ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কবিতা ॥ ছন্দে গাঁথা জীবনের ছন্দপতন

প্রকাশিত: ০৮:০৯, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কবিতা ॥ ছন্দে গাঁথা জীবনের ছন্দপতন

কোনো ভাষার প্রবীণতম কবির প্রস্থান কবিতাপ্রেমীদের বুকে এসে লাগে অভিভাবক হারানোর শোকের মতো। মনে হয় একটি স্তম্ভ যেন প্রাণবন্ত সময়ের পরিসর ও পর্যায় অতিক্রম করে অকস্মাৎ ভাস্কর্য হয়ে উঠলো। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী হাঁটছিলেন শতায়ু সড়কের প্রান্ত বরাবর। হঠাৎ থেমে গেল সে পার্থিব যাত্রা, এখন তাঁর অনন্তলোকে যাত্রা। তিনি ছিলেন কলকাতার সেই বিরল ও শেষতম কবি, যাঁকে ছুঁয়ে নবীন কবির দল স্পর্শ পেতো রবীন্দ্রনাথ-জীবনানন্দের। আর কে রইলেন, যিনি সান্নিধ্য পেয়েছিলেন বাংলা কবিতার এমন সব প্রবল পথিকৃতের? কবির প্রস্থান তাই একটি যুগেরই অবসান বটে। কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বাংলা কবিতাঙ্গনে কেন গুরুত্বপূর্ণ সে বিবেচনায় যেতে হলে প্রথমেই আমাদের তাঁর উদার মানবিক কবিসত্তার প্রশংসা করতে হবে। তিনি গজদন্তমিনারবাসী নন, একান্তই মর্ত্যরে সন্তান। আরো স্পষ্ট করে যদি বলি, তবে বলবো, মহানগরীর মননময় আধুনিক নাগরিক তিনি; যাঁর রয়েছে ছন্দোবিভা, শিল্পডুবুরির দীক্ষা, শব্দ ওজস্বিতা এবং প্রকৃত সংবেদী মন। তাই জীবনের যতো ছন্দপতন, অসঙ্গতি ও অনাকাক্সিক্ষত সুর, অভাবিত অনিবার্যতা। সবই তাঁকে আলোড়িত করে। আর সে আলোড়ন থেকে উঠে কবিতাঢেউ, সত্যের আশ্চর্য অবয়ব। তাঁর ছন্দে গাঁথা জীবনের যতো ছন্দপতন আমাদের শামুকের মতো গুটোনো ঔচিত্যবোধে এবং উটপাখির মতো লুকনো মস্তকে অভিঘাত তোলে। আমাদের নিরাপদ ঘেরাটোপে থাকতে দেয় না, সূক্ষ্মপরোক্ষ ভর্ৎসনা করে। এও কবিতারই এক ধরনের দুর্মর দায়, উপ্ত উপযোগিতা। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কথা বলতে গিয়ে আমাদের মনে পড়ে যাবে তাঁরই সমসাময়িক কবি আবুল হোসেনকে, যিনি প্রয়াত হয়েছেন কয়েক বছর আগে। নীরেন্দ্রনাথ জীবনানন্দ দাশের কবিতা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলেন, তাঁর ভেতর আত্মঘাতী ক্লান্তি রয়েছে। মন্তব্যটি মেনে নেননি জীবনানন্দ বরং লিখিত প্রত্যুত্তর করেছিলেন। অল্প কিছুকাল এই দুই কবি ‘স্বরাজ’ পত্রিকায় সহকর্মী ছিলেন। সে সময় জীবনানন্দকে একান্তে পেয়ে ‘আত্মঘাতী ক্লান্তি’ প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন নীরেন্দ্রনাথ, যা শুনে নীরব হয়ে যান কবি জীবনানন্দ। অন্যদিকে কবি আবুল হোসেন মোহাম্মদী পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের লেখার সমালোচনা করলে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তাঁর লিখিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। নীরেন্দ্রনাথ ও আবুল হোসেনÑ দুই কবির ভেতর সবচেয়ে বড় মিল হলো; উভয়েই শিক্ষিত মানুষের মুখের ভাষাকে তুলে আনতে চেয়েছেন কবিতায় (নীরেন্দ্রনাথ এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেনÑ মানুষ মুখের ভাষায় যেভাবে কথা বলে, এর চেয়ে ভালো কবিতার উপাদান আর হয় না।)