ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমার আদৌ এদের ফিরিয়ে নেবে কি?

নাগরিকত্বের ফয়সালা ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হচ্ছে না!

প্রকাশিত: ০৫:০১, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

  নাগরিকত্বের ফয়সালা ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হচ্ছে না!

মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ রোহিঙ্গা ইস্যু। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ক্ষুদ্র এ জাতিগোষ্ঠীর ওপর দমন নিপীড়ন ও নির্যাতনসহ নানামুখী বর্বর আচরণ চালিয়ে তাদের নিধন ও বাস্তুচ্যুত করার ঘটনা বহু আগে থেকে চলে আসছে। কিন্তু গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে সেনা অভিযানের মাধ্যমে এ জাতিগোষ্ঠীর ওপর যা ঘটেছে তা পুরো বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছে। এখন এদের ফিরিয়ে নেয়া এবং ফিরে যাওয়ার বিষয়টি জটিল এক সমীকরণে ঘুরপাক খাচ্ছে। আলোচিত হচ্ছে মিয়ানমার আদৌ এদের ফিরিয়ে নেবে কিনা? পক্ষান্তরে বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকারী লাখ লাখ রোহিঙ্গা ফিরে যাবে কিনা। অবস্থাদৃষ্টে দুপক্ষেরই নেতিবাচক মনোভাব সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান। কেনন উভয়পক্ষ প্রত্যাবাসন প্রশ্নে যেসব শর্ত আরোপ করেছে তাতে এই ইস্যুর সুফল প্রাপ্তি কখনও সম্ভব নয়। সরকার পক্ষে সর্বশেষ যে পরিসংখ্যান তাতে উঠে এসেছে নতুন-পুরনো মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ রোহিঙ্গার (যাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে নিবন্ধিত করা হয়েছে) অবস্থান রয়েছে। ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যু জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন ফোরামে আলোচিত হয়েছে। এমনকি সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর হিসেবে নিরাপত্তা পরিষদেও। সকলেই অভিন্ন সুরে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে বিভিন্ন প্রমাণ সাপেক্ষে জানান দিয়েছে। একমাত্র নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতক্রমে সিদ্ধান্ত মিলছে না। আর এ না মেলার কারণেই মিয়ানমার পক্ষ তাদের প্রণীত গোপন নীলনক্সা থেকে বিরত থাকছে না। এমনকি সে দেশেও রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরতার ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে বক্তব্য দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট নেপালে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনেও এই ইস্যুটি আসেনি। অথচ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাত দেশ নিয়ে বিমসটেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকনোমিক কো-অপারেশন) গঠিত। বে অব বেঙ্গল সংলগ্ন বাংলাদেশ ও মিয়ানমার রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান সংক্রান্তে সংশ্লিষ্ট। কিন্তু এই ইস্যুটি উত্থাপিত হয়নি এই বলে যে, বিষয়টি এজেন্ডাবহির্ভূত। বিভিন্ন সূত্রে আলোচিত হচ্ছে, খোদ জাতিসংঘের উদ্যোগে ইতোমধ্যে বহু বক্তব্য এসেছে। খোদ মহাসচিব আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পরিদর্শন করে গেছেন। এরপর সংস্থার উদ্যোগে গঠিত একটি কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে এটিকে গণহত্যা করে দাবি করা হয়েছে। কমিশনের এই বক্তব্যকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে। সূত্র জানায়, সংখ্যার দিক দিয়ে যাই হোক, মিয়ানমার ইতোপূর্বে স্বীকার করেছে রাখাইন রাজ্য থেকে তাদের কিছু অধিবাসী (যাদের তারা নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না অর্থাৎ রোহিঙ্গা) বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের তালিকাও চাওয়া হয়। বাংলাদেশের পক্ষে দুদফায় দুটি তালিকা মিয়ানমার পক্ষকে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু তারা যেসব শর্ত দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নাগরিকত্বের প্রমাণ। এদিকে প্রত্যাবাসান ইস্যুতে রোহিঙ্গাদের পক্ষেও যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নাগরিকত্ব প্রদানের ইস্যুটি, যা ইতোপূর্বে কেড়ে নেয়া হয়েছে। সঙ্গত