ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লার দুই মামলায় খালেদার হাইকোর্টের জামিন স্থগিত

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৩০ মে ২০১৮

কুমিল্লার দুই মামলায় খালেদার হাইকোর্টের জামিন স্থগিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কুমিল্লায় হত্যা ও নাশকতার দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া ছয় মাসের জামিন স্থগিত করেছে আপীল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। একই সঙ্গে মামলাটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে। ওই দুই মামলায় জামিন স্থগিতের পৃথক দুটি আবেদনের শুনানি আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ৩১ মে বৃহস্পতিবার হবে। অন্যদিকে ঢাকার মানহানির দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আদেশের জন্য ৩১ মে বৃহস্পতিবার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার আপীল বিভাগের চেম্বারজজ ও হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেছে। কুমিল্লায় হত্যা ও নাশকতার দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া ছয় মাসের জামিন স্থগিত করে দিয়েছে আপীল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত। চেম্বার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের জানান, ওই দুই মামলায় জামিন স্থগিতের পৃথক দুটি আবেদনের শুনানি আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বৃহস্পতিবার হবে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন। আদেশের পর ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল ড. মোঃ বশির উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন , সোমবার হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেয়ার পর তা স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদন শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য ছিল। নির্ধারিত দিনে শুনানির পর আদালত জামিন স্থগিত করে নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আপীল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়েছে । এর আগে সোমবার সকালে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ কুমিল্লার দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেয়। তবে, নড়াইলের মানহানির মামলায় আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয়। রবিবার কুমিল্লায় নাশকতার দুই মামলা ও নড়াইলের মানহানির মামলার ওপর শুনানি শেষ হয়। হাইকোর্টে আদেশের পর কুমিল্লার মামলার বিষয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, একটিতে ছয় মাসের জামিন দিয়ে রুল দিয়েছে, অন্যটিতে ছয় মাসের জামিন দিয়েছে। আইনজীবীরা বলছেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অন্তত আরও ছয়টি মামলা রয়েছে; যেগুলোতে জামিন পেলেই কেবল তিনি মুক্তি পেতে পারেন। এর মধ্যে কুমিল্লায় তিনটি ও নড়াইলে একটি, বাকিগুলো ঢাকার। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদ- দেয় বিচারিক আদালত। সেই দিন থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন তিনি। মানহানি মামলার আদেশ বৃহস্পতিবার ॥ ঢাকার মানহানির দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছে হাইকোর্ট। মামলা দুটি হলো, বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা অবমাননা করা এবং ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালন। একই সঙ্গে, ওইদিন এ্যাটর্নি জেনারেলের শুনানি শেষে আদালত জামিন বিষয়ে দেয়া হবে। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এর আগে বেলা ২টার দিকে খালেদার পক্ষে প্রায় এক ঘণ্টা শুনানি করেন তার আইনজীবীরা। পরে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ্যাটর্নি জেনারেলের শুনানি শেষ করার পর বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে আদেশ দেবে বলে ঠিক করেন আদালত। আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, এ্যাডভোকেট মোঃ মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন ও ফরহাদ হোসেন। এর আগে ২২ মে সকালে ওই দুই মামলায় জামিন চেয়ে আদালতে অনুমতি চান খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। সেই আবেদন দুটি আজ মঙ্গলবার শুনানির জন্য দিন ধার্য করে । ধার্য দিনে খালেদার পক্ষে শুনানি শেষ করার পর আদেশ এবং রাষ্ট্রপক্ষের শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ঠিক করে আদালত।
×