ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রকোনায় হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ॥ ১৯ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ২৫ জুলাই ২০১৮

নেত্রকোনায় হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ॥ ১৯ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ২৪ জুলাই ॥ জেলার খালিয়াজুরি উপজেলার গোয়ালবাড়ি-আদমপুর গ্রামের আলোচিত ডাকাতিসহ হত্যা মামলার রায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৯ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোনার জেলা ও দায়রা জজ কেএম রাশেদুজ্জামান রাজা এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলো- খালিয়াজুরি উপজেলা সদরের ওসমান গণি, পাশর্^বর্তী সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা সদরের তাহের মিয়া ও শাল্লা উপজেলা সদরের কাউসার আহমেদ। অপরদিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছে- শহীদ মিয়া, জ্যোতি মিয়া, মহিবুর ডাক্তার, রমজান মিয়া, সিদ্দিক মিয়া, মনু মিয়া, ইসলাম উদ্দিন, শাজাহান মিয়া, তাহের আলী, কবির মিয়া, রোজ আলী, জিয়াউল হক, শফিক মিয়া, দিদার মিয়া, খলিল রহমান, আক্কাস আলী, হিরা মিয়া, শুক্কুর আলী ও রহিম মিয়া। সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এদের বাড়ি। এরা প্রত্যেকে সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দলের সদস্য। আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে ২৫-৩০ জনের সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দল খালিয়াজুরি উপজেলার গোয়ালবাড়ি-আদমপুর গ্রামে ডাকাতি করতে যায়। তখন গ্রামবাসী টের পেয়ে ডাকাতদের ঘেরাও করে ফেলে। এ সময় ডাকাতরা গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে ওই গ্রামের মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে চয়ন সরকার (২৫) ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন আরও আটজন। এ ঘটনার পর দিন রাতে নিহতের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাত সংখ্যক আসামি করে খালিয়াজুরি থানায় ডাকাতি ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলা চলাকালে এক আসামির মৃত্যু হয়। ১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে মঙ্গলবার দুপুরে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত দুই আসামি ওসমান গণি ও কাউসার আহমেদ এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত রোজ আলী, হিরা মিয়া ও রহিম মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিল। বাকি সবাই পলাতক। লক্ষ্মীপুরে ৫ জনের যাবজ্জীবন নিজস্ব সংবাদদাতা লক্ষ্মীপুর থেকে জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে মুরাদুল ইসলাম সুমন (২২) হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন করাদ- দিয়েছে আদালত। এ সময় প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের জেল আদেশ দেয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. এ কে এম আবুল কাশেম এ রায় দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ৬ তারিখে নিখোঁজ হন পৌরসভার সাহাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মুরাদুল ইসলাম সুমন। দুই দিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী বাঙ্গাখা ইউনিয়নের রাধাপুরের একটি ডোবায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। পরের দিন নিহতের মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে তার ছেলেকে দুর্র্বৃত্তরা হত্যা করেছে অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে সাদ্দাম নামের একজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সুমনের মা ও তার ভাইয়ের সম্পৃক্ততায় ৯০ হাজার টাকার বিনিময়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশের এসআই আবুল বাশার ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আদালতে নিহতের মা ও ভাইসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
×