ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতাবিরোধী হায়েনা শকুনরা নির্বাচন বানচাল করতে চাইছে

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৮ অক্টোবর ২০১৮

স্বাধীনতাবিরোধী হায়েনা শকুনরা নির্বাচন বানচাল করতে চাইছে

স্টাফ রিপোর্টার, না’গঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, নবেম্বরের প্রথম থেকে শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত হায়েনা শকুনরা আঘাত হানবে, চেষ্টা করবে দেশ অস্থিতিশীল করতে। তাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল। তারা অন্য কিছুরও স্বপ্ন দেখছেন। নিশ্চিত থাকেন, আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, আল্লাহর ওপর বিশ্বাস করে বলতে চাই, আল্লাহর হুকুমে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন। শেখ হাসিনাই ক্ষমতায় থাকবেন ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, যদি কেউ মনে করে বাংলাদেশের মানচিত্রের ওপর আঘাত করবেন, যদি কেউ মনে করে আমার নেত্রীর (শেখ হাসিনার) ওপর আঘাত করবে, কেউ যদি মনে করে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলা করবে, দেশের মানুষকে আগুনে জ্বালিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করার চেষ্টা করবে। পরিষ্কার বলতে চাই, হুকুম দেয়ার পরে আপনাদের বাড়ির একটি ইটও আর থাকবে না। তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমরা কারও কাছে মাথা নত করব না। আমরা পরাধীন হওয়ার জন্য রাজনীতি করতে আসিনি। আমরা দেশ ভালবেসেছি। দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করতে চাই। শনিবার বিকেলে ইসদাইরে এ.কে.এম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে ‘জেগেছে নারায়ণগঞ্জ, জেগে ওঠো শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ স্বাধীনতাবিরোধী, আগুন সন্ত্রাসী ও অশুভ শক্তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শামীম ওসমান। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি রুখে দিতে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের শপথ করান তিনি। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা হাত তুলে শামীম ওসমানের সঙ্গে শপথ বাক্য পাঠ করেন। জনসভা উপলক্ষে দুপুর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রং-বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন হাতে নিয়ে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে খ- খ- মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে যোগদান করেন। এ সময় তারা ‘শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার, এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। শামীম ওসমান বলেন, আগামী নির্বাচন উদ্দেশ্য করে এই জনসভা ডাকা হয়নি, নির্বাচন বানচালের জন্য স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তাদের মোকাবেলার জন্যই এই জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। শামীম ওসমানের প্রশ্ন, ড. কামাল ফখরুলদের উদ্দেশ্য কি? হত্যা করবেন, দেশে অস্থিতিশীল সৃষ্টি করবেন, কি করতে চান, আরেক ২১ আগস্ট ঘটাবেন, এর চেয়ে ভয়াবহ কিছু করবেন, আওয়ামী লীগ কর্মীদের লাশ ফেলবেন, করেন, আপত্তি নাই, কাদেরকে মারবেন, আমাদের মতো আওয়ামী লীগকে মারবেন। বোমা হামলায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছি। ২০ ভাই হারিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা শেখ হাসিনার লোক ছিলাম, শেখ হাসিনার লোক আছি, আমরা শেখ হাসিনার লোক থাকব। শামীম ওসমান বলেন, নবেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ওরা নির্বাচনের মাঠে নামবে না। ওরা নির্বাচন বন্ধ করে এদেশ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র না আফগানিস্তান বানানোর চিন্তা করছে। ওরা সেই শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে চায় যারা জাহাজে ভরে বাংলাদেশে অস্ত্র এনে উলফার সৃষ্টি করেছে, বিচ্ছিন্নবাদীদের আশ্রয় দিয়ে এদেশে অপশক্তিকে ক্ষমতায় আনতে যারা একসঙ্গে ৫শ’ স্পটে বোমা হামলা করেছিল। ওরা সে শক্তিকে সৃষ্টি করতে চায় যারা জঙ্গীবাদ ও বাংলা ভাইকে সৃষ্টি করেছিল। শামীম ওসমান বলেন, ড. কামালদের বলছি যদি মনে করেন আমাদের ওপর আঘাত করবেন ? আঘাত এলে নারায়ণগঞ্জবাসী আর বসে থাকবে না। তখন আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী সবাই ঢাকায় গিয়ে উঠব। দেখব তখন কে ঠেকায় ? একদিন নেত্রীর কথায় ধৈর্য ধরেছি। কিন্তু আর না। জনগণের ওপর হামলা করলে বসে থাকব না। আমার কোন নেতাকর্মীর ওপর হামলা করলে আমরা আর লেবেনচুস চুষব না। আমরা জানি, বিদেশ থেকে টাকা আসছে। অনেক কিছু হচ্ছে। বিদেশে আর দেশে বসে অনেক পরিকল্পনা হচ্ছে।’ শামীম ওসমান ড. কামালের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনের জন্য মাঠে নামেননি। দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে, নির্বাচন বানচালই কামাল-ফখরুলদের মূল উদ্দেশ্য। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন এম শওকত আলী, মজিবুর রহমান, হাজী ইয়াছিন মিয়া, ওয়াজেদ আলী খোকন, চন্দন শীল, শাহ নিজাম, জাকিরুল আলম হেলাল, ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, শাহাদাত হোসেন সাজনু, জুয়েল হোসেন, সাইফউদ্দিন আহমেদ দুলাল, সাফায়েত আলম সানি ও হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রমুখ।
×