ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় পা কেটে নেয়া শিক্ষককে মামলা প্রত্যাহারের হুমকি

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 কলাপাড়ায় পা কেটে নেয়া শিক্ষককে মামলা প্রত্যাহারের হুমকি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৩১ আগস্ট ॥ সাত বছরের শিশু আফ্রিদি এখনও ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে ওঠে। বাবাকে নৃশংস কোপানোর ভয়াল দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে। পায়ের গোড়ালি কেটে ফেলার নৃশংসতা একটি মুহূর্তের জন্য আড়াল করতে পারছে না এই অবুঝ শিশু। বাবাকে রক্ষায় চিৎকার করায় তাকেও খালের পানিতে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। বাবা শাহআলম মাস্টার ঢাকায় চিকিৎসাধীন। কোনদিন স্বাভাবিক জীবনে না ফেরার শঙ্কায় এ শিশু। একই শঙ্কায় শাহআলম মাস্টারের অপর দুই সন্তান এইচএসসি উত্তীর্ণ মেধাবী শান্তা ও অষ্টম শ্রেণীর রিমির। স্কুল-কলেজে একা যেতে পারছে না। নিরাপত্তাহীনতায় তাদের সঙ্গে পরিবারের কেউ না কেউ যেতে হচ্ছে। এমনকি দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তাহীন রয়েছেন শাহআলম মাস্টারের বড় ভাই জাহাঙ্গীর মাস্টারসহ গোটা পরিবারের সদস্যরা। নিরাপত্তা চেয়ে এবং বাকি আসামিসহ মূল হোতা নজরুল-আইয়ুব আলী চক্রের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে লিখিতি বক্তব্য পাঠ করেন জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জের এ নৃশংস সন্ত্রাসের ঘটনা সকলের মুখে মুখে আলোচিত হচ্ছে। লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২৫ আগস্ট দিনের বেলা বোনের বাড়িতে যাওয়ার সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বেধড়ক কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। কেটে দেয় পায়ের গোড়ালি বরাবর। এ দৃশ্য দেখে সঙ্গে থাকা শিশু সন্তান আফ্রিদি চিৎকার করলে তাকেও হত্যার জন্য খালে ফেলে দেয়। শাহ আলমের পা কাটা এবং হত্যা চেষ্টা মামলায় চার আসামি গ্রেফতার হয়েছে। পলাতক রয়েছে ১৭ আসামি। ৫৮ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে শাহ আলম মাস্টারকে অন্তত ২৫টি মামলায় ইতোপূর্বে আসামি করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের চাওয়া ২০ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় জালিয়াতি করে শাহ আলমের ক্রয়কৃত সম্পত্তি দলিল করে ‘হঠাৎ মার্কেট’ নির্মাণ করে।
×