ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় ফতেহ আলী সেতু ঝুঁকিপূর্ণ ॥ যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ২৮ আগস্ট ২০১৮

বগুড়ায় ফতেহ আলী সেতু ঝুঁকিপূর্ণ ॥ যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ নগরীর সঙ্গে পূর্ব ও পশ্চিমের সংযোগের করতোয়া নদীর ওপর ফতেহ আলী সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর সেতুর ওপর দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচলে উভয় প্রান্তে নিষেধাজ্ঞা নোটিস এঁটে দিয়েছে। বগুড়া সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাত না হলে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ওই সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হবে। সেতুটির আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ায় এ বছরের শেষের দিকে পুরাতন সেতু ভেঙ্গে উন্নত অবকাঠামোয় দৃষ্টিনন্দন নতুন সেতু নির্মিত হবে। বগুড়ার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর ওপর গার্ডার কনস্ট্রাকশনের ৭১ মিটার সেতু নির্মিত হয় গত শতকের ষাটের দশকের মধ্যভাগে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনী নদীর ওপর পাশাপাশি রেলব্রিজ ও সড়ক সেতু স্যাবার জেটের বোমায় ধ্বংস করে দেয়। দেশ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর ধ্বংস হওয়া যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণের আওতায় করতোয়ার ওপর রেল ও সড়ক সেতু নির্মিত হয়। প্রায় ৪৭ বছরের সড়ক সেতুটি বর্তমানে যানবাহন পারাপারে অনুপযোগী হয়েছে। সেতুটির অবস্থা জানার জন্য সওজ অধিদফতরের উর্ধতন কর্মকর্তা ও সেতু বিশেষজ্ঞগণ ইতোমধ্যে পরিদর্শন করেছেন। তারা এই সেতুর ওপর দিয়ে ট্রাক, বাস ও ভারি যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছেন। সীমিতভাবে হালকা যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। বিকল্প পথে ভারি যানবাহন চলাচল করতে বলা হয়েছে। সওজ বিভাগ বলেছে ফতেহ আলী সেতুর সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পর সীমিতভাবে ভারি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান জানিয়েছেন, ফতেহ আলী সেতুর প্রয়োজনীয় সংস্কারের নক্সা হাতে পাওয়া গেছে। নদীতে পানি থাকায় এই মুহূর্তে কাজ শুরু করা যায়নি। আবহাওয়া বিভাগ জনিয়েছে, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। যে কারণে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সপ্তাহে সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। তিনি জানান, সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বগুড়ার মূল নগর করতোয়ার নদী তথা সেতুর পশ্চিমে। এই সেতু পূর্বাংশের চেলাপাড়া, নারুলী, সাবগ্রাম আকাশতারার বিশাল এলাকাকে নগরীর অন্তর্ভুক্ত করেছে। একইসঙ্গে বগুড়ার সঙ্গে পূর্বাংশের গাবতলী সারিয়াকান্দি সোনাতলা উপজেলার সড়ক সংযোগ করে দিয়েছে। যে কারণে ফতেহ আলী সেতুটি নড়বড়ে না রেখে নতুন করে নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। নতুন সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে মাটি ভরাট কাজ শুরু হয়েছে। নক্সা প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষ। এখন নক্সা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গেই নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে। আশা করা হয়েছে এ বছরের শেষের দিকে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা যাবে।
×