ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংলাপের প্রস্তাব ঐক্যফ্রন্টের নতুন ভাঁওতাবাজি ॥ হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

সংলাপের প্রস্তাব ঐক্যফ্রন্টের নতুন ভাঁওতাবাজি ॥ হাছান মাহমুদ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পুনর্নির্বাচনের জন্য সংলাপের প্রস্তাব ঐক্যফ্রন্টের নতুন ভাঁওতাবাজি। নির্বাচনে হেরে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এবং জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর জন্যই ঐক্যফ্রন্ট এ নতুন ভাঁওতাবাজি শুরু করেছে। কিন্তু দেশের জনগণ এত বোকা নয়। অতীতের মতো তাদের এই ভাঁওতাবাজি ও জনগণ ধরে ফেলেছে। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সহিংসতা হয়েছে; যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত, ইতিহাসে বিরল। তথ্যমন্ত্রী বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অকশনের মাধ্যমে নমিনেশন ফরম বিক্রি করে তাদের প্রার্থী নির্বাচিত করেছিল। বিএনপি প্রথমে ৩০০ আসনে ৮০০শ’র মতো প্রার্থীর কাছে ফরম বিক্রি করে সেখান থেকে অকশনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ অর্থ প্রদানকারীকে প্রার্থী নির্বাচিত করেছিল। ৩০০ আসনে ৮০০ প্রার্থী এটা বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে আর কখনও দেখা যায়নি। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ ভোটের মাধ্যমে বিএনপিকে প্রত্যাখান করেছে। কারণ যারা অকশনের মাধ্যমে দলের নমিনেশন বিক্রি করে তারা কিভাবে জয়লাভ করবে? নির্বাচনের ১০ দিন আগে হাত গুটিয়ে ঘরে বসে থেকে কি জয়লাভ করা যায়? বিএনপির উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা ২০১৪ সালে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন, পবিত্র কোরআন পুড়িয়েছেন, ইজতেমা ফেরত মুসল্লিকে পেট্রোল বোমায় ঝলসে দিয়েছেন, স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ওপর বোমা মেরেছেন। মনে রাখবেন বোমাবাজি করে ত্রাস করা যায়, ভোট পাওয়া যায় না। তাই আপনাদের বলব নিজেদের পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করুন, দলে নেতৃত্বের পরিবর্তন আনুন এবং বিএনপিকে ঢেলে সাজান। পাশাপাশি আপনাদের কয়েকজন নেতারও মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা করান। তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলেছে। তাঁর হাত ধরে বাংলাদেশ আজ অতিদরিদ্র থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত। এটি শেখ হাসিনার জাদুতে হয়েছে। একটি পক্ষ বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখেও দেখে না, এর প্রশংসাও করতে জানে না। তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে চায়। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, নগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সম্পাদক আক্তার হোসেন, অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান, অভিনেত্রী তারিন, নূতন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, সহ-সভাপতি রোকেয়া প্রাচী প্রমুখ। সভা শেষে দেশের প্রখ্যাত শিল্পী সমাজ ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সদস্যরা নতুন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
×