ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এশিয়া কাপে খেলবেন সাকিব?

প্রকাশিত: ০৭:০৯, ৮ আগস্ট ২০১৮

এশিয়া কাপে খেলবেন সাকিব?

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পরবর্তী মিশন এশিয়া কাপ। সেপ্টেম্বরের ১৫ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে হবে এশিয়া কাপ। সেই এশিয়া কাপে বিশ্বসেরা বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান কী খেলবেন? সেই জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। সাকিবের আঙ্গুলের ব্যথা কোনভাবেই সেরে উঠছে না। যে কোন সময় সাকিবকে অস্ত্রোপচারের টেবিলে যেতেই হবে। সেটি যদি এশিয়া কাপের আগে হয় তাহলে এ টুর্নামেন্ট খেলা হবে না সাকিবের। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী সাকিবের ব্যথা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। সাকিব নাকি ব্যাটিংই ঠিকমতো করতে পারছেন না। দেবাশীষ বলেছেন, ‘সাকিবের বাঁহাতের লিটল ফিঙ্গারে একটা স্থানচ্যুতি ছিল। সে মূলত ব্যাটিংয়ে সমস্যা অনুভব করছে। সে ব্যাটিংয়ে শতভাগ এফোর্ড দিতে পারছে না। এটা নিয়ে বেশ কয়েকবার আমাদের জানিয়েছে। এই জন্য ওকে একজন হ্যান্ড সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়াতে। অস্ট্রেলিয়াতে ডাক্তার ডেভিড হও-এর তত্ত্বাবধানে ওকে একটা ইঞ্জেকশন দেয়। এরপর প্রদাহটা কিছুটা কমে আসে। ফলে গত কয়েক মাস সে মোটামুটি পেইন ফ্রিভাবেই খেলতে পেরেছে। যদিও কিছু সমস্যা থেকেই গেছে। হ্যান্ড সার্জনের কথামতো শর্ট টার্ম ম্যানেজমেন্টের জন্য ইনজেকশনটা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু লং টার্মে এটা খুব একটা কাজ করবে না। দল ফ্লোরিডা যাওয়ার পর সেখানকার ডাক্তার একটি ইনজেকশন দিয়েছেন। সেখানকার ডাক্তারও বলেছে এমন ম্যানেজমেন্ট খুবই শর্ট টার্মের জন্য কাজে লাগবে। এজন্য টিম ফেরার পর সাকিব, ম্যানেজমেন্ট ও আমরা সবাই মিলে বসে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, এই অপারেশন হলে প্রায় দেড়-দুইমাস রিহ্যাবের জন্য দরকার পড়বে। সেই কাজটা কখন হবে সেটা সাকিব ও ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপাতত এই ইনজেকশনের পর ব্যথা অনেকটাই কমে এসেছে। ফিরে আসার পর এশিয়া কাপের অনুশীলন যখন শুরু হবে তখন যদি সে মানিয়ে নিতে পারে, তাহলে হয়তো এভাবেই আমরা চালিয়ে যাব। আর অনুশীলনের সময় যদি ওর সমস্যা বেড়ে যায় তাহলে হয়তো আমাদের চিন্তা করতে হবে, ওর পরবর্তী ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারে।’ দেবাশীষ আরও জানান, ‘এই ইনজুরির পুরোপুরি রিকভারি কখনই হবে না। কিন্তু শতভাগ রিকভারি আসলে গুরুত্বপূর্ণ না। ৬০-৭০% রিকভারি হলেই সে ফাংশনাল হয়ে যাবে। খেলতে অসুবিধা হবে না। খেলতে খেলে ১০০% ভাঁজ করার দরকার হয় না। ৬০-৭০% ভাঁজ করতে পারলে হবে। এখন ও’ হয়তো ৪০-৫০% পারছে। আর যদি ১০-১৫% আমরা বাড়িয়ে দিতে পারি কিন্তু এই বাড়ানোটা খুব কঠিন। কারণ ওর হাড়ের সঙ্গে হাড় লেগে যাচ্ছে। যখন হাড়ের সঙ্গে হাড় লেগে যাচ্ছে তখন আর পুশ করতে পারছে না। যার কারণে সে ১০০% এফোর্ড দিতে পারছে না। সার্জনের সঙ্গে কথা বলে এটাকে ঠিক করতে হবে। এটা ১০০% ঠিক হয়তো হবে না। কিন্তু কিছুটা ইমপ্রুভ হলেই সে ফাংশনালি ঠিক হয়ে যাবে।’ চিকিৎসক দেবাশীষের কথাতেই বোঝা যাচ্ছে, সমস্যা ভালই আছে। এশিয়া কাপের অনুশীলন শুরু হলে সাকিব যদি ঠিকমতো ব্যাটিং করতে নাই পারেন তাহলে এশিয়া কাপের আগেই হয়তো তিনি অস্ত্রোপচারের টেবিলে যাবেন। আর গেলেই তো দেড়-দুইমাস মাঠের বাইরে থাকবেন। তাতে করে এশিয়া কাপ খেলা হবে না সাকিবের। এখন দেখার বিষয় সাকিব কী খেলার মতো অবস্থায় থেকে এশিয়া কাপটা খেলতে পারেন কিনা।
×