ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

আজ সেই ভয়াল বীভৎস জেলহত্যা দিবস

প্রকাশিত: ০৫:২০, ৩ নভেম্বর ২০১৮

 আজ সেই ভয়াল বীভৎস জেলহত্যা দিবস

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ৪৩ বছর অতিবাহিত হয়েছে। ৩ নবেম্বরের নিষ্ঠুরতা-পৈশাচিকতার ভয়াল ক্ষতচিহ্ন এখনও স্পষ্ট। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন নিউ জেল, বর্তমানে যার নাম দেয়া হয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ী সেল। এই সেলে সারিবদ্ধ চারটি কক্ষ। সেলের প্রথম কক্ষের বিশাল লোহার দরজা। সেই দরজার মোটা লোহার রডে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে তিনটি বড় বড় গর্ত জানান দিচ্ছে কী নিষ্ঠুরতাই না ঘটেছিল ১৯৭৫ সালের ৩ নবেম্বর কালরাতে। এই কক্ষেই জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে ব্রাশ ফায়ার এবং পরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেছিল একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা। আজ সেই ভয়াল-বীভৎস ৩ নবেম্বর। বেদনাবিধুর ও কলঙ্কের কালিমায় কলুষিত বিভীষিকাময় ইতিহাসের আরেক ভয়ঙ্কর দিন। মানব সভ্যতার ইতিহাসে বেদনাবিধুর কলঙ্কিত দিন। রক্তক্ষরা জেলহত্যা দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের যে কটি দিন চিরকাল কালদিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে, তার একটি ৩ নবেম্বর। যে কয়েকটি ঘটনা বাংলাদেশকে কাক্সিক্ষত অর্জনের পথে বাধা তৈরি করেছে, তার মধ্যে অন্যতমটি ঘটেছিল ১৯৭৫ সালের এদিনে। বাঙালী জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে ৪৩ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ৩ নবেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ জাতির চার বীরসন্তান মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম পরিচালক, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ-ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এমন জঘন্য, নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সিপাহসালার তাজউদ্দীন আহমদ কারান্তরীণ অবস্থায় বুঝতে পেরেছিলেন ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর মতো তাদেরও বাঁচতে দেবে না। ১৯৭৫ সালের ৩ নবেম্বর জেলহত্যার কদিন আগে অর্থাৎ অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যান তার পরিবারের সদস্যরা। তাদেরকে তাজউদ্দীন আহমেদ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দেখা স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদেরকে আর বাঁচিয়ে রাখবে না। আমি মুজিব ভাইকে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) স্বপ্নে দেখেছি। বঙ্গবন্ধু আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন- তাজউদ্দীন তুমি চলে এসো, সেই ১৯৪৪ সাল থেকে তোমার সঙ্গে আমার পরিচয়। তারপর থেকে আমরা দু’জন একসঙ্গে ছিলাম, এখন তোমাকে ছাড়া আর ভাল লাগে না। আমার ছোটবেলা ১৯৭১ এবং বাবা তাজউদ্দীন আহমদ’ গ্রন্থেও বিষয়টি লিখেছেন তার কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এমপি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে স্বপ্ন দেখার বিষয়টি যে এত তাড়াতাড়ি তার সামনে এমন নিষ্ঠুর ও ভয়ঙ্কর হয়ে আসবে, তা বোধ হয় তিনি কখনও কল্পনাও করতে পারেননি। অথচ তার স্বপ্নই সত্য হলো। স্বপ্ন দেখার মাত্র ক’দিনের মাথায় জেলখানায় ঘটে যায় ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরোচিত ও কাপুরুষোচিত হত্যাকান্ড। জাতীয় অপর তিন নেতার সঙ্গে তাজউদ্দীন আহমদও নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের শিকার হন। এর আগে একই বছরের ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার ঘনিষ্ঠ এই চার সহকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তী অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্যু, পাল্টা ক্যু’র রক্তাক্ত অধ্যায়ে মানবতার শত্রু ও বঙ্গবন্ধুর হন্তারক ওই একই পরাজিত শক্তির দোসর বিপথগামী কিছু সেনাসদস্য কারাগারে ঢুকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করে জাতীয় চার নেতাকে। সেই থেকে প্রতি বছরের মতো আওয়ামী লীগসহ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিরা এ দিনটিকে জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন কারান্তরীণ দেশমাতৃকার সেরা সন্তান এই জাতীয় চার নেতাকে শুধু গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল। বাঙালীকে পিছিয়ে দিয়েছিল প্রগতি-সমৃদ্ধির অগ্রমিছিল থেকে। ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকান্ড ছিল একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। বিশ্বাসঘাতক খুনীদের পরিকল্পনা, উদ্দেশ্য আজ জাতির সামনে পরিষ্কার। মিথ্যা কুয়াশার ধূম্রজাল ছিন্ন করে আজ নতুন সূর্যের আলোকের মতো প্রকাশিত হয়েছে সত্য। জেল হত্যাকান্ডের পর ওই সময়ই লালবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর এ হত্যাকান্ডের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার জেলহত্যা মামলার প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করে। এরপর দীর্ঘ ৮ বছরের বেশি সময় বিচার কাজ চলার পর বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলাটির রায় ঘোষণা করে। রায়ে ২০ আসামির মধ্যে ১৫ সাবেক সেনা কর্মকর্তার শাস্তি এবং অপর ৫ জনকে খালাস দেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে পলাতক তিন আসামির মৃত্যুদন্ড এবং অপর ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা-দফাদার