ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

জলাবদ্ধতা নিরসন ও মশক নিধনে চসিকের ক্রাশ প্রোগ্রাম

প্রকাশিত: ০৭:০২, ১১ এপ্রিল ২০১৮

জলাবদ্ধতা নিরসন ও মশক নিধনে চসিকের ক্রাশ প্রোগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও মশক নিয়ন্ত্রণে ২৫ দিনের বিশেষ ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। মঙ্গলবার সকালে আন্দরকিল্লায় এ কর্মসূচী উদ্বোধন করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। নালা থেকে মাটি ও আবর্জনা উত্তোলন এবং মশার ডিম ধ্বংসকারী ‘লার্ভিসাইড’ স্প্রে করার মধ্য দিয়ে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের বিশেষ এই প্রোগ্রাম শুরু হয়। কর্মসূচীর আওতায় কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিচ্ছন্ন সেবক সকলে মিলে সকল ওয়ার্ডে একসঙ্গে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করা হবে। প্রতিমাস অন্তর অন্তর পরিচালিত হবে এ ধরনের অভিযান । চসিক মেয়র বলেন, আগামী ৫ মে পর্যন্ত বিশেষ ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে চলমান থাকবে। যে কোন ঝুঁকি নিয়ে নান্দনিক ও পরিবেশবান্ধব নগর গড়ার প্রত্যয় বাস্তবায়ন করা হবে। প্রতি ওয়ার্ডে ৫০০ পরিচ্ছন্নতা কর্মী নালায় এবং লার্ভিসাইড ছিটানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে। এক সঙ্গে প্রতিদিন ৫টি ওয়ার্ডে এ অভিযান চলবে। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নালা-নর্দমা থেকে আবর্জনা ও মাটি উত্তোলন কাজ এবং মশা নিয়ন্ত্রণের কর্মসূচীতে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুর রহিম, পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শেখ হাসান রেজা, হাসান রশিদ, পরিচ্ছন্নতা সুপারভাইজার কল্লোল দাশ, জাফর সাদেক ছাড়াও টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি বেলায়েত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রতন আচার্য, দিদারুল আলম, শাহানুর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর ও নগরীর চকবাজার থানার পল্টন রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতার করা হয়েছে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই মাদক বিক্রেতাকে। সোমবার রাতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। র‌্যাব জানায়, মাদক বিক্রেতা কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে একটি মাইক্রোবাসযোগে মাদক নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। এই তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১০টার দিকে ফটিকছড়ির ভুজপুর থানার হেঁয়াকো বাজার এলাকায় একটি চেকপোস্ট বসানো হয়। সেখানে মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় ৪৯ হাজার ৫শ’ ইয়াবা ট্যাবলেট। গ্রেফতার করা হয়, ইয়াবা বহনকারী মাদক ব্যবসায়ী কালাম মিয়াকে। তার বাড়ি সিলেট জেলায়। র‌্যাব সদস্যরা ইয়াবা বহনকারী মাইক্রোবাসটিও আটক করেন। উদ্ধার করা ইয়াবার মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা। একই রাতে নগরীর চকবাজারের থানার পল্টন রোডের গালিফ ক্যাফে নামের একটি রেস্টুরেন্টে পরিচালিত অপর এক অভিযানে উদ্ধার হয় ১০ হাজার ইয়াবা । সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় জাহাঙ্গীর নামের আরেক ইয়াবা বিক্রেতাকে।
×