ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছে ইয়ং বাংলা-মাইক্রোসফট

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ৭ অক্টোবর ২০১৮

তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছে ইয়ং বাংলা-মাইক্রোসফট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যেতে চায় ইয়াং বাংলা ও মাইক্রোসফট। এর অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হলো মাইক্রোসফট-ইয়াং বাংলা ইন্টার্ন সামিট-২০১৮। চার দিনব্যাপী এই ইন্টার্ন সামিটের শেষ দিন শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দেশের শীর্ষ পাঁচ স্টার্ট আপ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় সামিটে যোগ দেয়া ইন্টার্নদের। জানানো হয় বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ভাল আইডিয়া দেয়া প্রতিটি দলকে ইয়াং বাংলার প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে দেয়া হবে। পুরস্কার বিতরণের পূর্বে জানানো হয় বিজয়ী দলগুলোর পাশাপাশি এই সামিটে অংশ নেয়া সকল দলকে নিয়ে কাজ করবে ইয়াং বাংলা। তাদের স্টার্ট আপ আইডিয়াগুলোর সঙ্গে অন্য মন্ত্রণালয়, এনজিও বা প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার চেষ্টা করবে ইয়াং বাংলা। তাই ইয়াং বাংলার সঙ্গে নিজেদের আইডিয়াগুলো নিয়ে যুক্ত থাকতে হবে। ইয়াং বাংলা সকল বিন্দুকে সংযুক্ত করবে। সিআরআই ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক বলেন, ইয়াং বাংলার স্লোগান কানেক্টিং দ্য ডটস। তরুণদের লবিস্ট হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে ইয়াং বাংলা। বর্তমান প্রজন্মের চিন্তা ভাবনা ও আইডিয়ার সঙ্গে দেশের নীতি নির্ধারকদের সেতুবন্ধন তৈরির উদ্দেশে কাজ করে যাবে প্রতিষ্ঠানটি। আমরা যখন তরুণ ছিলাম, তখন মাইক্রোসফট ছিল আমাদের কাছে বর্তমান সময়ের ফেসবুক- টুইটারের মতই জনপ্রিয়। ইয়াং বাংলার পাশে মাইক্রোসফটের নাম দেখে ভাল লাগছে। ইয়াং বাংলার মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে মাইক্রোসফটের মতো একটি ব্রান্ডকে যুক্ত করতে পেরেছি আমরা। তিনি আরও বলেন, আমরা কাউকে পেছনে ফেলে যেতে চাই না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন. ‘সবাইকে নিয়ে উন্নয়ন চাই, কাউকে পেছনে ফেলে যেতে চাই না।’ আমার ভাল লাগছে প্রধানমন্ত্রীর চিন্তার সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের চিন্তা মিলে যাচ্ছে। তারা সকলে হাতে হাত ধরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করছে। আশা করছি তরুণরা এভাবেই ইয়াং বাংলার সঙ্গে থাকবে। মাইক্রোসফটের কান্ট্রি ডিরেক্টর সোনিয়া বশির কবির এ সময় তাদের ক্যাম্পাস এ্যাম্বাসেডরদের উদ্দেশ্য ঘোষণা দিয়ে জানান, আমাদের ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা ১০০ ক্যাম্পাস এ্যাম্বাসেডর এখন মাইক্রোসফট ব্রান্ড এ্যাম্বাসেডর হয়ে যাচ্ছেন। এ সময় তিনি দেশের ৭ জেলায় ইয়াং বাংলার সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত মাইক্রোসফটের ল্যাবগুলোর প্রশংসা করে বলেন, এই ল্যাবগুলোতে কাজ করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন দেখে ভাল লাগছে। ল্যাবগুলো দুর্দান্ত কাজ করছে। তরুণদের বৃহত্তম প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলার উদ্যোগে ও মাইক্রোসফটের সহায়তায় আয়োজিত ‘স্টার্ট আপ’ ইন্টার্ন সামিটে অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন ১ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা। সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন করে ৩২৪টি গ্রুপ। এর থেকে বাছাইকৃত ২৫০টি গ্রুপ সামিটে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। এই সামিটে অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্য থেকে শীর্ষ ১০ দলকে বাছাই করা হয় ৫ অক্টোবর। এরপর তাদের সঙ্গে মার্চ মাসে সিলেক্ট করা শীর্ষ ১০ দল একত্রে তাদের আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করে। ২ দলের মধ্য থেকে শীর্ষ ৫ দলকে প্রদান করা হয় এ্যাওয়ার্ড। বিজয়ী দলগুলো হলো- গরুর ডাক্তার, ফিন্যান্স উইজার্ড, বেজ ওয়ারিয়ার্স, বিএসএল এবং মাইক্রো বিটস। গরুর ডাক্তার দলের প্রধান নিজে একজন গবাদি পশুর চিকিৎসক। তার নিজ সমস্যাগুলোর সমাধানে এক ভিন্নধর্মী এ্যাপস তৈরির আইডিয়ায় নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। সামিটে অংশ নেয়ার পর নিজ আইডিয়াকে আরও পরিপূর্ণতা প্রদানের সুযোগ পান তিনি। একটি গবাদি পশুর অসুখ হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে কিভাবে পৌঁছাবে খামারি তা ভেবে তৈরি করা হয়েছে তার স্টার্ট আপ। নিজেদের মতো তরুণ উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তার কথা মাথায় রেখে ফিন্যান্স উইজার্ড এ্যাপস তৈরি করেছেন । সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ (বিপু), সেন্টার ফর রিসার্চ এ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর সাব্বির বিন শামস্ এবং সিআরআই কো-অর্ডিনেটর তন্ময় আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন ২০১৫ ও ২০১৭ সালের জয় বাংলা ইয়ুথ এ্যাওয়ার্ড বিজয়ীসহ, মাইক্রোসফট ইয়াং বাংলা প্লাটফর্মের সকল ট্রেইনার, কো-অর্ডিনেটর, ক্যাম্পাস এ্যাম্বাসেডরসহ স্বেচ্ছাসেবী ও অন্যান্যরা।
×