিপু মুনশী বলেন, বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ইস্যুর ক্ষেত্রে জটিলতা নিরসনে ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশী পণ্য ভারতে রফতানির ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো দূর করতে পদক্ষেপ নেয়া হবে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবধান দূর করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের বর্তমান বাণিজ্য ৯ হাজার ৪৯২ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর ভারতের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের রফতানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের পণ্যের রফতানির পরিমাণ ছিল ৬৭২ দশমিক ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়ে ৮৭৩ দশমিক ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ সময় বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
×