ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি অনুমোদন

মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলে ছুটি থাকবে ৮৫ দিন

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ২৬ নভেম্বর ২০১৮

 মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলে ছুটি থাকবে ৮৫ দিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারী-বেসরকারী মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর জন্য আগামী শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি (একাডেমিক ক্যালেন্ডার) অনুমোদন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শুক্রবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাদে সরকারী-বেসরকারী নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৫ দিন ছুটি থাকবে। বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র অন্তত এক বছর সংরক্ষণ করতে হবে। বিদ্যালয়ে কারও সংবর্ধনা বা পরিদর্শন উপলক্ষে ক্লাস বন্ধ রাখা ও শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না। শিক্ষাপঞ্জিতে আছে সুনির্দিষ্ট অনেক নির্দেশনা। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ রবিবার তাদের ওয়েবসাইটে সরকারী-বেসরকারী নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য ২০১৯ সালের ছুটির তালিকা এবং শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ করেছে। বরাবরের মতো নতুন বছরেও শিক্ষাবর্ষ ধরা হয়েছে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক দিবস উদ্যাপিত হবে। ২২ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত অর্ধ-বার্ষিক ও প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ২০ জুলাই ফল প্রকাশ করতে হবে। ১৪ থেকে ২৯ অক্টোবর নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ফল ৭ নবেম্বর এবং ২৭ নবেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ফল প্রকাশের দিন নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ক্যালেন্ডারে। বলা হয়েছে, শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল পরীক্ষা নিয়ে শুধু বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র অন্তত এক বছর সংরক্ষণ করতে হবে। কোন পরীক্ষার সময়কাল ১৪ দিনের বেশি হবে না। পাবলিক পরীক্ষা ছাড়া অন্য পরীক্ষার প্রশ্ন বিদ্যালয়গুলোকেই প্রণয়ন করতে হবে। কোন অবস্থাতেই প্রশ্ন কিনে পরীক্ষা নেয়া যাবে না। বিশেষ কারণে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের অনুমতি নিতে হবে। বিদ্যালয়ে কারও সংবর্ধনা বা পরিদর্শন উপলক্ষে ক্লাস বন্ধ না রাখার নির্দেশনা নিয়ে শিক্ষাপঞ্জিতে বলা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানোও যাবে না। কোন সরকারী কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে বিদ্যালয় ছুটি দেয়া যাবে না এবং সংবর্ধনা/ পরিদর্শন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ করা যাবে না। সংবর্ধিত/পরিদর্শনকারী ব্যক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না। নির্দেশনা অনুযায়ী, ছুটির মধ্যে অনুষ্ঠেয় ভর্তি ও অন্যান্য পরীক্ষা গ্রহণের জন্য বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে। উপবৃত্তি, ভর্তি পরীক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার জন্যও বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার সময় পরীক্ষা কেন্দ্র ছাড়া অন্য বিদ্যালয়ে শ্রেণী কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। প্রত্যেক বিদ্যালয়ে দৈনিক পাঠ বিবরণী নামে ডায়েরি ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিলি করতে হবে। এ ডায়েরিতে ছাত্র-ছাত্রীর পরিচিতি, অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ, ছাত্র-ছাত্রীদের আচরণবিধি, শিক্ষকদের নাম ও শিক্ষাগত যোগ্যতা, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার জরুরী নির্দেশনাবলী, ছুটির তালিকা এবং ক্লাস রুটিন (এতে প্রতিদিন অভিভাবকের স্বাক্ষর নিতে হবে) অন্তর্ভুক্ত থাকবে। শিক্ষাপঞ্জিতে বলা হয়েছে, ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৫ আগস্ট ও ১৬ ডিসেম্বর ক্লাস বন্ধ থাকলেও এসব জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদ্যালয়ে দিবসগুলো উদ্যাপন করতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে সরকার ঘোষিত সময়সূচী অনুযায়ী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ দিবস এবং শিক্ষা সপ্তাহ পালন করতে হবে। উল্লেখযোগ্য, ছুটির মধ্যে গ্রীষ্মকালীন অবকাশ, রমজান, বুদ্ধ পূর্ণিমা, জুমাতুল বিদা, শব-ই-বরাত ও ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ৬ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ৩৪ দিন। ঈদ-উল-আজহা, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ৮ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট ১০ দিন, দুর্গাপূজা, প্রবারণা পূর্ণিমা ও শ্রী শ্রী লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে ৪ অক্টোবর হতে ১৩ অক্টোবর ৮ দিন এবং শীতকালীন অবকাশ, বিজয় দিবস, যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন বা বড়দিন উপলক্ষে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর ১৩ দিন। বলা হয়েছে, সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ছাড়া বছরে মোট ছুটি ৮৫ দিন। সরকার যে সব দিনকে সাধারণ ছুটি এবং নির্বাহী আদেশে সরকারী ছুটি বলে ঘোষণা করা হবে সে সব দিন উক্ত ৮৫ দিনের অন্তর্ভুক্ত হবে। সদ্য সরকারী হওয়া ৪৭ স্কুলে পদ সৃষ্টির প্রস্তাব ॥ সদ্য সরকারী হওয়া স্কুলগুলোর মধ্যে ৪৭ প্রতিষ্ঠানের পদ সৃষ্টির প্রস্তাব চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব প্রতিষ্ঠানের তালিকাসহ একটি চিঠি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়ে অধিদফতর থেকে রবিবার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ছক পূরণ করে অর্গানোগ্রামসহ পদ সৃষ্টির প্রস্তাব, শ্রেণীভিত্তিক শিক্ষার্থীদের বিবরণ, কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের তালিকা এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সভাপতিদের কাছে চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর।
×