স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো- চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের কোন কমিশনার একক নির্দেশনা দিতে পারেন না। তাহলে জনমনে এ বিষয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে। কারণ, এতে চেইন অব কমান্ড নষ্ট হয়। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক শেষে কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
এইচটি ইমাম বলেন, নির্বাচন কমিশন মানে সিইসি ও চার কমিশনার যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন। কোন কমিশনার বা যে কেউ একা কিছু বলা সমীচীন হবে না। পাঁচ নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে একজন কমিশনারের আলাদা বার্তা মানুষের মনে দ্বিধার সৃষ্টি করছে।
সিইসির সঙ্গে বৈঠককালে এইচটি ইমাম নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর প্রতিপক্ষের হামলা ও সংঘর্ষের বিষয়ে অভিযোগ করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একজন কমিশনারের মন্তব্য দেখে আমরা হকচকিত হয়ে গেছি। এ রকম তো হওয়ার কথা নয়। কমিশন যা কিছু বলবে, কমিশনের নামে তা প্রচার হবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে কমিশন। কোন নির্দেশ থাকলেও তা দেবে কমিশন। সে ক্ষেত্রে কমিশনের পক্ষে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি বলতে পারেন। কিন্তু কমিশন থেকে বের হয়ে একজন ব্যক্তিগতভাবে নির্দেশ দেবেন, এটি গ্রহণযোগ্য নয়। একেকজন কমান্ডার যদি একেক ধরনের কমান্ড দেন, তাহলে সবাই বিভ্রান্ত হবেন।
এইচটি ইমাম বলেন, সরকারী দল হিসেবে আমরা অনেক কিছুই বলতে পারি। অনেকের কাছে আমরা নির্দেশও দিতে পারি। কিন্তু তা না করে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে বারবার আসি এ জন্য যে, অন্যরাও যেন এটা করে। কারণ সকলে মনে করে কমিশনের কাছে বিচার পাব। আমাদের কাছে কমিশন হচ্ছে ভরসাস্থল। বিষয়টি অন্যরা পালন করেন না। নির্বাচন কমিশনকে শুধু হেয় নয়, কমিশনের সামনে এমনভাবে কথা বলেন, যেগুলো আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না।
এইচটি ইমাম বলেন, তারা ইসির সঙ্গে বৈঠকে ভোটের সংবাদ সংগ্রহে যাতে বিঘœ না ঘটে, মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য যাতে পাস দেয়া হয়, সে বিষয়েও আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, অর্থের অনেক চালানের মধ্যে একটি ধরা পড়েছে। কালোটাকার প্রভাবের বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। নির্বাচনের দিন অনলাইন মানি ট্রান্সফার বা মোবাইল ব্যাংকিং বন্ধ করার বিষয়ে কমিশনের কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি এনজিওর বিষয়ে তাঁদের অবজারভেশন তুলে ধরা হয়েছে।
এইচটি ইমামের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, আইনজীবী নজিবুল্লাহ হিরু, এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, ড. সেলিম মাহমুদ প্রমুখ।