ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

আমাকে রাজনৈতিক কারণে জেলে রাখা হয়েছে ॥ খালেদা জিয়া

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৬ মে ২০১৮

আমাকে রাজনৈতিক কারণে জেলে রাখা হয়েছে ॥ খালেদা জিয়া

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আমাকে রাজনৈতিক কারণে জেলে রাখা হয়েছে, সাজা দিয়েছে, সেখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। কোন চেকে আমি সাইন করিনি। অযথা আমাকে এই সাজা দেয়া হয়েছে। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই আগামী মঙ্গলবারই সুপ্রীমকোর্টের জামিন শুনানিতে জামিন পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার বিকেলে বিএনপিপন্থী পাঁচ আইনজীবী কারাগারে তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে তাদের কাছে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার দ্রুত ফিজিওথেরাপি দেয়ার প্রয়োজন বলেও জানান আইনজীবীরা। শনিবার বিকেল ৪টায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুবসহ ওই আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করতে পুরান ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। পরে প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় পর সন্ধ্যায় কারাগার থেকে বেরিয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। অন্য আইনজীবীরা হলেন, আব্দুর রেজ্জাক খান, সাবেক এ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া মানসিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী। তবে তিনি অসুস্থ। তাই মানবিক কারণে হলেও বেগম জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত। তিনি দাবি করেন, এটা না করা সরকারের অমানবিক আচরণ। এ কারণে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন কিন্তু তিনি মনোবল হারাননি। মিথ্যে মামলায় সঠিক হয়নি। এখনও বিশ্বাস করেন, মিথ্যে মামলায় দেয়া সাজা বাতিল হবে এবং তিনি জামিন পাবেন। খন্দকার মাহবুব বলেন, আমরা আইনজীবীরা বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। জেল কর্তৃপক্ষের সুপারিশের পরেও আমরা যা জানতে পারলাম, তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার ব্যাপারে সরকার গড়িমসি করছে। তিনি বলেন, এ কারণে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। সবচেয়ে বড় হচ্ছে, চেয়ারপার্সনের ফিজিওথেরাপি করা দরকার জরুরী ভিত্তিতে। জেলখানায় ফিজিওথেরাপির ব্যবস্থা নেই। তার চিকিৎসকরাও ফিজিওথেরাপির পরামর্শ দিয়েছেন। জামিনের বিষয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, জামিনের বিষয়ে তিনি (খালেদা জিয়া) জানতে চাইলেন, ‘কী অবস্থা?’ আমরা তাকে বলেছি, দেশে যদি বিন্দুমাত্র আইনের শাসন অবশিষ্ট থাকে তাহলে হাইকোর্ট যে রেকর্ড পর্যবেক্ষণ করে তাকে জামিন দিয়েছেন, সেই জামিন সুপ্রীমকোর্ট কর্তৃপক্ষ স্থগিত করার নজির নেই। এক্ষেত্রে সুপ্রীমকোর্ট যে কোন কারণেই হোক তার জামিন স্থগিত করেছে। ৮ মে শুনানির দিন রয়েছে, আমরা আশা করি, ইনশাআল্লাহ দেশে যদি বিচারের বিন্দুমাত্র পথ এখনও খোলা থাকে, তাহলে অবশ্যই আমাদের চেয়ারপার্সনকে জামিন দেয়া হবে। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে বর্তমানে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দীন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন।
×