ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

বল টেম্পারিং ইস্যু

সরে দাঁড়ালেন অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৩ নভেম্বর ২০১৮

সরে দাঁড়ালেন অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল দারুণ বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। টেস্ট সিরিজে বল টেম্পারিং করে অসিরা। আর তরুণ ক্যামেরন ব্যানক্রফট সেটা করেছিলেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও সহঅধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের কুমন্ত্রণায়। এরপর এ তিনজনই নিষিদ্ধ হন, কোচ ড্যারেন লেহম্যান পদত্যাগ করেন। তবে বল টেম্পারিংয়ের সেই রেশ এখন পর্যন্ত কাটেনি। তিন ক্রিকেটারের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমানোর ইস্যুতে এবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সভাপতি ডেভিড পিভার পদত্যাগ করলেন। গত সপ্তাহেই নতুন করে ৩ বছরের জন্য সিএ সভাপতি হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু বেশিদিন টিকতে পারলেন না পিভার। বৃহস্পতিবার সিএ’র বোর্ড মিটিংয়ে পিভারের পদত্যাগের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। স্থায়ী সভাপতি হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেয়ার আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে সিএ’র দায়িত্ব পালন করবেন পিভারেরই ডেপুটি আর্ল এডিংস। অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে এক বিবৃতিতে এডিংস বলেছেন, ‘পিভারকে তার সেবার জন্য ধন্যবাদ। মেয়েদের ক্রিকেট উন্নয়নে তিনি দারুণ ভূমিকা রেখেছেন। বোর্ড জানে ক্রিকেট মহলের আস্থা ফিরে পেতে অনেক কাজ করতে হবে। আমরা এবং নির্বাহী কমিটি তা করতে বদ্ধপরিকর।’ অবশ্য, পিভারের পদত্যাগের নির্দিষ্ট কারণ জানায়নি সিএ। তবে এর নেপথ্যে রয়েছে গত মার্চে কেপটাউন টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দলের বল টেম্পারিং কলঙ্ক। যে কারণে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে নিষিদ্ধ করেছিল সিএ। কয়েকদিন আগে সিডনিভিত্তিক নৈতিকতা কেন্দ্র ‘লংস্টাফু’র স্বাধীন পর্যালোচনায় বেরিয়ে এসেছে, বল টেম্পারিংয়ের দায় রয়েছে সিএ’রও। অভিযোগ করা হয়েছে, যে কোন মূল্যে জিততে হবে এমন মানসিকতা বোর্ড খেলোয়াড়দের মাথায় ঢুকিয়েছে বলেই কেপটাউনে বল টেম্পারিং হয়েছে। এরপর থেকে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন পিভার। সে কারণেই হয়তো সিএ সভাপতির পদ ছাড়তে বাধ্য হলেন তিনি। সভাপতি হিসেবে নতুন মেয়াদে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার বৈঠকের আগে এই প্রতিবেদন রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলোর কাছে প্রকাশ করেনি পিভারের নেতৃত্বাধীন বোর্ড। এ নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন পিভার। এরপর থেকেই সিএ’র অধীনে চলার ব্যাপারে দ্বিধায় ছিল অস্ট্রেলিয়ার ছয়টি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা। এর মধ্যে দেশটির তিনটি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা- নিউ সাউথ ওয়েলস, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ও ভিক্টোরিয়া সরাসরি বিরোধিতা করে পিভারের।
×