ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

বাদ পড়লেন ৩৬ হেভিওয়েট মন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ৭ জানুয়ারি ২০১৯

  বাদ পড়লেন ৩৬ হেভিওয়েট মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মন্ত্রিসভায় প্রথমবারের মতো আসা নেতাদের চমকের সঙ্গে বড় চমক বাদপড়া হেভিওয়েট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নামের তালিকা। রবিবার সরকারের নতুন মন্ত্রিসভার যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে সেখানে নেই আওয়ামী লীগ ও এর নেতৃত্বাধীন মহাজোটের/জোটের প্রবীণ ও প্রভাবশালী অন্তত ৩৬ নেতা। বাদ পড়েছেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, রাশেদ খান মেনন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও হাসানুল হক ইনুর মতো নেতা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন, এবার মন্ত্রিসভায় নতুন করে আসছেন ৩১ নতুন মুখ। বিদায়ী মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন ৩৬, যদিও টেকনোক্র্যাট আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু মন্ত্রীরা নির্বাচনের আগেই পদত্যাগ করেছিলেন। এর মধ্যে ইয়াফেস ওসমান ও মোস্তাফা জব্বার নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। তবে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আসাদুজ্জামান নূর ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মতো প্রভাবশালীদের। আওয়ামী লীগের শরিক দলের নেতা রাশেদ খান মেনন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও হাসানুল হক ইনুর মতো নেতারাও নেই মন্ত্রীদের তালিকায়। বাদ পড়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামও। নতুন মন্ত্রিসভা হচ্ছে ৪৬ সদস্যের। এদের মধ্যে পূর্ণমন্ত্রী হচ্ছেন ২৪, প্রতিমন্ত্রী ১৯ ও উপমন্ত্রী ৩। বাদ পড়াদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি আগেই অবসর নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এবারের সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থীও হননি। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, এলজিআরডিমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পরিবেশমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, মৎস্যমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বিমানমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল ও ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী নির্বাচনে মনোনয়নও পাননি। মন্ত্রীদের মধ্যে টেকনোক্র্যাট দুই মন্ত্রী নুরুল ইসলাম ও মতিউর রহমান ভোটের আগেই পদত্যাগ করেন। প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে বাদ পড়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক (চুন্নু), বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। বাদ পড়েছেন দুই উপমন্ত্রীও। এরা হলেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আরিফ খান জয়। আরিফ খান জয় নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। নতুন মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টিরও কেউ নেই। আগের মন্ত্রিসভায় দলের তিন মন্ত্রী ছিলেন প্রতিমন্ত্রী। বিরোধী দলে যাওয়ায় এবার তারা মন্ত্রিসভায় যোগ দেবেন না বলে শপথের পরদিনই দলের চেয়ারম্যান এরশাদ জানিয়েছিলেন। আগের মন্ত্রিসভায় মহাজোটের শরিকদের থেকে মন্ত্রী ছিলেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন ও জেপির আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। এবার জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপির) কেউই মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি।
×