ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভোটের হাওয়া

বগুড়া ॥ আসন পুনরুদ্ধার আর দুর্গ ভেঙ্গে বেশি আসন জয়ের লড়াই

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ২০ জুলাই ২০১৮

বগুড়া ॥ আসন পুনরুদ্ধার আর দুর্গ ভেঙ্গে বেশি আসন জয়ের লড়াই

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। নির্বাচনের হাওয়া ইতোমধ্যেই বইতে শুরু করেছে। গ্রামগঞ্জে জেলায় জেলায় ঢেউ উঠছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা অক্টোবরে। রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ছুটছেন গ্রাম-গ্রামান্তরে, শহর-নগরে। যাছাইয়ের চেষ্টা করছেন হাওয়া কোন দিকে। মনোনয়ন লাভের আশায় ধর্ণা দিচ্ছেন নেতাদের কাছে। ভোট উৎসবের আগের চিত্রটি জনকণ্ঠের পাঠকদের কাছে তুলে ধরার জন্য ধারাবাহিক প্রতিবেদন ‘ভোটের হাওয়া’। আজকের কিস্তি বগুড়াÑ প্রতিবেদক সমুদ্র হক ও মাহমুদুল আলম নয়ন : যমুনা বাঙালী করতোয়া তীরের বগুড়ায় এই সময়টায় নদীর ¯্রােত শান্ত তবে সুপ্ত নয়। তীরের মানুষের মনে একাদশ সাধারণ নির্বাচনের এখনই ঢেউ উঠেছে। বগুড়া জেলা বিএনপির ঘাঁটি বলে এতদিন পরিচিতি থাকলেও সেখানে বেশ শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা। বিএনপির ঘাঁটি ভেঙ্গে দিয়ে নিজেদের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে মরিয়া আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। বিএনপির দর্পচূর্ণ করে সাতটি আসনের মধ্যে অন্তত চারটি আসন করায়ত্ত করতে মরিয়া ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বগুড়ার সাতটি আসনের নির্বাচনী মাঠ। জেলার ৭টি আসনে ভিআইপি প্রার্থীদের আনাগোনাও বেশি। সাতটি আসনেই বিএনপিতে প্রার্থীর ছড়াছড়ি হলেও সেদিক থেকে অনেকটাই নির্ভার আওয়ামী লীগ। ‘মনোনয়ন পেলেই বিজয় নিশ্চিত’Ñ এমন প্রত্যাশায় বগুড়ার প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির মুখোমুখি বিএনপিই। দলটির বড় বড় নেতারা কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। মনোনয়ন লাভে কেউ ছুটছে লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে, কেউবা চেষ্টা করছেন খালেদা জিয়ার মন জয় করতে। মনোনয়ন না পেলে বিএনপির অনেক নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ারও হুমকি দিচ্ছেন। আগামীকাল নীলফামারী অন্যদিকে শুধু দুটি আসনেই নয়, আগামী নির্বাচনে অন্তত চারটি আসনে বিজয়ী হতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তবে ক্ষমতাসীন দলটিতেও মনোনয়ন নিয়ে অভ্যন্তরীণ কিছু কোন্দল রয়েছে। নির্বাচনের আগে দ্রুত তা মিটিয়ে ফেলে বিএনপির দুর্গ তছনছ করতে তৎপর দলটির শীর্ষ নেতারা। দশম জাতীয় নির্বাচনে মহাজোটের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির কারণে বগুড়ার পাঁচটি আসন জাতীয় পার্টি ও জাসদকে ছেড়ে দিতে হলেও এবার এসব আসনে আওয়ামী লীগ চায় তাদেরই প্রার্থী দাঁড় করাতে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন যে পাঁচটি আসন শরিকদের মধ্যে ছেড়ে দিতে হয়েছে ওই আসনগুলোতে জাতীয় পার্টি ও জাসদের তুলনায় আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক অনেক বেশি। এক কথায় বগুড়ায় হারানো আসন পুনরুদ্ধার করতে চায় বিএনপি। আর সেই আসনগুলোতে হানা দিয়ে আবারও নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া আওয়ামী লীগ। আর জাতীয় পার্টি ও জাসদ তাদের আসন ধরে রাখতে তৎপরতা চালাচ্ছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে বগুড়ার ৭টি আসনের দুটিতে আওয়ামী লীগ, চারটিতে জাতীয় পার্টি ও একটিতে আছেন জাসদের সংসদ সদস্য। বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) ॥ বগুড়া-১ আসনটি ২০০৮ সালেই হাতছাড়া হয় বিএনপির। বিএনপির দুর্গ ভেঙ্গে দিয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আবদুল মান্নান। এরপর এলাকার সার্বিক উন্নয়নে তিনি এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত চষে বেড়ান। গত সাড়ে ৯ বছরে রেকর্ড সংখ্যক উন্নয়ন কাজ করে এলাকার চেহারাই পাল্টে দিয়েছেন। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও পুনরায় বিজয়ী হন তিনি। সারাদেশের তিনশ’ সংসদীয় আসনের উন্নয়নের তুলনা করলে অঙ্কের বিচারে সরকার থেকে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ এনে নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় এই সংসদ সদস্য। সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে কেন্দ্র থেকে শুরু করে সারাদেশেই আবদুল মান্নানের রয়েছে ব্যাপক প্রভাব এবং পরিচিতি। বিশেষ করে এলাকার গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের কল্যাণ এবং ভয়াল নদী ভাঙ্গন রোধে সংসদের ভেতরে ও বাইরে তিনি সবসময়ই সোচ্চার। সর্বশেষ ভয়াবহ বন্যাতেও দিনরাত নির্বাচনী এলাকার দুর্গত মানুষের পাশে থেকে দু’হাতে সাহায্য-সহযোগিতা দিয়েছেন। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের একক প্রার্থীই হচ্ছেন আবদুল মান্নান। আগামী নির্বাচনেও হ্যাট্রিক বিজয়ের বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদী তার এলাকার ভোটার-সমর্থকরা। এই আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রভাবশালী প্রার্থীর বিপরীতে বিএনপিতে রয়েছে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী। ফেলে আসা স্মৃতি নিয়ে নির্বাচনী এলাকার দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম। তবে বিএনপির অন্য নেতারাও বসে নেই। তাদের আকাক্সক্ষা এই আসনে প্রার্থী হওয়ার। এই বিএনপির অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য শোকরানা, সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান আহসানুল তৈয়ব জাকির, ডাঃ শাজাহান আলী ও মোশাররফ চৌধুরী। জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে আছেন অধ্যক্ষ মোকসেদুল আলম। বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) ॥ এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হচ্ছেন জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ। জোটের অঙ্কে দশম জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসনটি ছেড়ে দেয়ায় নির্বাচিত হন তিনি। এবারও তিনি মনোনয়নের জন্য আবেদন করবেন। আশাও করছেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট হতে পারে। তবে সেই গুড়েবালি পড়তে পারে এমনটি মনে করেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে আর ছাড় দিতে নারাজ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। এই আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে নাম শোনা যাচ্ছে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আকরাম হেসেন, শিবগঞ্জ পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক, ডাঃ রেজাউল আলম জুয়েল, আজিজুল হক ও মোস্তাফিজার রহমান। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট হাফিজার রহমান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শাহে আলম, মহিলা দলের নেত্রী নূর আফরোজ জ্যোতি ও এম আর ইসলাম স্বাধীন। এদিকে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও সাবেক ডাকসু ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্নাও এ আসনে প্রার্থী হতে পারেন। নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামায়াত নেতা মাওলানা আলমগীর হোসাইন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। বগুড়া-৩ (আদমদিঘি ও দুপচাঁচিয়া) ॥ এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হচ্ছেন জাতীয় পার্টির বর্তমান নুরুল ইসলাম তালুকদার। গত নির্বাচনের পর থেকেই নিরলস পরিশ্রম করে নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক গণভিত্তি তৈরি করেছিলেন আওয়ামী লীগের আনছার আলী মৃধা। কিন্তু হঠাৎ করে তার মৃত্যুতে কিছুটা হোঁচট খেতে হয় ক্ষমতাসীন দলটিকে। কিন্তু তার ছেলে মারুফ রাব্বী মৃধা বাবার পথ ধরে রাজনীতিতে নেমে অন্যতম প্রার্থী হিসেবে জানান দিয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রাজু, এ্যাডভোকেট আবদুল মতিন, প্রবাসী আসাদুর রহমান লাইজু ও এ্যাডভোকেট তবিবর রহমান। অন্যদিকে বিএনপিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীর ছড়াছড়ি। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে আছেন বগুড়া শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, আদমদিঘি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিত তালুকদার, এ্যাডভোকেট শেখ মোখলেছুর রহমান ও সুলতান মাহমুদ চৌধুরী। বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) ॥ আসনে বর্তমান এমপি জাসদ (ইনু) জেলা সভাপতি রেজাউল করিম তানসেন। এবারও তিনি আশা করে ১৪ দলীয় ঐক্যজোটের আসনবণ্টন সমঝোতায় আবারও জাসদ থেকে মনোনয়ন পাবেন। তবে মনোনয়ন পেলে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। কারণ এ আসনে রয়েছে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রভাবশালী প্রার্থী। আওয়ামী লীগের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন এ আসনে নির্বাচন করতে চান। তবে তিনি এই আসন নাকি বগুড়া-৬ (সদর) আসনের প্রার্থী হবেন এ নিয়ে দোদুল্যমানতায় আছেন। দলীয় নেতাকর্মীরা বলাবলি করছেন মমতাজ উদ্দিন হয়তো শেষ পর্যন্ত এই আসনেই থাকবেন। মমতাজ উদ্দিন ছাড়াও কাহালু পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন কবিরাজও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিএনপি নেতা আলহাজ মোশারফ হোসেন। তিনি আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন। আবার সাবেক এমপি মোস্তফা আলী মুকুল আশা করে আছেন দল থেকে মনোনয়ন পাবেন। সরব হয়েছেন সাবেক এমপি ডাঃ জিয়াউল হক মোল্লাও। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দুইজন সদস্য সাংবাদিক আব্দুস সালাম বাবু, ফারুক আহম্মেদ, হাজী নুরুল ইসলাম বাচ্চুও ওপর মহলে যোগাযোগ রেখেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীর জন্য। জামায়াতের নেতা মাওলানা তায়েব আলী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে থাকতে চাইছেন। বগুড়া- ৫ (ধুনট ও শেরপুর) ॥ বগুড়া-১ আসনের মতো ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির দুর্গ ভেঙ্গে আসনটি দখলে নেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবর রহমান (এসপি হাবিব নামেই অধিক পরিচিত)। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও পুনর্বার বিজয়ী হন তিনি। তবে অনেকেই প্রার্থী বদলের দাবি তুলেছেন। যার মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু ও ধুনটের আওয়ামী লীগ নেতা নুরুন্নবী তারেকের নাম আসছে। এই আসনেও বিএনপির একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে আছেন- সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, শেরপুর উপজেলা সভাপতি জানে আলম খোকা, বগুড়ার পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান ও কেন্দ্রীয় সদস্য কেএম মাহবুবুর রহমান হারেজ। জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন এ্যাডভোকেট শাজাহান তালুকদার ও তাজ মোহাম্মদ। বগুড়া-৬ (সদর উপজেলা) ॥ এ আসনটি বিএনপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বরাবরই এই আসনের প্রার্থী হন দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তবে একাদশ সাধারণ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন কি না এ নিয়ে শঙ্কাও আছে। কোন কারণে তিনি প্রার্থী না হলে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের। আইনী জটিলতায় তারও প্রার্থিতা বাতিলের সম্ভাবনা রয়েছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান প্রার্থী হতে না পারলে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে নাম শোনা যাচ্ছে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁনও মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন। আওয়ামী লীগও বসে নেই। বিএনপির অহংকার চূর্ণ করে দিতে অনেকেই মাঠে নেমেছেন। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মমতাজ উদ্দিন প্রার্থী হওয়ার আশা করে আছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টুও রয়েছেন। জনপ্রিয়তা ও সাধারণের গ্রহণযোগ্যতা তাঁর বড় শক্তি। রাজনীতিতে আগামীর তারুণ্যের জোয়ারের মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু। তিনি গত নির্বাচনে মনোনয়ন পেলেও জোটের কারণে তাঁকে ছেড়ে দিতে হয়। এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনজরুল আলম মোহন, জেলার নেতা মাহমুদ খান রনি, আবু সুফিয়ান শফি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু ও সাংবাদিক নেতা আখতারুজ্জামানও মনোনয়ন প্রত্যাশী। বর্তমানে এই আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর। তিনি এবারও মনোনয়ন চান। জাসদের এ্যাডভোকেট এমদাদ হোসেন ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আনম মামুনুর রশীদও প্রার্থী হতে চান। বগুড়া-৭ (গাবতলী ও শাজাহানপুর) ॥ এই আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) বগুড়া শাখার সভাপতি ডাঃ মোস্তফা আলম নান্নু, গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ এইচ আজম খান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক টি জামান নিকেতা, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আসাদুর রহমান দুলু, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ইমারত আলী, বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক রফি নেওয়াজ খান রবিন প্রার্থী হওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন। এই আসনেও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এর আগেও তিনি এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে দলীয়ভাবে বলাবলি হচ্ছে, আইনগত সমস্যা না থাকলে প্রার্থী হতে পারেন দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার ও সরকার বাদলও প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাপ করছেন। জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মন্টু মানুষের কাছে ভোট চাইছেন। এই আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির এ্যাডেভোকেট আলতাফ আলী এবারও জোটের পক্ষ থেকে মনোনয়ন লাভের প্রত্যাশা করছেন।
×