ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

সাতক্ষীরায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর পুকুরে ফেলে হত্যা

প্রকাশিত: ০৫:২১, ৮ জানুয়ারি ২০১৯

সাতক্ষীরায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর পুকুরে ফেলে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ ধর্ষণের পর তৃতীয় শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার রাতে জেলার আশাশুনি উপজেলার গাবতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। নিহত সুস্মিতা আশাশুনি উপজেলার গাবতলা গ্রামের প্রশান্ত দাসের মেয়ে ও গাবতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। গ্রেফতারকৃত ধর্ষকের নাম জয়দেব সরকার। সে আশাশুনি উপজেলার গাবতলা গ্রামের নির্মল সরকারের ছেলে ও বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। গাবতলা গ্রামের প্রশান্ত দাস জানান, তার মেয়ে সুস্মিতা প্রতিবেশী নির্মল সরকারের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে অম্বিকা সরকারের কাছে প্রতিদিন বিকেলে প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট পড়ানোর জন্য অম্বিকাকে মাসিক দেড়’শ টাকা দিতে হয়। রবিবার বিকেলে অম্বিকা বাড়িতে না থাকায় তার ভাই জয়দেব সরকার সুস্মিতাকে প্রাইভেট পড়িয়ে বাড়িতে ব্যাগ রেখে আবারও আসতে বলে এবং সন্ধ্যায় গাবতলার সত্য রঞ্জন দাসের দোকান থেকে খাবার কিনে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সুস্মিতাকে ধর্ষণ করে জয়দেব। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সুস্মিতা মারা গেছে ভেবে তাকে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেয়। পরে গ্রামবাসী সুস্মিতাকে খুঁজতে থাকার একপর্যায়ে পুকুরে জাল ফেলার কথা বললে পুকুর থেকে লাশ তুলে সুস্মিতাকে নিজের বাথরুমে ফেলে রাখে। রাত ১১টার দিকে পুলিশ সুস্মিতার লাশ উদ্ধার করে। গ্রেফতার করে জয়দেব সরকারকে। সাভারে কিশোরী নিজস্ব সংবাদদাতা সাভার থেকে জানান, আশুলিয়ায় ধর্ষণের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের একদিন পর মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরীর। এ ঘটনায় পুলিশ আব্দুর রহিম নামে একজনকে আটক করে। সোমবার সকালে আশুলিয়ার জামগড়া স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতাল থেকে ওই কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে রবিবার দুপুরে আশুলিয়া থানায় ধর্ষণের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ছিলেন নির্যাতিত ওই কিশোরী। আটক আব্দুর রহিম পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানার পিপুলিয়া গ্রামের আব্দুর সাত্তারের ছেলে। নিহত কিশোরীর লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, আশুলিয়ার জামগড়ার পোশাক কারখানা থেকে সন্ধ্যায় ছুটি শেষে বের হয়ে বাসায় যাওয়ার পথে শিপন ও রিপনসহ আরও দু’বখাটে তাদের গতিরোধ করে। পরে তাদের সহায়তায় রিপন তাকে ধর্ষণ করে। নিহত কিশোরীর মা আফরোজা বেগমের দাবি, শনিবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার গোরাট এলাকা পোশাক কারখানা থেকে ছুটি শেষে কথিত প্রেমিক রহিম তার মেয়েকে কৌশলে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে আরও দু’জন মিলে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এদিকে, সোমবার সকালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তার কিশোরী মেয়েকে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। নিহতের বাবা আবু হানিফ জানান, শনিবার রাতে মেয়ে ফোন করে তার কাছে টাকা চায় এবং বলে তাকে বাঁচাতে হলে দ্রুত যেন টাকা পাঠায়। পরে রাতে অপরাধীরা তার মেয়েকে বাসার সামনে ফেলে দিয়ে যায়। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।
×