ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় ধর্ষণ মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ৫ অক্টোবর ২০১৮

কুষ্টিয়ায় ধর্ষণ মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ৪ অক্টোবর ॥ প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ ও গণধর্ষণের দায়ে কুষ্টিয়ায় সাত আসামির যাবজ্জীবন ও একজনের ১৪ বছরের কারাদ-সহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সি মোঃ মশিউর রহমান এই রায় প্রদান করেন। যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্তরা হলো কুমারখালী উপজেলার উত্তরপার সাওতা গ্রামের মৃত মঙ্গল শেখের ছেলে সাহেব আলী, কোরবান আলী শেখের ছেলে জমির শেখ, উকিল উদ্দিনের ছেলে মসলেম শেখ, তালেব আলী শেখের ছেলে আলিফ শেখ, ওসমান শেখের ছেলে মুক্তাশেখ ওরফে মোকাদ্দেস, হোসেন শেখের ছেলে ময়েন উদ্দিন এবং মোবারক শেখের ছেলে মিন্টু শেখ। এছাড়া একই উপজেলার কেসবপুর গ্রামের নাজির উদ্দিন শেখের ছেলে আরিফ শেখ ওরফে শরীফকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদ-সহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয় হয়। আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে নাজির উদ্দিন শেখের ছেলে আরিফ শেখ কুষ্টিয়া মহিলা কলেজের এক ছাত্রীকে কুমারখালী উপজেলার কেসবপুর গ্রামে ডেকে নিয়ে যায় এবং বন্ধু মোবারক শেখের ছেলে মিন্টুর বাড়িতে তোলে। একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে আসামিরা যোগসাজশে মিন্টুর বাড়ি থেকে মেয়েটিকে অপরহণ করে কলা বাগানে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষণ শেষে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরদিন ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই দিন নির্যাতিতা ওই ছাত্রীর এক আত্মীয় বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে কুমারখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। আদালত দীর্ঘ সাক্ষী শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। শেরপুর নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর থেকে জানান, শেরপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের পর মাথা ন্যাড়া করা হতদরিদ্র হিন্দু পরিবারের সেই স্কুলছাত্রীর চাঞ্চল্যকর মামলায় ধর্ষক শাহজামাল ওরফে শাহ আলমের (২৭) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও ভিকটিমকে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের রায় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ আখতারুজ্জামান একমাত্র আসামির উপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন। দ-িত শাহ আলম সদর উপজেলার চৈতাজানী জামতলী এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় সে একেবারেই ভাবলেশহীন ছিল। ওই সময় মামলা ও ভিকটিমকে সহায়তাকারী মহিলা পরিষদের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি গোলাম কিবরিয়া বুলু চাঞ্চল্যকর ওই মামলার রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ২০১১ সালের ২০ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীবরদী উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র হিন্দু পরিবারের মেয়ে ও পার্শ্ববর্তী কুমড়ী কাটাজান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রী (১৫) স্কুলে যাওয়ার পথে সদর উপজেলার চৈতাজানি জামতলী এলাকার মতিউর রহমানের লম্পট পুত্র মাদ্রাসা ছাত্র শাহজামাল ওরফে শাহ আলম (২০) কৌশলে তাকে প্রথমে একটি মুদির দোকানে ও পরে পাশের বসতঘরে নিয়ে ভয় দেখিয়ে বিস্কুট ও পানি খাওয়ায়। এরপর সেই স্কুলছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে একাধিক দফায় ধর্ষণ করে লম্পট শাহ আলম।
×