ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

ইঁদুর, বানরের জায়গায় অঞ্জু মাছ

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ৯ জুলাই ২০১৮

 ইঁদুর, বানরের জায়গায়  অঞ্জু মাছ

নানা ধরনের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য ইঁদুর বা বানরের ব্যবহারের চল বহুদিনের। জীববিজ্ঞান নিয়ে যারাই পড়াশোনা করেন, তাদের ইঁদুর নিয়ে কাটাছেঁড়া করতেই হয়। গিনিপিগ বা কখনও বানরের ওপরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে হয় গবেষণার খাতিরে। কিন্তু সেই ধারণাটা পাল্টে যেতে চলেছে। বৈজ্ঞানিকরা এখন ইঁদুরের পরিবর্তে এক ধরনের মাছ ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য জেব্রা ফিশ বা বাংলায় যেটি অঞ্জু মাছ বলে পরিচিত, তা ব্যবহার করতে শুরু করেছেন বৈজ্ঞানিকরা। এই মাছ গোটা উপমহাদেশেই সহজলভ্য। তবে এছাড়া রয়েছে তার অনেক গুণাগুণ, যার মধ্যে একটি হল, তাদের অনেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গই মানুষের মতো। সেজন্য কোন রোগীকে ঠিক কোন ওষুধ দেয়া যেতে পারে, তা চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা জেব্রা ফিশের ওপরে গবেষণা করে সহজেই জেনে নিতে পারছেন। পরীক্ষার মাধ্যম হিসাবে কেন ইঁদুর বা বানরের তুলনায় জেব্রা ফিশ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য সুবিধাজনক, জানতে চেয়েছিলাম ভারতের সেন্টার ফর সেলুলার এ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির পরিচালক রাকেশ মিশ্রর কাছে। মিশ্র বলছিলেন, প্রথমত, ইঁদুরের ওপরে পরীক্ষা চালানোর জন্য যে বিরাট আয়োজন, অনেক জায়গা বা বিপুল খরচ করতে হয়, জেব্রা ফিশকে পরীক্ষার জন্য তৈরি করতে তার এক শতাংশও খরচ করতে হয় না। খুব সহজেই প্রচুর সংখ্যায় জেব্রা ফিস রাখা যায় গবেষণাগারে। দ্বিতীয়ত, ইঁদুর ছাড়া বানরজাতীয় প্রাণীর ওপরে পরীক্ষা চালাতে গেলে অনেক নিয়মকানুন মানতে হয়, এথিকসের কারণে। নিতে হয় ছাড়পত্র। জেব্রা ফিশের ক্ষেত্রে সেসব প্রয়োজন হয় না। এজন্যই পরীক্ষাগারে জেব্রা ফিশের ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে বলে জানান তিনি। ভারতেই এখন অন্তত ৪০টি গবেষণাগারে জেব্রা ফিশ ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে তার মধ্যে ৩-৪টি কেন্দ্রে অত্যাধুনিক পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। -বিবিসি অবলম্বনে।
×