ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

অনলাইনে গরু বিক্রি ॥ সিরাজগঞ্জের খামারিরা লোকসানের মুখে

প্রকাশিত: ০৪:০০, ২৭ আগস্ট ২০১৮

  অনলাইনে গরু বিক্রি ॥ সিরাজগঞ্জের খামারিরা লোকসানের মুখে

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ অনলাইনে গরু ব্যবসার কবলে পড়ে কোরবানি ঈদে সিরাজগঞ্জের গরুর ব্যবসায়ী ও খামারিরা লোকসানের মুখে পড়েছে। বেশি লাভের আশায় ঢাকা চিটাগাংসহ দেশের বিভিন্ন হাটে কোরবানি পশু নিয়ে বিক্রি না হওয়ায় প্রায় দশ হাজার গরু ফেরত আনতে বাধ্য হয়েছেন গরু ব্যবসায়ীরা। মূলধন হারিয়ে অনেক খামারি ও ব্যবসায়ীর পথে বসার উপক্রম হয়েছে। অপর দিকে ফেরত আসা গরু নিয়েও ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এসব গরু এখন তারা বাধ্য হয়েই নামমাত্র মূল্যে কসাইদের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন হাট ও বাড়ি বাড়ি থেকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ব্যবসায়ীরা ষাঁড় গরু কিনে সড়কপথে ঢাকা, চিটাগাংসহ বিভিন্ন হাটে বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু এবার অনলাইনে গরু কেনাবেচা এবং হাটের আশপাশে খামার গড়ে ওঠায় হাটে ক্রেতা সমাগম কম ছিল। এ কারণে গরু বিক্রি কম হয়েছে এবং দামও অন্য বছরের চেয়ে কমে গেছে। প্রতিবছর এই অঞ্চল থেকে লক্ষাধিক গরু ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এবার চাহিদা কম থাকায় অধিকাংশ গরু ফেরত এসেছে। এর পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার। যার গড় মূল্যে প্রায় ৮ থেকে ৯ কোটি টাকা। ব্যবসায়ীরা ফেরত আনা গরু খাওয়ানো ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বিপদে পড়েছেন। বর্তমানে গরু প্রতি ৩০ থেকে ৪০ ভাগ টাকা কমে বিক্রি করতে চাইলেও ক্রেতা মিলছে না। আবার ট্রাকে করে ফেরত আনা অনেক গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ওজনও কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, এবার অনলাইনে গরু বিক্রি, ঢাকার আশেপাশে অসংখ্য গরুর খামার হওয়ায় সেখান থেকে মুঠোফোনের মাধ্যমে সরাসরি সরবরাহ করায় ক্রেতারা হাটে কম এসেছেন। যে কারণে হাট বাজারে প্রচুর আমদানি হলেও চাহিদা না থাকায় বেচাকেনা হয়নি। অনেক ফার্মের মালিক গরু ওজন করেও বিক্রি করেছেন। এ ধরনের সুবিধা পাওয়ায় ক্রেতারা হাটে আসেননি। শাহজাদপুর তালগাছী এলাকার গরু ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, এবার পর্যাপ্ত দেশীয় গরু মোটাতাজা করা হয়েছে । বিশেষ করে খামার গড়ে ওঠায় গরুর উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০ বছর ধরে গরুর ব্যবসা করছি। এভাবে কোন দিন এত গরু ফেরত আসবে ভাবতেও পারিনি। ২০ লাখ টাকায় ১০টি ষাঁড় গরু ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। ৪টা বিক্রি করতে পেরেছি, বাকিগুলো ফেরত আনতে হয়েছে।
×