কারণে বলা হচ্ছে, মিয়ানমার বলছে নাগরিকত্ব ছাড়া তারা কাউকে নেবে না। আর রোহিঙ্গাদের পক্ষে বলা হচ্ছে নাগরিকত্ব প্রাপ্তি ছাড়া তারা যাবে না। ফলে এ ইস্যুর সমাধানে কূটনৈতিক পর্যায়সহ যাবতীয়ভাবে যে তৎপরতা চলছে তার ফলাফল এখনও পর্যন্ত সুদূর পরাহত বলেই প্রতীয়মান। কেননা, উভয় পক্ষের মধ্যে একপক্ষ বলছে নাগরিকত্ব থাকতে হবে। আরেক পক্ষ বলছে নাগরিকত্ব দিতে হবে। তাহলে এর সমাধান গোড়াতেই আটকে রয়েছে। এটি নিয়ে বাস্তবিক কোন সমাধান না এলে সুফল মিলবে কিনা তা একটি বড় ধরনের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে উখিয়া-টেকনাফ অঞ্চলে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাঝে বাস্তবিক অর্থে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার তেমন উৎসাহ নেই বলেই প্রতীয়মান। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে তারা নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার কথা বলে থাকে। প্রকৃত অর্থে ওই দেশের চেয়ে এ দেশে তারা ভাল অবস্থানেই রয়েছে। অন্তত সাহায্যের ত্রাণসামগ্রীসহ প্রাণে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা রয়েছে। কিন্তু নিজ দেশে ফিরে গেলে মিয়ানমার পক্ষ নতুন করে কোন প্রতিশোধস্পৃহায় মেতে উঠে তা নিয়ে তাদের মাঝে ব্যাপক উদ্বেগ উৎকণ্ঠা রয়েছে। এছাড়া ফেলে আসা বাড়িঘরের কোন চিহ্ন নেই। জমি জমায় গড়ে উঠেছে নতুন স্থাপনা। যেখানে হয়েছে বৌদ্ধ পল্লী, সামরিক ও পুলিশের ক্যাম্প। সূত্রে জানা গেছে, যেসব রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্যসহ মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে রয়েছে এরা সকলেই সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে অবস্থান করছে। আর যারা ধনাঢ্য এরা তো পালিয়ে আসার প্রশ্নই আসে না। উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গা নুরুল বশর ও হাবিবুল্লাহ জানান, ১৯৯২ সালে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা (৩৩ হাজার) এখনও রয়ে গেছে। তারা নানান ব্যবসা বাণিজ্য করে অঘোষিত বাংলাদেশী বনে গেছে। তাদের সন্তানদের কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। অর্থ প্রাপ্তির সুবাদে এরা এদেশে বাড়িঘরও বানিয়েছে। এছাড়া ২০১২-১৬ সালে আসা রোহিঙ্গারাও এখনও রয়ে গেছে। এমনকি ১৯৭৮ সালে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনেকে কক্সবাজার-চট্টগ্রামে দালান কোটা নির্মাণ করে দিব্যি বসবাস করছে। তারা বাংলাদেশী জাতীয় সনদও পেয়েছে। বনে গেছে এদেশের নাগরিক। তাহলে সাম্প্রতিক সময়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা আগে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থান দেখে ফিরে যাওয়ার পক্ষে নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে আছে। সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মগজ ধোলাই করছে পুরনো রোহিঙ্গা নেতা তথা রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠনের নেতারা। উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, হাকিমপাড়া, জামতলা, শফিউল্লার কাটা, গইয়ালমারা, বাঘঘোনা, ময়নাঘোনা, তাজনিমারঘোনা, থাইংখালী, মধুরছড়া, টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া, লেদা, উনছিপ্রাং পুটিবনিয়া, নয়াপাড়া মচুনি ও শামলপাপুর ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে হরদম যোগাযোগ রয়েছে ক্যাম্প কমিটির রোহিঙ্গা নেতাদের। সব ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের একই কথা, মিয়ানমারে নাগরিকত্বের স্বীকৃতি, নিরাপত্তা, তাদের ফেলে আসা বসতবাড়ি, সহায়-সম্পত্তি ফেরত, পুড়িয়ে ফেলা ঘরবাড়ি নির্মাণ এবং ভবিষ্যতে আর কখনও তাদের ওপর বর্বরতা চলবে না, এ নিশ্চয়তা দিলে তারা ফিরে যাবে স্বদেশে। মিয়ানমার এসব দাবির নিশ্চিয়তা কি আদৌ দিতে রাজি হবে? এসব প্রশ্ন রেখে স্থানীয়রা বলেন, মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে, তবে যুগের পর যুগ রোহিঙ্গারা এদেশে বসবাস করবে তা কখনও মেনে নেয়া যায় না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পক্ষে বলা হচ্ছে, অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা বর্তমানে বিভিন্ন