ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

১৪ বছর আগের বকেয়া আদায়ে ৯৫৬ বিদ্যুত গ্রাহককে নোটিস

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ২৮ মে ২০১৮

১৪ বছর আগের বকেয়া আদায়ে ৯৫৬ বিদ্যুত গ্রাহককে নোটিস

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৭ মে ॥ প্রায় ১৪ বছর আগের পিডিবির বকেয়া বিদ্যুত বিল আদায়ের নামে পল্লীবিদুতের উদ্যোগে ৯৫৬ গ্রাহককে হঠাৎ মামলার লিখিত নোটিস দেয়ার প্রতিবাদে রবিবার বেলা ১১ টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরের শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী সড়কের মনোহর পট্টিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। নাগরিক উদ্যোগ কলাপাড়া সংগঠন এ সমাবেশ করে। বক্তব্য রাখেন নাগরিক উদ্যোগের সমন্বয়ক নাসির তালুকদার, কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মেজবাহউদ্দিন মাননু, রাখাইন লুফ্রু মাস্টার, সংগঠক প্রভাষক নিজাম উদ্দিন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ১৪ বছর আগের বিদ্যুত বিল বকেয়া থাকলে পল্লীবিদ্যুতে হস্তান্তরের পরের বছর কিংবা এর পরে কেন হিসাবান্তে আদায় করা হয়নি। এ ছাড়া বহু গ্রাহক জানান, তাদের ফি বছর বিদ্যুত বিল বকেয়া নেই এমন ছাড়পত্র রয়েছে। তাদেরকেও নোটিস দেয়া হয়েছে। নাইয়াপট্টি মহল্লার গ্রাহক মীর আব্দুল বারেক (গ্রাহক নম্বর ৭২৬-১৭৮০) জানান, তাকে ২০০৪ ও ২০০৫ সালের বকেয়া বাবদ পাঁচ হাজার চার শ’ ১৯ টাকার নোটিস করা হয়। ১৬ এপ্রিল এই নোটিস দেয় পটুয়াখালী পল্লীবিদ্যুত সমিতির কলাপাড়া জোনাল অফিস। নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে ওই টাকা২৬ মে পরিশোধ না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ মামলা করা হবে। অথচ আব্দুল বারেক ওই পরিমাণ সমুদয় বিল ২০১০ সালের ৮ এপ্রিল পরিশোধ করেছেন। যার পল্লীবিদ্যুত সমিতির রশিদের ক্রমিক নং ৯০২১। ইস্যুর তারিখ ৮-০৪-২০১০। অথচ পল্লীবিদ্যুত সমিতি তাদের লেজারে পোস্টিং না দিয়ে এভাবে হয়রানি করেন এই গ্রাহককে। উল্টো নিজের টাকা খরচ করে ফের অফিসে গিয়ে পরিশোধের রশিদ দেখাতে হয়েছে। এ জন্য তার পরিবহন খাতে বাড়তি খরচসহ মানসিক ও শ্রমব্যয় হয়েছে। এমন অনেক গ্রাক রয়েছে যারা বিল পরিশোধের পরও নোটিস দিয়ে মামলা করার হুমকি দেয়া হয়েছে। কলাপাড়া জোনাল অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আহসান কবির জানান, এ রকম ভুলের জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করছেন। কিন্তু যাদের ১৪ বছর আগের কাগজপত্র নেই তাদের কী হবে। পল্লীবিদ্যুত সমিতিসূত্রে জানা গেছে, পল্লীবিদ্যুত সমিতি পিডিবির বকেয়া বাবদ ৩৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা আদায়ের জন্য তারা ৯৫৬ জন গ্রাহককে এ ধরনের নোটিস দিয়েছেন। রবিবারের প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, পল্লীবিদ্যুত সমিতি বিল তৈরির ৭/৮দিন পরে গ্রাহককে পৌঁছে দেয়। মাত্র সাতদিন সময় পায় পরিশোধের। এ ছাড়া ফি মাসে মিটার ভাড়া, ডিমান্ড চার্জ, সমন্বয়ের নামে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সংযোগ-পুনঃসংযোগ ফি হঠাৎ অতিরিক্ত বৃদ্ধি করার প্রতিবাদ জানান। এসব অনিয়ম আর দুর্নীতি বন্ধে এবং পিডিবির আমলের কথিত বকেয়া আদায়ের নামে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানান। নইলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেয়।
×