ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

গণপরিবহন চলাচল শুরু, যাত্রী কম

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ১ জানুয়ারি ২০১৯

গণপরিবহন চলাচল শুরু, যাত্রী কম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সোমবার থেকে চলাচল করছে গণপরিবহন। সোমবার ভোর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন রুটে বাস, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে এদিন মোটরসাইকেলের উপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকায় এদিন মোটরসাইকেল খুব একটা দেখা যায়নি। গণপরিবহন চলাচল করলেও ফাঁকা আমেজের কারণে কোথাও কোন যানজট নেই। নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে মোটরসাইকেল (স্টিকারবিহীন) ও শনিবার মধ্যরাত থেকে অন্যান্য গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। নির্বাচনের পরদিন সোমবার সরেজমিনে কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ, প্রেসক্লাব, ফার্মগেট, ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুরে বাস, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, মাইক্রোবাস চলাচল করতে দেখা যায়। অবশ্য মোটরসাইকেলও চলাচল করতে দেখা গেছে যার অধিকাংশই নির্বাচন কমিশনের স্টিকার লাগানো ছিল। নির্বাচনের পরদিনই গণপরিবহন চলাচল শুরু হলেও রাজধানীতে মানুষের চলাচল খুবই কম ছিল। এখনও রাজধানীতে ফাঁকা আমেজ। কেননা, নির্বাচনের দিন ছুটি এবং আগে শুক্র ও শনিবার ছুটি পাওয়ার কারণে অনেকেই ছুটেছেন বাড়ির পানে। রাজধানীর বসবাসরত কেউ কেউ ছুটি নিয়ে নিয়েছেন। ফলে রাজধানীতে বেশ ক’দিন ধরেই ফাঁকা আমেজ। শাহবাগ মোড়ে নিউ ভিশন পরিবহনের একজন চালক জানান, নির্বাচন উপলক্ষে গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। সকাল থেকে চালাচ্ছি তবে যাত্রী কম। মানুষ এখন বাড়ি। মতিঝিল থেকে মিরপুর যেতে এখন আধা ঘণ্টারও কম সময় লাগছে বলেও জানান এই চালক। ওয়েলকাম গাড়ির এক চালক বলেন আমাদের গাড়িটি নির্বাচনের জন্য পুলিশ রিক্যুইজিশন করেছিল। নির্বাচন শেষে গাড়ি চালাচ্ছি। এদিকে, মহাখালীসহ আন্তঃবাস টার্মিনালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এদিন খুব বেশি গাড়ি ছেড়ে যায়নি। এর কারণ হিসেবে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় যাওয়া যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক কম। এজন্য অন্যান্য সাধারণ দিনের চেয়ে অনেক বেশি বাস ছেড়ে গেছে। তবে মঙ্গলবার থেকে ঢাকামুখী যাত্রীর বেশ ভিড় থাকবে বলেও জানান পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে নির্বাচন পরবর্তী নিরাপত্তা এবং ইংরেজী বর্ষবরণ দু’মিলে নিরাপত্তা কঠোর রয়েছে। এদিকে, ইংরেজী নববর্ষ উদযাপনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশেও হয় নানা উৎসব। বিশেষ করে শহরগুলোতে তরুণদের কাছে এখন রীতিমতো অবিচ্ছেদ্য সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে ‘থার্টি ফার্স্ট’। নির্বাচনের বিজয়ের পর অনেকের কাছে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উদযাপনে পেয়েছে বাড়তি মাত্রা। তাই নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় ‘থার্টি ফার্স্ট’ উদযাপনে বেশকিছু বিধিনিষেধ রয়েছে রাজধানীবাসীর জন্য। ডিএমপি জানায়, ইংরেজী নববর্ষ পালনে ৩১ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় নগরবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন আনন্দ-উৎসবে অংশ নেবে। তাই, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেশকিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি ডিএমপি সদর দফতরে ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, থার্টি ফার্স্টে নগরীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এজন্য যার যার অবস্থান থেকে সবদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে দায়িত্ব পালন করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়াও নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ীভাবে নির্মিত নির্বাচনী ক্যাম্পের পর্দা ও বাঁশ, দেয়াল ও রশি দিয়ে রাস্তার ওপর সাঁটানো পোস্টার-ব্যানার অপসারণ করার দৃশ্য দেখা গেছে।
×