ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

শিল্পী শাহাবুদ্দিনের একক ড্রইং প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

শিল্পী শাহাবুদ্দিনের একক ড্রইং প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বর্ণের বৈভবে ক্যানভাসকে সাজিয়ে তোলেন শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। গতিময়তায় উদ্ভাসিত হয় একাত্তরের মুক্তির সংগ্রাম, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ বিবিধ বিষয়। এবার শিল্পরসিকদের সামনে রেখাচিত্রের আশ্রয়ে হাজির হলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই চিত্রকর। সাদা-কালো রেখার আঁচড়ে সেজেছে তার চিত্রপট। পেইন্টিংয়ের পরিবর্তে নিজেকে প্রকাশ করেছেন ড্রইংয়ের মাধ্যমে। সেই সঙ্গে ছাপচিত্রের মাধ্যমেও শিল্পানুরাগীদের নজর কেড়েছেন শিল্পী। সেসব শিল্পসম্ভার নিয়ে শুরু হলো এই শিল্পীর চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। শনিবার সন্ধ্যায় শান্ত-মারিয়াাম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে রাজধানীর উত্তরায় ক্রিয়েটিভ দ্য আর্ট গ্যালারিতে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়। ‘শিল্পী শাহাবুদ্দিন-এর একক ড্রইং প্রদর্শনী ২০১৮’ শীর্ষক তিন সপ্তাহব্যাপী এই প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছেন ২৫টি ড্রইং ও ৭টি । প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। আয়োজনের শুরুতেই শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ নিজের শিল্পকর্মের ওপর প্রাণবন্ত আলোচনায় ছবির অব্যক্ত ভাষা ও তার শক্তির ওপর আলোকপাত করেন। প্রদর্শনী চলবে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সম্মেলন সম্পন্ন ॥ নিবাস দেখে সভাপতি এবং ইকবালুল হক খানকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ঢাকা মহানগর সংসদের ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার দুই দিনব্যাপী উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের দ্বাদশ সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে নতুন এ কমিটি গঠন করা হয়। নতুন কমিটিতে কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পেয়েছেন মিতা রায়। এছাড়াও সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন প্রদীপ ঘোষ, কংকন নাগ এবং হালিমা নূর পাপন। সৈয়দ হক স্মরণে ‘হ্যামলেট’ মঞ্চস্থ ॥ ইউনাইটেড হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সব্যসাচী সৈয়দ শামসুল হক অনুবাদ করেছিলেন উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের অমর নাটক ‘হ্যামলেট’। প্রযোজনাটি মঞ্চে আনে শিল্পকলা একাডেমি। সৈয়দ হকের মৃত্যুর পর ২০১৭ সালে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। দর্শকনন্দিত প্রযোজনাটির আরেকটি প্রদর্শনী শনিবার সন্ধ্যায়। সৈয়দ শামসুল হকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত দুই দিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য অনুষ্ঠানের শেষ দিনে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে নাটক মঞ্চায়নের আগে সৈয়দ হককে স্মরণ করে কথা বলেন নাটকটির নির্দেশক আতাউর রহমান। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ পরবর্তী অন্যতম শক্তিশালী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। তিনি শুধু মৌলিক সৃজনশীল কর্মেই লিপ্ত ছিলেন না, অনুবাদও করেছেন অনেকে। ‘হ্যামলেট’ তার তেমনই একটি কাজ। যা তিনি অসুস্থ অবস্থায় শেষ করেছিলেন। শেক্সপিয়ার যেভাবে নাটকটি লিখেছিলেন, তার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন না করে রবীন্দ্রনাথ, জীবননান্দ দাশের কবিতা ব্যবহার করা হয়েছে নাটকের প্রয়োজনে। তিনি আরও বলেন, শেক্সপিয়ার তার মৃত্যুর চারশ বছর পরেও যেমন বেঁচে আছেন, রবীন্দ্রনাথ তার কর্মে জাগরুক; তেমনি সৈয়দ শামসুল হকও বেঁচে থাকবেন তার কর্মের মাঝে। অনুষ্ঠানে সৈয়দ হককে স্মরণ করে বাচিকশিল্পী শিমুল মুস্তাফা পাঠ করেন ‘নূরলদীনের সারা জীবন’। উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের ‘হ্যামলেট’ বিশ্ববাসীর অতিপরিচিত বিয়োগান্তক নাটক। চারশ বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিরতিহীনভাবে মঞ্চস্থ হয়ে আসছে। সৈয়দ শামসুল হক কাহিনী বিন্যাস ও মূল গল্পের মর্মকথায় কোনো ব্যত্যয় না ঘটিয়ে বাঙালী সংস্কৃতির প্রলেপ দিয়েছেন। সংলাপের ফাঁকে ফাঁকে তিনি তুলে এনেছেন বাঙালী কবিদের কাব্যাংশ ও গান। পাশাপাশি এসেছে বাংলার নিজস্ব লোকজ পালাগানেরও নানা আঙ্গিক। শেক্সপিয়ারের ‘হ্যামলেট’ রচিত হয় ১৫১৯ ও ১৬০২ সালের মাঝামাঝি। নাট্যকাহিনীর সূচনা হয় ডেনমার্কের রাজা হ্যামলেটের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে, যিনি ছিলেন তরুণ যুবরাজ হ্যামলেটের বাবা। রাজার মৃত্যুর পর তার ছোট ভাই ক্লডিয়াস যুবরাজ হ্যামলেটের পিতৃব্য সিংহাসনে আরোহণ করেন। ঘটনার একপর্যায়ে যুবরাজ হ্যামলেট শোকে-দুঃখে পাগলপ্রায় হয়ে পড়েন। তিনি কিছুতেই এই দুর্বিষহ অন্যায় ঘটনাপ্রবাহ মেনে নিতে পারেন না। ওদিকে হ্যামলেটের বাবার আত্মা তাকে স্বপ্নে জানিয়ে দেন ক্লডিয়াসই তাকে হত্যা করেছে। এরপর শুরু হয় হ্যামলেটের নতুন যুদ্ধ। এভাবেই এগিয়ে চলে নাটকটির কাহিনী।
×