ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

একুশে পদকজয়ী কবি বেলাল চৌধুরী লাইফ সাপোর্টে

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২১ এপ্রিল ২০১৮

 একুশে পদকজয়ী কবি বেলাল চৌধুরী লাইফ সাপোর্টে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন একুশে পদকজয়ী কবি বেলাল চৌধুরী। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। ধানম-ির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ কোরেশীর তত্ত্বাবধানে বেলাল চৌধুরীর চিকিৎসা চলছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত চার মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এই প্রখ্যাত কবি। ট্রনিক কিডনি ডিজিজ, রক্তশূন্যতা, হাইপোথাইরোটিজ, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছে কবির শরীর। বেলাল চৌধুরীর ছেলে প্রতীক চৌধুরী জনকণ্ঠকে বলেন, দীর্ঘ চার মাস ধরেই বাবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার অবস্থার আরও অবনতি ঘটায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। চিকিৎসকদের তথ্য অনুযায়ী, বেলাল চৌধুরীর সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এ অবস্থায় বেলাল চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে তার জন্য দেশবাসীর দোয়া কামনা করছি। এই সময়ের দেশের প্রধান কবিদের একজন বেলাল চৌধুরী। কবিতার সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সংসার। সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে তিনি একুশে পদক অর্জন করেন। ষাটের দশকে আলোড়ন তোলা এই কবি একাধারে সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক। তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রকাশিত ‘ভারত-বিচিত্রা’র সম্পাদক ছিলেন। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো ‘নিষাদ প্রদেশে’, ‘আত্মপ্রতিকৃতি’, ‘স্থিরজীবন ও নিসর্গ’, ‘স্বপ্নবন্দী’, ‘সেলাই করা ছায়া’, ‘কবিতার কমলবনে’, ‘যাবজ্জীবন সশ্রম উল্লাসে’, এবং ‘বত্রিশ নম্বর’। ১৯৩৮ সালের ১২ নবেম্বর ফেনী জেলার শর্শদী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কীর্তিমান এই কবি। ১৯৯৬ সালে প্রয়াত হন বেলাল চৌধুরীর সহধর্মিণী। প্রতীক চৌধুরীসহ তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। মেয়ে মৌরি চৌধুরী এবং আরেক ছেলে পাবলো চৌধুরী দেশের বাইরে থাকেন।
×