ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতীক বরাদ্দ ॥ প্রার্থীদের গণসংযোগ শুরু, বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৫ এপ্রিল ২০১৮

প্রতীক বরাদ্দ ॥ প্রার্থীদের গণসংযোগ শুরু, বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, গাজীপুর, নূরুল ইসলাম, টঙ্গী ও অমল সাহা, খুলনা ॥ আসন্ন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (জিসিসি) নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের প্রচার আরও জমে উঠেছে। প্রতীক পাওয়ার পর প্রথমদিনেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্য দিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের গণসংযোগ শুরু করেছেন। কোন প্রতদ্বন্দ্বী না থাকায় ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী মাজহারুল ইসলামকে বেসরকারীভাবে বিজয়ী ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার। এদিকে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি ) নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর পরই নির্বাচনী হাওয়ায় গতি বেড়েছে। এতদিন সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঘরোয়াভাবে কার্যক্রম চালালেও মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দের পর হঠাৎ যেন হাওয়া বদলে গেছে। প্রার্থীর প্রতীকসহ মাইকে প্রচারের পাশাপাশি গণসংযোগও শুরু করেছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মঙ্গলবার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। প্রতীক পেয়ে গণসংযোগে ব্যস্ত হয়ে পড়েন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। সকালে দলীয় প্রতীক পেয়েই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী ১৪ দলীয় জোটের আওয়ামী লীগ মনোনীত মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও ২০ দলীয় জোটের বিএনপি মনোনীত হাসান উদ্দিন সরকার নির্বাচনী প্রচার ও জনসংযোগে নেমে পড়েন। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মহানগর জাপা নেতার বাড়ি থেকে এবং বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান সরকার তার জেলা কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক গণসংযোগ শুরু করেছেন। সকল প্রার্থীই কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দিনভর গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। অনেকে নির্বাচনী প্রচারে জোরেশোরে নামার আগে কৌশল, পরিকল্পনা ও ছক নিয়ে তাদের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ তারিফুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে গাজীপুর শহরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে স্থাপিত রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া শুরু হয়। সকাল সোয়া ১০টার দিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে যান। এর আধাঘণ্টার পর দলীয় নেতাকর্মীসহ আসেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। প্রথমে মেয়র প্রার্থী এবং পরে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেন। নামের অদ্যাক্ষরের ক্রমানুসারে ৭ মেয়র, ২৫৬ সাধারণ আসনের কাউন্সিলর ও ৮৪ জন সংরক্ষিত আসনের (মহিলা) কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার কাজ শুরু করা হয়। এর পূর্বে রিটার্নিং অফিসার প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে নির্বাচনী আচরণবিধিসহ নানা নির্বাচন সংক্রান্ত নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। মেয়র প্রার্থীরা যে প্রতীক পেলেন ॥ মেয়র পদে ছয় রাজনৈতিক প্রার্থীকে দলীয় প্রতীক ছাড়াও একমাত্র স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীকে দেয়াল ঘড়ি প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ‘নৌকা’, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার ‘ধানের শীষ’, ইসলামী ঐক্য জোটের ফজলুর রহমান ‘মিনার’, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ নাসির উদ্দিন ‘হাতপাখা’, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোঃ জালাল উদ্দিন ‘মোমবাতি’, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাজী মোঃ রুহুল আমিন ‘কাস্তে’ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ ‘টেবিল ঘড়ি’ প্রতীক পেয়েছেন। এছাড়া সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া একই প্রতীকে একাধিক প্রার্থীর পছন্দ থাকলে সেখানে লটারির মাধ্যমে প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রার্থীদের গণসংযোগ ॥ সরজমিনে দেখা গেছে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই প্রার্থীরা প্রচার ও জনসংযোগে নেমে পড়েন। প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রতীকসহ মেয়র প্রার্থী প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ মনোনীত মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপি মনোনীত হাসান উদ্দিন সরকারের পোস্টার গাজীপুর শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় টানানো হয়েছে। বসে নেই অন্য প্রার্থীরাও। মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে তারা গনসংযোগে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরই বেশ কয়েক প্রার্থী তাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে গাজীপুর শহরসহ নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় মিছিল ও গণসংযোগ করেছেন। সকালে দলীয় প্রতীক নৌকা বরাদ্দ পাওয়ার পর আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আউটপাড়া এলাকায় জাতীয় পার্টির মহানগর কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়ার বাড়ি যান। সেখানে আব্দুস সাত্তার মিয়ার দোয়া নিয়ে তিনি নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেন। এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব এমএম নিয়াজ উদ্দিন, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাবুল, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এসএম মোকছেদ আলম, গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেলসহ প্রমুখ উপস্থিতি ছিলেন। জাপা নেতা আব্দুস সাত্তার প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ১৪ দলের প্রার্থীর পক্ষে একযোগে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পরে সেখান থেকে তিনি ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের দত্তপাড়া হাউস বিল্ডিং এলাকায় যান এবং সেখানে নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন করেন। সেখানে একটি পথসভা করেন। পরে বনমালা, আলম মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ করেন। এরআগে নির্বাচনী প্রতীক হাতে পেয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির প্রতীক নৌকা নগরবাসীর মুক্তির প্রতীক। গাজীপুরকে আধুনিক এবং পরিকল্পিত নগর গঠনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন কাজে শরিক হতে ভোটারদের আহ্বান জানাবো। নৌকা প্রতীক বিজয়ী হলে গাজীপুর মহানগর হবে দেশের একটি অন্যতম আধুনিক মহানগর ইনশাল্লাহ। অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাসান উদ্দিন সরকার দলীয় প্রতীক ধানের শীষ বরাদ্দ পাওয়ার পর ধানের ছড়া ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলা শহরের রথখোলা এলাকা থেকে মিছিল বের করেন এবং এলাকাবাসীর মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন। পরে তিনি বিএনপির জেলা কার্যালয়ে গিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্বাচনী দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন এবং সেখান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেন। এ সময় তার সঙ্গে জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম ফজলুল হক মিলন ও সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সোহরাব উদ্দিনসহ প্রমুখ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি দলীয় কার্যালয় থেকে পুবাইলের সুকুন্দিবাগ বাজার, টঙ্গীর বনমালা এলাকায় গণসংযোগ করেন। বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ধানের শীষ প্রতীকটি গাজীপুর নগরবাসীর পরিচিত প্রতীক। এ প্রতীক উন্নয়নের প্রতীক। এ প্রতীকে ভোটদানে গাজীপুরবাসী ভুল করবে না। তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস দমনসহ সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে সর্বদা কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। সকল প্রার্থীদের জন্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বাস্তবায়নে সর্বদা তৎপর থাকতে হবে। ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টি এবং কালো টাকার ছড়াছড়ি হলে তা বন্ধ করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আচরণবিধি প্রসঙ্গে রিটার্নিং অফিসারের বক্তব্য ॥ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন ম-ল আচরণবিধি প্রসঙ্গে জানান, নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড প্রার্থীদের অন্যতম প্রধান একটি চাওয়া। এটি প্রতিষ্ঠা করতে নির্বাচন কমিশন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা প্রচার ও জনসংযোগ করতে পারলেও কোন দালান ও দালানের দেয়াল, বেড়া, যানবাহন, বিদ্যুতের খুঁটি বা গাছে আঠা বা অন্য কোন পদার্থ দ্বারা পোস্টার লাগানো যাবে না। তবে ভোট কেন্দ্র ব্যতিত নির্বাচনী এলাকার যে কোন স্থানে পোস্টার, হ্যান্ডবিল, লিফলেট ঝুলাইতে বা টাঙ্গাতে পারবেন। কোন অবস্থাতেই রঙ্গিন পোস্টার ছাপানো বা লাগানো যাবে না। পোস্টারে নিজের ছবি ও প্রতীক ছাড়া অন্য কারও ছবি বা প্রতীক ছাপানো যাবে না। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রাজনৈতিক দলের মনোনীত হলে দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টার বা লিফলেটে ছাপাতে পারবেন। বেসরকারীভাবে বিজয়ী ঘোষণা ॥ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে কোন প্রচার প্রতীক ছাড়াই মঙ্গলবার এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে বেসরকারীভাবে বিজয়ী ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বেসরকারীভাবে বিজয়ী ওই কাউন্সিলরের নাম মাজহারুল ইসলাম। তিনি ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ আসন থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন। নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার সুমন মিয়া জানান, বিজয়ী মোঃ মাজহারুল ইসলাম ৪৪ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনে অংশ নেন। খুলনা ॥ খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর পরই নির্বাচনী হাওয়ায় গতি বেড়েছে। এতদিন সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঘরোয়াভাবে কার্যক্রম চালালেও মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দের পর হঠাৎ যেন হাওয়া বদলে গেছে। প্রার্থীর প্রতীকসহ মাইকে প্রচার পাশাপাশি গণসংযোগও শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে নগরীর নুরনগর এলাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যলয়ে কেসিসি নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া শুরু হয়। প্রথমে দেয়া হয় মেয়র পদের ৫ প্রার্থীকে। মেয়র প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত প্রতীক দেয়ার পর সংরক্ষিত কাউন্সিলর এবং সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে তাদের পছন্দের প্রতীক দেয়া হয়। এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর পরই মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু করেন। খালেক-মঞ্জুর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু ॥ এদিকে কেসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে আসেন। সেখানে তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন। তারপর তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রচার কাজ শুরু করেন। এ সময় তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকে খুলনায় বড় হয়েছি। খুলনার মাটি মানুষের পাশে থেকে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমি খুলনার মানুষের ভোট ও দোয়া নিয়ে কমিশনার থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। আমি কখনও খুলনার মানুষের সঙ্গে বেইমানি করিনি। মেয়র থাকাকালীন আমার সর্বস্ব দিয়ে খুলনার উন্নয়নের চেষ্টা করেছি। নির্বাচনী বিজয়ী হলে সর্বশক্তি দিয়ে উন্নয়ন ও খুলনাবাসীর প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট থাকব। তিনি খুলনাবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন এবং তাকে নির্বাচিত করে খুলনার উন্নয়নসহ সব ধরনের নাগরিক সেবা করার সুযোগ প্রদানের আহ্বান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তালুকদার আব্দুল খালেকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, নির্বাচনী প্রধান সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এসএম কামাল হোসেন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক কাজী আমিনুল হকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তিনি কেডি ঘোষ রোড, স্যার ইকবার রোড, পিকচার প্যালেস মোড়, যশোর রোডের বিভিন্ন অফিস, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে গণসংযোগ করেন। এ সময় নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করা হয়। অপরদিকে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট প্রাার্থী বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু ‘গ্রীন সিটি ক্লিন সিটি’ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। সকাল পৌনে ১০টার দিকে বয়রাস্থ আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে তার প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। ধানের শীষ প্রতীক হাতে নিয়ে বেরিয়ে এসে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে নগরবাসী তাদের ভোট দেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। তাদের পছন্দের প্রার্থীকে পছন্দের প্রতীকে তারা ভোট দিতে চায়। নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি থাকবে, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজেন সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিন। মানুষ যাতে নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারে তার ব্যবস্থা করুন। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত বলে দাবি করেন তিনি। এরপর দলীয় কার্যালয়ে নির্বাচনে ভাল ফল অর্জনের জন্য নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বিশেষ দোয়া ও মোনজাত করা হয়। পরে বিএনপি প্রার্থী মহানগরীর প্রাণকে›েন্দ্র গণসংযোগ করেন। খালেকের নির্বাচনী ওয়েবসাইট উদ্বোধন ॥ খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্বাচনী ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়েছে। খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের দফতর তথ্য ও প্রচার সেলের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে মিট দ্য প্রেস করে এই ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়। এ সময় জানানো হয়, এ ওয়েবসাইট থেকে খালেকের প্রতিদিনের নির্বাচনী কর্মতৎপরতা, তার জীবনীসহ নানা বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটের ঠিকানা হলো- িি.িাড়ঃবভড়ৎশযধষবয়ঁব.ঃশ। মঞ্জুর বক্তব্যের প্রতিবাদ-শেখ পরিবার বাংলাদেশের রাজনীতির প্রবর্তক ॥ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের দফতর তথ্য ও প্রচার সেলের সংবাদ সম্মেলনে কেসিসি নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অভিযোগ ও বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন বলেন। এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে তাদের স্ব স্ব জায়গায় থেকে দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন।
×