ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন, শিমুলিয়ার অচলাবস্থা কাটেনি

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ১৮ আগস্ট ২০১৮

পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন, শিমুলিয়ার অচলাবস্থা কাটেনি

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ নাব্য সঙ্কটে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি সার্ভিস শুক্রবার সপ্তম দিনের মতো ব্যাহত হয়েছে। এতে শিমুলিয়া ঘাটে ছোট ছোট গাড়ির জট সৃষ্টি হয়। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে প্রায় তিন কিলোমিটার যানজট লেগে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার। নাব্য সঙ্কটে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি সার্ভিস শুক্রবার সপ্তম দিনের মতো ব্যাহত হয়েছে। এমনিতেই শুক্রবার গাড়ির চাপ থাকে বেশি তার ওপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই রুটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ পড়েছে। চলতে পারছে না ফেরি। এতে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এই সাত দিনে সরকার প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা রাজস্ববঞ্চিত হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। এসব তথ্য দিয়ে বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার শাহ খালেদ নেওয়াজ জানান, এই রুটে গড়ে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার ছোট বড় যান চলাচল করত। এখন আসা যাওয়া মিলে যান চলছে মাত্র হাজার থেকে বারশ’। প্রায় সপ্তাহ হলো এই সমস্যা। এখনও গাড়ি এখানে আসছে। শুক্রবার সকাল থেকে গাড়ির চাপ বাড়ছে। ফেরি সার্ভিস ব্যাহত হওয়ার ফলে জনগণের অর্থনৈতিক ক্ষতি ছাড়াও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন ॥ পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের বাড়তি চাপ সামলাতে পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া নৌ-রুটে চারটি ফেরি যুক্ত করা হলেও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে শুক্রবার দুপুরের পর পাটুরিয়া ঘাট এলাকা থেকে নবগ্রাম পর্যন্ত তিন কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন দিয়ে যানবাহনগুলো দাঁড়িয়ে থাকে। এ সময় ঘাটে পণ্যবাহী ট্রাকসহ ৫ শতাধিক যানবাহন পারের অপেক্ষায় থাকে । এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে চালক ও যাত্রী। পাটুরিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, শিমুলিয়া- কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে নাব্য সঙ্কটে ফেরি চলাচলে বিঘœ ঘটায় ওই রুটের বিকল্প হিসেবে যানবাহনের বাড়তি চাপ এ ঘাটে পড়েছে। এছাড়া ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় দুপুরের পর থেকেই যাত্রীবাহী কোচ, মিনিবাস, প্রাইভেটকারসহ পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ বৃদ্ধি পায়। এদিকে এ নৌরুটে তিনটি রো রো ও একটি কে-টাইপের ফেরি যুক্ত করা হলেও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে গাড়ি পারাপারে হিমশিম খেতে হয়েছে। গাড়ি চলে থেমে থেমে ॥ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে শুক্রবার সকালে ছিল তীব্র যানজট। যানজটের কবলে নাকাল হয়ে পড়েন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা। শুক্রবার ভোর থেকে মহাসড়কের ভবেরচরে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনে হাইওয়ের পুলিশের একাধিক টিমকে কাজ করতে দেখা গেছে। আগামী ১৯ তারিখ রাত থেকে ৩ দিন পর্যন্ত মহাসড়কে ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ থাকায় সকাল থেকে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যানের কারণে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। তীব্র গরমে এ রোডের যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ে। পরে দুপুর ১টার পর থেকে যানজট ক্রমশ কমতে থাকে। মহাসড়কে গাড়ির চাপ প্রচুর। এখনও গাড়ি চলছে থেমে থেমে। গজারিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় ভোর থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গজারিয়াংশে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকলে যানজট সৃষ্টি হয়।
×