ব্যবসা ও শ্রমকাজে জড়িয়ে পড়েছে। এতে প্রায় বেকার হয়ে পড়ছে স্থানীয় দিনমজুররা। স্বল্পমূল্যে খাটানো যায় বলে এনজিও কর্মীরা রোহিঙ্গাদের দিনমজুর হিসেবে কাজ করাচ্ছে প্রতিদিন। রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকে দোকান বসিয়ে ক্যাম্প অভ্যন্তরে পণ্য বিকিকিনি করছে। অথচ আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন অনুসারে আশ্রিত ব্যক্তিরা আশ্রয় শিবিরে বসবাস করবে, কোন ধরনের বাড়তি আয়-রোজগার করতে পারে না। এমনকি যে দেশে আশ্রিত, ওই দেশের মুদ্রাও তারা রাখতে পারে না। বহু রোহিঙ্গা নারী-পরুষ অনেকে মাসিক বেতনে চাকরিও করছে বিভিন্ন এনজিও সংস্থায়। উখিয়া টেকনাফ এলাকার ৩০টি ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের কাছে রয়েছে অন্তত ৪ লক্ষাধিক সিম, ল্যাপটপ ও দামি মোবাইল সেট। দ্রুত প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জীবন দিন দিন বেপরোয়া ও হিংস্র হয়ে উঠছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন যত দীর্ঘায়িত হবে, ততই রোহিঙ্গারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া ছাড়াও বাংলাদেশের জন্য তত বেশি সঙ্কট সৃষ্টি হতে পারে। স্থানীয়দের পক্ষে আরও জানানো হয়েছে, প্রতিদিন যেভাবে রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ছেড়ে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে দেখা দিয়েছে দেশের সার্বিক নিরাপত্তার হুমকি। রোহিঙ্গাদের মধ্যে বহু দুষ্কৃতকারীও রয়েছে। ওই দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে। পালংখালী ইউপি সদস্য নুরুল আবছার চৌধুরী শনিবার জনকণ্ঠকে বলেন, রোহিঙ্গারা দিনের পর দিন হিংস্র হয়ে উঠছে। প্রতি মুহূর্তে তাদের রূপ বদলে যাচ্ছে। স্থানীয়রা গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি কিছু পালন করতে পারছে না। কোন ক্ষেত, সবজি চাষ করতে পারছে না। চুরি করে নিয়ে হজম করে ফেলছে রোহিঙ্গারা। স্থানীয় লোকজনের মধ্যে কোন ক্ষতির প্রতিবাদ করতে গেলে রোহিঙ্গারা সংঘবদ্ধ হয়ে তেড়ে আসে। পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মানবতাকে আশ্রয় দিয়ে এখন নিজেরা অমানবিকতার শিকার হয়েও কেউ দেখছে না। কিছু কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ এনজিওগুলোর প্রশ্রয়ে রোহিঙ্গারা অধিকতর বেপরোয়া হয়ে উঠছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৭ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় এক বছরে জেলার ১১টি পয়েন্টে সড়কের ওপর বসানো তল্লাশি চৌকিতে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ তল্লাশিকালে ৫৪ হাজার ৫৫৯ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর বাইরেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ৩ হাজার ২২১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫৮ হাজার রোহিঙ্গাকে গত এক বছরের ব্যবধানে আটক করে ফেরত আনা হয়েছে আশ্রিত ক্যাম্পে। এ ধরনের অনেক রোহিঙ্গা বিভিন্ন কৌশলে ক্যাম্প ছেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে বিভিন্ন জেলায় ভুয়া নাম ঠিকানা দিয়ে দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশী পাসপোর্ট বানিয়ে বিদেশও পাড়ি দিয়েছে। কুতুপালং, লম্বাশিয়া, মধুর ছড়া, বালুখালী ক্যাম্প থেকে প্রতিদিন ভোরে টমটম বা পায়ে হেঁটে মধুর ছড়া-ফলিয়াপাড়া রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। গত এক বছর সময়ের মধ্যে পুলিশের তথ্য মতে রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরণীন দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও স্থানীয়দের সঙ্গে ফৌজদারি অপরাদে জড়িয়ে পড়া ২৪৬টি মামলা হয়েছে। উখিয়া ও টেকনাফ থানায় দায়েরকৃত ১৭ ধরনের অপরাধের মামলায় আসামির সংখ্যা ৪৭১ জন রোহিঙ্গা। এ সময়ের মধ্যে ১২টি অস্ত্র মামলায় ২৭, ৮২টি মাদক পাচার মামলায় ১২২ জন, ৬টি ধর্ষণ মামলায় ৭, ১টি গণধর্ষণ মামলায় ৩, ১০টি বৈদেশিক আইনের মামলায় ১২, ৪টি অপহরণ মামলায় ২৫, ৫টি চোরাচালান মামলায় ১০, ২টি চুরির মামলায় ৩, ৬টি ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় ১৯, ২২টি হত্যা মামলায় ৬১, অন্য ৯৬টি মামলায় ১৮২ রোহিঙ্গাকে আসামি করা হয়েছে।
×