ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

শাহাব উদ্দিন মাহমুদ

পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৭:০৯, ৬ আগস্ট ২০১৮

 পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশ

(গতকালের সম্পাদকীয় পাতার পর) পানি ও নদী দূষণ ॥ প্রত্যেক জাতি ও সমাজের একটি আর্থ-সামাজিক চরিত্র আছে। আমাদের আর্থ-সামাজিক চরিত্র হলো নদ-নদী ও হাওড়-জলাশয় নিয়ে। এর মধ্যে অর্থনীতি, সংস্কৃতিও রয়েছে। হাওড় ও নদ-নদী বিপন্ন হওয়ায় বড় ক্ষতি হচ্ছে আর্থিক খাত। ২০-৩০ বছরে নদ-নদীর বিপন্নতা দেখা দিয়েছে সবচেয়ে বেশি। আর বিপন্ন হয়েছে দখল ও দূষণের কারণে। মানুষের জন্য দূষণমুক্ত পানির কোন বিকল্প নেই। ঢাকা চট্টগ্রামসহ সারাদেশে জালের মতো বিস্তৃত নদীগুলো আজ ভয়ানক দূষণের শিকারে পরিণত হয়েছে। নদীগুলো হয়ে গিয়েছিল স্রোতহীন, দুর্গন্ধ ও প্রাণহীন নদীতে। এমনকি বুড়িগঙ্গার পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের উপস্থিতির গড় পরিমাণ ০.৪৫ মিলিগ্রামে নেমে গিয়েছিল। যেখানে মাছতো দূরের কথা অন্য কোন জলজ প্রাণী এমনকি পোকা-মাকড়ও বেঁচে থাকা সম্ভব ছিল না। তাই বিশ্বব্যাংক বুড়িগঙ্গাকে ‘মৃত নদী’ নামে অবহিত করেছিল। পানির প্রবাহ না থাকায় শীর্ণকায় হয়ে আছে শঙ্খ, মাতামুহুরী এবং বাঁকখালীসহ আরও অসংখ্য নদী। প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশসহ অনেক অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ইতোমধ্যে খাদ্য উৎপাদনের জন্য মিঠা পানি ও জমি হ্রাস পেয়েছে, জীববৈচিত্র্য এবং জীবন ও জীবিকা তাৎক্ষণিক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। পৃথিবীর সবকটি সাগর, মহাসাগর, উপসাগর, নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর- ডোবা, হ্রদ-হিমবাহ, মেরু তুষার ও ভূগর্ভস্থ পানি দিয়ে বারিম-ল গঠিত। পৃথিবীর মোট পানির শতকরা ৯৭ ভাগ সমুদ্রে থাকে। শতকরা দুই ভাগ পানি আছে হিমবাহ ও মেরু তুষারে। মানুষের পানীয় এবং অন্যান্য ব্যবহারের উপযোগী মাত্র এক ভাগ পানির উৎস নদ-নদী, হ্রদ, পুকুর, ডোবা, কুয়ো, নলকূপ, ঝরনা ও ভূ-গর্ভ। নদীমাতৃক বাংলাদেশ। মানবদেহের শিরা-উপশিরার মতো ছড়িয়ে থাকা এর নদী, শাখা নদী, উপনদী, খাল-বিল, জলাশয় বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি নির্ধারিত করেছে। দেশটির মিঠা পানির উৎসসমূহকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আজ সেই নদীগুলোর খুবই করুণ অবস্থা। বহু নদী মরে গেছে। অনেক নদী মরার পথে রয়েছে। প্রবাহ না থাকায় খাল-বিলও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দখলে-দূষণে হারিয়ে যাচ্ছে। নদীর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশও যে ক্রমেই মৃত্যুর পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন অনেক ভূ-প্রকৃতি বিশেষজ্ঞ। নদীগুলোর দখল ও দূষণ ঠেকানো খুবই জরুরী। ঢাকা চট্টগ্রামের আশপাশের নদীগুলোর নাব্য এখনও ফেরানো যায়নি। বুড়িগঙ্গা কর্ণফুলী নদীতে এখনও প্রাণের সঞ্চার হয়নি। অথচ এই বুড়িগঙ্গাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল ঢাকা শহর, কর্ণফুলীকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম। আমাদের মনে রাখতে হবে, নদী মরে গেলে স্থানীয় ভূ-প্রকৃতি বদলে যায়, কৃষিতে প্রভাব পড়ে, জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যায়, দেশ ক্রমে মরুকরণের দিকে এগিয়ে যায়। আমাদের দেশের পানির প্রাকৃতিক উৎস ও প্রাকৃতিক সম্পদগুলো টেকসইভাবে ব্যবস্থাপনা করা ও সুরক্ষিত রাখা আমাদের দায়িত্ব। বিশুদ্ধভাবে সংরক্ষিত জলাশয় সুপেয় পানির ভা-ার। শহরাঞ্চলে যেসব জলাশয় বা পুকুর আছে তাতে বর্জ্য ফেলে পরিবেশকে করে তোলা হয়েছে আরও বিষাক্ত। সব পাড়ের বাসিন্দাদের সব ধরনের নোংরা আবর্জনা ফেলার অন্যতম স্থান এসব জলাশয়, এগুলো হতে পারত মাছের চাষ, নৌবিহারের ব্যবস্থা, ভাসমান রেস্তরাঁ ইত্যাদি। একইভাবে বিভিন্ন শহরের অনেক জলাভূমি মজে গেছে। মাটি ভরাট করে গড়ে উঠেছে বহুতল মার্কেট কমপ্লেক্স। কালে কালে এসব জলাশয় ভরাট হয়ে গেলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই, থাকবে না। এসব জলাশয় এবং