। একই সঙ্গে দু’জনেই ছন্দসজ্ঞান কবি, যদিও তাঁদের ভেতর ছন্দ নিয়ে নিরীক্ষাও লক্ষ্য করা যায়। নীরেন্দ্রনাথের ছন্দশিক্ষা সহায়ক গ্রন্থ ‘ছন্দের বারান্দা’ নবাগত কবিদের বেশ প্রিয়। ‘আমার কল্পনাশক্তি কম। কবিতার কল্পনালতা বলে যে কথাটি আছে, ওতে আমার বিশ্বাস নেই। আমি চারপাশের মানুষ দেখি, তাদের জগৎ-সংসার ও জীবন দেখি। এভাবেই আমার কাব্যভাষা তৈরি হয়েছে। সত্য কথা হলো, কবিতা লেখার জন্য আমার কিছু কল্পনা করতে হয় না, যা দেখি তা থেকেই লিখতে পারি।’ খোলাখুলি এমনটাই বলেছেন নীরেন্দ্রনাথ। নিজে তিনি কল্পনাবিলাসী নন বটে, তবে তাঁর ‘নীল নির্জন’, নীরক্ত করবী’, ‘অন্ধকার বারান্দা’ কবিতাগ্রন্থ যাঁরা পাঠ করেছেন তাঁরা বিলক্ষণ জানেন ও মানেনÑএ কবির কবিতা বাস্তবতার সীমানা ছাড়িয়ে পাঠককে কল্পনারাজ্যে নিতে সক্ষম। বরং আরো স্বচ্ছ হয় যদি বলি, ছন্দে গাঁথা তাঁর গল্পের মালা পাঠককে ভাবতে বাধ্য করে, চিন্তাশীল করে তোলে। তাঁর কবিতায় যে আংশিক ছবি বা ছবির ইশারা থাকে, সেটি পূর্ণতা পায় মননশীল পাঠকের করোটিতে। জীবনের দুশ্চিন্তা-দুর্ভাবনাও যে কবিতার চরণের ভেতর সঞ্চালন করা যায়, তার দৃষ্টান্ত পাবো তাঁর কবিতায়। ঢাকায় নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে আমরা পেয়েছিলোম প্রায় বছর পাঁচেক আগে। কবিতা বিষয়ে তাঁর পর্যবেক্ষণ তিনি আমাদের সামনে তুলে ধরেছিলেন। কবিতার উপযোগিতা সম্পর্কে আমাদের পূর্বতন ধারণা যেন আরেকটু স্পষ্ট অবয়ব পায় তাতে। তাঁর কথাগুলো এখনও কানে বাজে। কবিতা কী কাজ করে? এ নিয়ে আমরা তর্কে নিয়োজিত হলে তাঁর ভাবনার নির্যাস বিশেষ বিবেচনায় রাখতে হয়। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘কবিতা থেকে তিনটি প্রাপ্তিযোগ হতেই পারে। এক. আনন্দের সমর্থন, দুই. শোকের সান্ত¡না, তিন. ভগ্নজানু অবস্থায় লড়াই থেকে সরে না পড়ে সাহসের সঞ্চার করে নতুনভাবে সংগ্রামের উদ্যম।’ এ বক্তব্যের সমর্থনে তিনি ব্যাখ্যা ও উদাহরণ উপস্থিত করেছিলেন। প্রসঙ্গত মনে পড়ে, তিনি আমাদের তাঁর ‘সাকুল্যে তিনজন’ কবিতাটি পাঠ করে শুনিয়েছিলেন। খুব হালকা চালেই এ কবিতায় তিনি ছোট পরিবার থাকার জন্যে ছোট ফ্ল্যাট নির্মাণের শাহরিক প্রবণতার কথা বলছেন। যেন ওই পরিবারটি এভাবেই সংগঠিত হয়েছে, তার শেকড় নেই, ডালপালা নেই। যেহেতু ফ্ল্যাটে জায়গা নেই আর, তাই ওই পরিবারের নিকটাত্মীয়রা হয় মারা গেছেন না হয় তাদের বিসর্জন দেয়া হয়েছে। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক ও সহাবস্থান এভাবেই চুকেবুকে চলেছে। কী ভয়ঙ্কর কথা! নিজেকে একটা জ্যান্ত গাছ হিসেবেই দেখেছেন নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মৃত কাঠ হিসেবে নয়। বলেছেন: ‘জ্যান্ত গাছ সবকিছুর দ্বারা প্রভাবিত হয়। রোদ্দুরের প্রভাব একটা জ্যান্ত গাছের ওপরে পড়ে। বৃষ্টির প্রভাব একটা জ্যান্ত গাছের ওপরে পড়ে। এই ছ’টা ঋতুর প্রত্যেকটার প্রভাব একটা জ্যান্ত গাছের ওপরে পড়ে। আমার ওপরে কার প্রভাব আছে যদি এই প্রশ্ন কেউ করেন; আমি তাকে পাল্টা প্রশ্ন করি, আমার ওপরে কার প্রভাব নেই ভেবে দেখুন। আমার মধ্যে আমার অগগ্র কবিদের প্রভাবও আছে। কিন্তু একজন কবির কাজ সেটাকে, সেই প্রভাবকে নিজের করে নেয়া। একটা গাছ যা করে, একটা জ্যান্ত গাছ।’ শব্দের ওপর দখল, ছন্দের ওপর দখল কতোখানি থাকলে একজন কবির উচ্চারণ হয় আলাপচারিতার মতো সহজ, স্বচ্ছন্দ। তাঁর উত্তম উদাহরণ আমরা পেয়েছি তাঁর কবিতায়। ‘আবহমান’ নামের একটা কবিতা থেকে কয়েকটি লাইন তুলে দিলে কথাটা পরিষ্কার হবে। অন্ধকার বারান্দা যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দাঁড়া, লাউমাচাটার পাশে। ছোট্ট একটা ফুল দুলছে, ফুল দুলছে, ফুল সন্ধ্যার বাতাসে। কে এইখানে এসেছিল অনেক বছর আগে, কেউ এইখানে ঘর বেঁধেছে নিবিড় অনুরাগে। কে এইখানে হারিয়ে গিয়েও আবার ফিরে আসে, এই মাটিকে এই হাওয়াকে আবার ভালবাসে। ফুরয় না তার কিছুই ফুরয় না, নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না! কবিতার ভেতর সঙ্গত ও প্রত্যাশিত রহস্যের ধার খুব একটা ধারেন না নীরেন্দ্রনাথ, এমন ধারণা অসমীচীন হবে না। বাস্তব জীবনের চরিত্র যে তাঁর কবিতার থিম হিসেবে এসেছে সেকথা খোলাখুলি ব্যক্ত করেছেন। তাঁর অত্যন্ত পাঠকনন্দিত কবিতা ‘অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিল’র নায়ক অমলকান্তি স্বনামেই রয়েছেন, যিনি ছিলেন স্কুলজীবনে কবির সহপাঠী। কবি বলছেন, ‘অমলকান্তি আমার বন্ধু, খুবই গরিব ঘরের ছেলে ছিল। বস্তিতে থাকত। আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। একদিন খেলা শেষে বন্ধুরা মিলে গড়ের মাঠে বসে কে কী হতে চাই, তা নিয়ে কথা বলছিলাম। কেউ বলল ডাক্তার হবে। কেউ উকিল, কেউবা মাস্টার। অমলকান্তিকে বললাম, তুই কী হবি? অমলকান্তি বলল, আমি রোদ্দুর হব। ওর কথাটি আমার মাথায় ছিল। পরে লিখলাম কবিতাটি। কবিতাটি আমার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ অন্ধকার বারান্দায় আছে। আচ্ছা, অমলকান্তি কেন রোদ্দুর হতে চায়? কারণ, ঘিঞ্জি বস্তিবাড়িতে থাকার ফলে সে রোদ্দুর পায় না। তাই সে নিজেই রোদ্দুর হয়ে যেতে চেয়েছে।’ কোনো মানুষ মানবসম্মত ভূমিকা থেকে উত্তীর্ণ হয়ে ভিন্ন কিছু হওয়ার (এখানে রোদ্দুর) আকাক্সক্ষা করছে। বিষয়টি খুবই কাব্যিক। কিন্তু এর নেপথ্যের আর্থ-সামাজিক কারণ যখন পাঠকের কাছে স্পষ্ট হয় সে সময়ে কবিতার দ্বিমুখী অভিঘাত ঘটে। মানুষ কখনোই রোদ কিংবা বৃষ্টি হতে পারবে না, তবু তার এই হতে চাওয়াটা গূঢ় সংবেদী। কিন্তু যখন পাঠক জানছে যে, বস্তিতে বসবাসকারীর ঘরে রোদ আসে না, সেখানে রয়েছে চির অন্ধকার, তখনই বাস্তবতা এসে তীব্র