কাতারের পর এবার ওমানের সঙ্গে এলএনজি আমদানির চুক্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কাতারের পর এবার ওমানের সঙ্গে এলএনজি আমদানির চুক্তি করলো বাংলাদেশ। রবিবার সন্ধ্যায় বার্ষিক এক মিলিয়ন টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের (ওটিআই) সঙ্গে চুক্তি করেছে পেট্রোবাংলা। আমদানি করা এক মিলিয়ন টন এলএনজির অর্ধেক মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির ভাসমান টার্মিনালের মাধ্যমে রিগ্যাসিফিকেশন করা হবে। বাকি অর্ধেক সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে রিগ্যাসিফিকেশন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। এলএনজি সেলস এ্যান্ড পার্চেজ এগ্রিমেন্টের আওতায় ১০ ওটিআই বাংলাদেশকে এই এলএনজি সরবরাহ করবে। এক্সিলারেট এনার্জির এলএনজি টার্মিনালটি মহেশখালিতে এসে পৌঁছেছে। টার্মিনালটির মাধ্যমে চলতি মাসের শেষ দিকে এলএনজি সরবরাহ শুরু হবে। এছাড়া বছরের শেষের দিকে সামিট এলএনজির টার্মিনালটি দেশে এসে পৌঁছাবে। পেট্রোবাংলা বলছে কক্সবাজারের মহেশখালি, পটুয়াখালির পায়রা বন্দর ও কুতুবদিয়া এলাকায় এলএনএজি টার্মিনাল স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। প্রাথমিকভাবে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দর পড়বে নয় মার্কিন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক বাজরে তেলের দাম ওঠানামার ফলে এই দাম বাড়তে বা কমতে পারে। কাতার থেকে কেনা এলএনজির দামও একই বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। এলএনজি সেলস এ্যান্ড পার্চেজ এগ্রিমেন্টে পেট্রোবাংলার সচিব সৈয়দ আশফাকুজ্জামান ওটিআইয়ের পক্ষে মাহির আর জাদজালি সই করেন। দশ বছর মেয়াদী চুক্তির আওতায় ওটিআই পেট্রোবাংলাকে এই গ্যাস সরবরাহ করবে। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ্বালানি সচিব নাজিম উদ্দিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মোঃ ফায়জুলাহ, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির (আরপিজিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। এর আগে কাতারের সঙ্গে দেশটির এলএনজি সরবরাহকারী কোম্পানি রাস গ্যাসের সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদী চুক্তি করে সরকার। ওই চুক্তি অনুযায়ী প্রতিবছর কমপক্ষে এক দশমিক ৮ থেকে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন হারে এলএনজি কিনবে সরকার। এর বাইরে আরও ৩০টি কোম্পানিকে শর্টলিস্ট করা হয়েছে। এদের কাছ থেকেও সুবিধা অনুযায়ী এলএনজি কেনা হবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে সরকার অন্তত ২ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করতে চায়।