মারফত আলী শাহ, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন ওরফে হিরন খান ও এলডি দফাদার মোঃ আবুল হাসেম মৃধা। যাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয় তারা হলো কর্নেল (অব) সৈয়দ ফারুক রহমান, কর্নেল (অব) সৈয়দ শাহরিয়ার রশীদ, মেজর (অব) বজলুল হুদা, লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশীদ (বরখাস্ত), লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (অব) এম এইচ এম বি নূর চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, লে. কর্নেল (অব) এ এম রাশেদ চৌধুরী, মেজর (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) আহম্মদ শরিফুল হোসেন, ক্যাপ্টেন (অব) আবদুল মাজেদ, ক্যাপ্টেন (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) মোঃ কিসমত হোসেন এবং ক্যাপ্টেন (অব) নাজমুল হোসেন আনসার। খালাসপ্রাপ্তরা হলো- বিএনপি নেতা মরহুম কে এম ওবায়দুর রহমান, জাতীয় পার্টি নেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক মন্ত্রী মরহুম তাহেরউদ্দিন ঠাকুর, নুরুর ইসলাম মঞ্জুর এবং মেজর (অব) খায়রুজ্জামান। ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট হাইকোর্টের রায়ে কেবল রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত দফাদার মারফত আলী শাহ ও এলডি দফাদার মোঃ আবুল হাসেম মৃধা এবং যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত অপর চার আসামি লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল (অব) শাহরিয়ার রশীদ খান, মেজর (অব) বজলুল হুদা ও লে. কর্নেল (অব) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদকে মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ওই চার আসামির চারটি আপীল ও রাষ্ট্রপক্ষের ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ রায় দেয়ন। তবে জেল হত্যাকান্ডের সুদীর্ঘ সময় পর এর বিচারের রায় হলেও জাতীয় চার নেতার পরিবারের সদস্যরাসহ বিভিন্ন মহল থেকে ওই সময়ই রায়টিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘প্রহসনের রায়’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। একই সঙ্গে রায়টি প্রত্যাখ্যানও করা হয়। তাদের অভিযোগ, জেলহত্যার ষড়যন্ত্রের দায়ে কাউকে শাস্তি দেয়া হয়নি। জাতির ইতিহাসের নৃশংসতম এই হত্যাকান্ডের পুনঃতদন্ত ও পুনঃবিচার দাবি করেন তারা। অবশ্য জেলহত্যা মামলায় খালাস পেলেও লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল (অব) শাহরিয়ার রশীদ খান, মেজর (অব) বজলুল হুদা ও লে. কর্নেল (অব) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ- এই চারজন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি এদের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়। অন্যদিকে হাইকোর্টের রায়ে পলাতক অপর আট যাবজ্জীবন কারাদন্ড পাওয়া আসামি সম্পর্কে কোন মতামত না দেয়ায় তাদের দন্ড বহাল আছে বলে আইনজীবীরা ব্যাখ্যা দেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতাসীন হওয়ায় জেল হত্যাকান্ডের পুনঃবিচারের সুযোগ আসে। ২০১২ সালের ১ নবেম্বর সরকারপক্ষ জেলহত্যা মামলার আপীল বিষয়ে সারসংক্ষেপ সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগে জমা দিলে পুনঃবিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল আপীল বিভাগের চূড়ান্ত সংক্ষিপ্ত রায়ে ২০০৮ সালের হাইকোর্টের রায় বাতিল করে ২০০৪ সালের নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখা হয়। অর্থাৎ পলাতক তিন আসামি রিসালদার মোসলেম উদ্দিন ওরফে হিরন খান, দফাদার মারফত আলী শাহ ও এলডি দফাদার মোঃ আবুল হাসেম মৃধাকে মৃত্যুদন্ড এবং অন্য ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। সুদীর্ঘ বছর পর বাঙালী জাতি পায় কাক্সিক্ষত বিচার। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে চার জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাঙালী জাতির ইতিহাসে জাতীয় চার নেতার অবদান চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুজিবনগর সরকার গঠন, রণনীতি ও রণকৌশল প্রণয়ন, প্রশাসনিক কর্মকান্ড, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও দেশবাসীর সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য জাতি তাদের চিরদিন স্মরণ করবে। দিনের কর্মসূচী ॥ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন আজ ঢাকাসহ সারাদেশে বিস্তারিত কর্মসূচী পালন করবে। আওয়ামী লীগের কর্মসূচীতে রয়েছে, সকাল ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলের শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ, ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, সাড়ে ৮টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদ ও জাতীয় তিন নেতার কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত, রাজশাহীতে জাতীয় নেতা শহীদ কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত এবং বিকেল ৩টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে স্মরণসভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছাড়াও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটসহ বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে। জাতীয় নেতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীসহ জেল হত্যাকান্ডে নিহত চার জাতীয় নেতা এবং ১৫ আগস্টের সকল শহীদের স্মরণে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের বাসায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
×