আঘাত করে। অমলকান্তির জীবনের গল্পের নিরেট ও প্রায় অকাব্যিক বয়ানের ভেতর তিনটে পঙ্ক্তি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় যেন। সেখানেই ঝলসে ওঠে কবিতা। উদ্ধৃত করছি: ক্ষান্তবর্ষণ কাকডাকা বিকেলের সেই লাজুক রোদ্দুর, জাম আর জামরুলের পাতায় যা নাকি অল্প-একটু হাসির মতন লেগে থাকে। সাহস তাঁর প্রাথমিক সৌন্দর্য। স্মরণযোগ্য চল্লিশের দশকের মাঝামাঝি তরুণ নীরেন্দ্রনাথের ‘শহীদ রামেশ্বর’ কবিতা চিনিয়ে দিয়েছিল তাঁর প্রতিবাদী মন ও সঙ্গত সাহস। আজাদ হিন্দ ফৌজের পক্ষে কলকাতার সড়কে বিশাল ছাত্রমিছিলে ব্রিটিশরাজের পুলিশ গুলিবর্ষণ করেছিল। গুলিতে নিহত ছাত্র শহীদ রামেশ্বরকে নিয়ে লেখা তাঁর কবিতাটি পাঠকপ্রিয় হতে সময় লাগেনি। চুরানব্বুই বছরের দীর্ঘ জীবনে নানা পর্যায়ে লেখা নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর তিনটে বিখ্যাত কবিতার ভেতর রয়েছে তিন চরিত্র: রোদ্দুররহিত (জীবনের, সূর্যের) অমলকান্তি, পথের স্বাধীন শিশু এবং সত্যবাদী শিশু, যে কিনা ন্যাংটো রাজার স্বরূপ প্রকাশে অকুণ্ঠিত। তবে তৃতীয় কবিতাটির কেন্দ্রীয় চরিত্র অবশ্য ‘উলঙ্গ রাজা’, যাকে ঘিরে চলেছে স্তুতিবর্ষণ। হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসনের গল্প তাঁর কলমে কবিতা হয়ে উঠেছে। একসময় চারপাশের নানা অনাচার দেখে কবিকে বলতে হলোÑ ‘রাজা, তোর কাপড় কোথায়?’ রোদ্দুর হতে চাওয়া অমলকান্তি কিংবা ভিখিরি মায়ের ন্যাংটো শিশু, যাকে কবি বলছেনÑ কলকাতার যীশু; এই দেখবার ও বলবার ভঙ্গিটিই জীবনের টুকরো গল্পকে কাব্যিক আখ্যান করে তুলেছে। জগতের সব গরল নিয়ে ক্রুশবিদ্ধ রক্তাক্ত ত্রাণকর্তার প্রতীক যদিও পৃথক ব্যঞ্জনা আনেনি কবিতায়, তবু নগরীর ব্যস্ত সড়কে দুপাশে ধাবমান যানবাহনের সারির মাঝখান দিয়ে, কবির ভাষায় দু’দিকে উদ্যত মৃত্যু, তার মাঝখান দিয়ে টলতে টলতে হেঁটে যাওয়া শিশুটি বা যিশুটি সমগ্র বিশ্বকে হাতের মুঠোয় পেতে চাইছে। এই চাওয়াটুকুই নগরীর সাধারণ গল্পকে করে তুলেছে কবিতা। নগরবাসী আধুনিক নাগরিক বাঙালি কবিদের কলমে ভ্রাম্যমাণ-ভাসমান ভিখিরিরা উঠে এসেছে নানা মাত্রিকতায়। শামসুর রাহমান খেলনার দোকানের সামনে ভিখিরিকে দেখেছিলেন আর নীরেন্দ্রনাথ দেখেছেন ভিখিরি মায়ের শিশুকে কলকাতার খোলা রাস্তায়। নগরীর সড়কে হতভাগ্য, বঞ্চিত, লাঞ্ছিত এসব মানুষের অস্তিত্ব এবং তাদের দেখেও না দেখার ও উপেক্ষা করে যাওয়ার তথাকথিত ভদ্রসমাজকে প্রবলভাবে নাড়া দিতে চান কবি। কবিতায় সমর্পিত দীর্ঘ জীবনে কবিতার উদ্দেশে উচ্চারণ করেছেন তিনি কতো মর্মভেদী সত্য। এই সামান্য শ্রদ্ধানিবেদনের ইতি টানছি তাঁর কয়েকটি অসামান্য পঙ্ক্তি দিয়ে যা থেকে কবিতা পাঠকরা হয়তো অনুধাবন করতে সক্ষম হবেন কবিজীবনের নিয়তি। আমি নিজের চোখ উপড়ে আনি তোমাকে দিই, তোমার চোখ ফোটাতে। তুমি তৃপ্ত হও, পূর্ণ হও, জ্বালো ভূলোক, জ্বালো দ্যুলোক, কবিতা। [email protected]
×