বিলের সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরিবেশবাদীদেরও গাছ লাগানোর বাইরে জলাভূমি সংরক্ষণেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হতে হবে। জলাভূমির সংরক্ষণ যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা অনুধাবন করা সম্ভব আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনা এবং গৃহীত পদক্ষেপের দিকে চোখ রেখেই। পরিবেশবিদদের ঘোষণা অনুযায়ী জলাভূমি অঞ্চল বিশেষ করে শহুরে জীবনে ফুসফুস স্বরূপ। জলাভূমি ভরাট করে শহর বাজার গড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হয় পরিবেশের ভারসাম্য। অতীতে জনজীবনের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার স্বার্থেই খনন করা হয়েছিল বিভিন্ন জলাশয়। প্রাকৃতিক নিয়মেও কোথাও কোথাও গড়ে উঠেছিল জলাভূমি। সাধারণভাবে স্থানীয় ভাষায় বিল এবং হাওড়ের গুরুত্ব সচেতন মানুষের অজানা নয়। এক সময় ঢাকায় ৫২টি চট্টগ্রাম শহরকে কেন্দ্র করে ছোট বড় ৪৬টি খাল ছিল। বর্তমানে সেগুলো দৃশ্যমান নয়। সেগুলো দখল ও দূষণে মৃতপ্রায়! কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে প্রতিদিন আড়াই হাজার গাছ কেটে জ্বালানি কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এভাবে চললে ২০১৯ সালের মধ্যে উখিয়ার সম্পূর্ণ বন উজাড় হয়ে যাবে। ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর দৈনন্দিন জীবনযাপনের ফলে টেকনাফ ও উখিয়া এই দুই উপজেলার ২১টি খাল ও ছড়া পুরোপুরি দূষিত হয়ে গেছে। পরিবেশ অধিদফতর পানি দূষণ নিয়ন্ত্রণে নানাবিধ কর্মসূচী গ্রহণ করে আসছে। ১৯৭৩ সালে পানি দূষণ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃক ‘জলবায়ু’ পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব রোধে ঢাকা-চট্টগ্রামের চারপাশের নদীসমূহের সীমানা সংরক্ষণ, বর্জ্য পরিশোধন ও ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত বিস্তারিত সম্ভাব্যতা এবং পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাব নিরূপণ সমীক্ষা’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পানির গুণগত মান পরিবীক্ষণের জন্য জিআইএস রিডিংসহ ভূপরিস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানির মনিটরিং নেটওয়ার্ক হালনাগাদ করা হয়েছে। মাউন্টেন ইকো সিস্টেম পবিত্র কোরান শরিফে আছে, আমি পৃথিবীতে সুউচ্চ পর্বতমালা সৃষ্টি করেছি যাতে পৃথিবী আন্দোলিত না হয়। ভূমিকম্প প্রাথমিক যে ধাক্কাটা দেয় বড় উঁচু পাহাড় এবং টিলাগুলো তা নিতে পারে। সমতল ভূমিতে আসার আগে ভূমিকম্প ওখানেই প্রতিহত হতে পারে। পাহাড় কাটার ফলে ভূমিকম্পের ঝুঁকিটা বেড়ে যায়। নিয়মনীতির পরোয়া না করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাহাড় কাটা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত আইন থাকলেও তা কার্যকর না হওয়ায় বেপরোয়া একশ্রেণীর মানুষ। এতে ভারসাম্যা হারিয়ে ফেলছে জীববৈচিত্র। প্রতিবছর পাহাড় ধসে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। তারপরও থামছে না পাহাড় কাটা। দেশের বেশিরভাগ পাহাড়ই এক সময় সবুজে আচ্ছাদিত ছিল। গাছপালায় ভর্তি ছিল। এই কারণে পাহাড়ের মাটিগুলো আশপাশের ঝর্ণা কিংবা নদীতে যেতে পারত না। গাছপালা থাকার কারণে পাহাড়ে ঝর্ণা থাকত। প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা পাহাড়কে ধ্বংস করা হচ্ছে। সবুজ আচ্ছাদন কাটা হচ্ছে। এমনিতে আমাদের এখানকার পাহাড় খুব শক্ত নয়। অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ের উপরের মাটি ধুয়ে নিচে চলে যায়। পাহাড়ধসে দুর্ঘটনা রোধে গাছপালায় আবার পাহাড় ভরে ফেলতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতিরক্ষা প্রাচীর দিয়ে পাহাড়ের মাটি যাতে নিচে না আসতে পারে সেটার ব্যবস্থা করতে হবে। কোন অজুহাতে পাহাড়ের আগা, মাথা, মাঝখান কাটা যাবে না। আমাদের খুব অল্পসংখ্যক পাহাড়ই অবশিষ্ট আছে। এখন যেভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে সেভাবে যদি চলতেই থাকে তাহলে ১০ বছর পর পাহাড়ের কোন অস্তিত্বই থাকবে না। তাই এখন যা আছে সেভাবে রেখে প্রত্যেকটা পাহাড় সংরক্ষিত ঘোষণা করা উচিত। সেই সঙ্গে প্রশাসনের এটাও নিশ্চিত করা উচিত যে, তারা সত্যিই পাহাড় কাটা রোধ করতে চায়। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড বর্তমানে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের উপকূলবর্তী যেসব দেশ সবচেয়ে অরক্ষিত ও হুমকির সম্মুখীন, বাংলাদেশ তার একটি। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ভূ-পৃষ্ঠের উষ্ণতা যে হারে বাড়ছে তা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী ১০০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হবে এবং প্রায় তিন কোটি মানুষ উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ২০০৯ সালে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা ২০০৯ (বিসিসিএসএপি ২০০৯) চূড়ান্ত করা হয়েছিল। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম এই ধরনের সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। বিসিসিএসএপি ২০০৯ এ বর্ণিত কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে ২০০৯-১০ অর্থবছরে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (সিসিটিএফ) গঠন করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী উন্নত দেশের অর্থ প্রাপ্তির জন্য অপেক্ষা না করে নিজস্ব অর্থায়নে এ ধরনের তহবিল গঠন বিশ্বে প্রথম যা আন্তর্জাতিক পরিম-লে বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় স্থানীয় জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু সহিষ্ণু প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ করাই বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বলবৎ করা হয় জলবায়ু ট্রাস্ট আইন-২০১০। দেশ ও দেশের জনগণকে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য মহান জাতীয় সংসদে এ ধরনের একটি আইন পাস করার দৃষ্টান্ত পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। পরিবেশ-প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নয়ন হলো টেকসই উন্নয়ন। পরিবেশ-প্রকৃতির ক্ষয় না করে যে প্রবৃদ্ধি, তাকেই বলে সবুজ প্রবৃদ্ধি। সরকারের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০৪১ অর্থবছরের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের প্রক্ষেপন অনুযায়ী উচ্চ আয়ের দেশের পর্যায়ে পৌঁছাতে এবং সম্পূর্ণ দারিদ্র্য বিমোচন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পরিবেশগত অবনতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। চলতি বছরের মার্চ মাসে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ অর্জন ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করতে হবে। আর এসব উন্নয়ন হতে হবে টেকসই ও স্থায়িত্বশীল। এ লক্ষ্যে পরিবেশ-প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলশ্রুতিতে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার’ লাভ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ‘ফরেন পলিসি’ তে প্রকাশিত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিয়ে সচেতনতা তালিকায় ‘ডিসিশন মেকার্স’ ক্যাটাগরিতে বিশ্বের শীর্ষ ১৩বুদ্ধিজীবীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ পরিবেশ আইন, পরিবেশবিধি, জলাধার আইনসহ চমৎকার কিছু আইন ও নীতি থাকা সত্ত্বেও পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অভাব পরিলক্ষিত হয়। নীতিমালার ওপর খাতগুলোর প্রভাব : রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশগত অবনতির বিষয়ে নীতিমালাতে বিভিন্ন ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০ গ্রহণকালে প্রধান নীতিমালা, বিনিয়োগ কর্মসূচী এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এগুলো যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হয়, তবে দীর্ঘমেয়াদে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির উৎসগুলোর সমাধান হবে। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে শেখ হাসিনার সরকার। সমাপ্ত... লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক [email protected]
×